কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে এই প্রথম প্রচারে নামলেন ওবামা। শুরুতেই বুঝিয়ে দেন, কোনওমতেই রেয়াৎ করবেন না ট্রাম্পকে। চীন ইস্যুতে ট্রাম্পের দ্বিচারিতা নিয়ে আক্রমণ শানান ওবামা। বলেন, ‘করোনার জন্য চীনকে দায়ী করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। অথচ তাঁর নিজেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেদেশে।’ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীণ মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। জো বিডেন-কমলা হ্যারিস জুটি ক্ষমতায় এলে এই সমস্যা মিটবে বলে দাবি করেন তিনি। ওবামার কথায়, ‘জো বিডেন, কমলা হ্যারিসকে দেখুন। তাঁরা কেউই অযথা কথা বলেন না। উল্টোদিকে রয়েছেন ট্রাম্প। ট্যুইট করে করে নতুন নতুন আজগুবি তত্ত্ব তুলে ধরেন। সম্প্রতি তিনি লিখেছেন, মার্কিন নেভি সিল ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেনি। এই ধরনের মন্তব্য দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সমাজের উপর এর প্রভাব পড়বে।’ আগামী শনিবার মায়ামি এবং পরের সপ্তাহে অরল্যান্ডোতে জনসভা করবেন ওবামা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দু’জায়গাতেই ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের আগে ওবামার সমালোচনা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে ধন্দে রিপাবলিকানরা। তবে বিনা যুদ্ধে যে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না—সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনের থেকেও এবার বড় ব্যবধানে জেতার দাবিও করেছেন। মঙ্গলবার পেনসিলভেনিয়ায় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ প্রচারে বিডেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, করোনার জন্য দেশের অর্থনীতির যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল, তা মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই সামলে নিয়েছি। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য আঝ চীন, ইরান আমার বিরুদ্ধে। তারা চায় না আমি ক্ষমতায় ফিরি। সভার জনগণ অবশ্য তাঁকেই ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সশব্দে। উৎফুল্ল ট্রাম্প মঞ্চেই হাত দুলিয়ে নেচে ওঠেন। বুঝিয়ে দেন, তিনি প্রস্তুত!
ফিলাডেলফিয়ায় প্রচারে ওবামা।-এএফপি