Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বন্ধ হোক মৃত্যুকে রাজনীতির পণ্য বানানো
তন্ময় মল্লিক

জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত। শৈশবের গণ্ডি ছাড়াতে না ছাড়াতেই অমর কবির এই কবিতা প্রথম শিখিয়েছিল, জন্ম আর মৃত্যু এক সুতোয় বাঁধা। ভাবসম্প্রসারণ লিখতে গিয়ে শিখেছিলাম, জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিই হল মৃত্যু। আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন মানুষের মতে, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন। জাগতিক জীবন থেকে মুক্ত হয়ে চিরশান্তির জগতে পাড়ি দেওয়ার নামই মৃত্যু, মহাপ্রস্থান। মৃত্যু মানে তো মুক্তি। কিন্তু, সেই মৃত্যু যখন পণ্য হয়, তখন তা হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার। মৃত্যুকে পণ্যে পরিণত করার কৌশল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। মৃত্যু অস্বাভাবিক হলেই চোখ জ্বলজ্বল করে। আর খুন হলে তো কথাই নেই। মৃতদেহের দখল নেওয়ার জন্য রাজনীতির কারবারিদের কাড়াকাড়ি দেখে ভাগাড়ের শকুনও বোধ করি লজ্জা পায়।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের বন্ধুপ্রকাশ পালকে আমরা আগে কেউ চিনতাম না। না চেনারই কথা। হাজার হাজার শিক্ষকের মতো বন্ধুপ্রকাশবাবুও একজন শিক্ষক। কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে সাধারণ মানুষ যেমন মিশে থাকে, বন্ধুপ্রকাশও তেমনই ছিলেন। কিন্তু, দশমীর দুপুরে পুত্র ও স্ত্রী সহ তাঁর নৃশংস হত্যাকাণ্ড রাজ্যে ঝড় তুলে দিল। যতটা না মর্মান্তিকতার নিরিখে, তার চেয়ে অনেক বেশি করে রাজ্য তোলপাড় হয়ে গেল রাজনীতির কারবারিদের সৌজন্যে। আকস্মিক এই ঘটনায় তাঁদের আত্মীয়রা শোকে পাথর। ভেবে পাচ্ছিলেন না, কেন এমন দুধের শিশু সহ তিনজনকে নৃশংসভাবে খুন করা হল। প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণায় আত্মীয়রা যখন দিশাহারা, ঠিক তখনই দাবি উঠে গেল, আরএসএস করার জন্যই পুরো পরিবারটাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এই দাবি শুনে চমকে উঠলেন মৃতদের আত্মীয়রা। তাঁরা বারংবার বলার চেষ্টা করলেন, রাজনীতির সঙ্গে বন্ধুপ্রকাশের তেমন কোনও সংস্রব ছিল না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! রাজনীতির কারবারিরা তখন জাল হাতে কোমর জলে। ঘোলা জলে মাছ ধরার লোভ সামলে পাড়ে উঠে আসা বড়ই কঠিন। তাই পরিবারের লোকজনকে পাশে না পেলেও রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রক্তকরবী’তে দেখিয়েছিলেন, লোভ কীভাবে জীবনের সব সৌন্দর্য ও স্বাভাবিক অধিকারকে অস্বীকার করে মানুষকে যন্ত্র ও উপাদানে পরিণত করে। যক্ষপুরীতে রাজার লোভের আগুনে পুড়ে মরত সোনাখনির কুলিরা। রাজার চোখে সোনাখনির কুলিরা কেউ মানুষ ছিলেন না, হয়ে উঠেছিলেন সংখ্যামাত্র। কেউ ছিলেন ৪৭ক, কেউ ছিলেন ৬৯ফ।
যুগ বদলেছে, বদলেছে সময়ও। রাজনীতির কারবারিদের কাছে মৃতদেহটাও একটা সংখ্যামাত্র। এই সংখ্যার কলেবর যত বাড়ে রাজনীতিতে বিরোধিতার জোশ ততই টগবগ করে ফোটে। ১০দিনে ন’জনের মৃত্যু। সংখ্যাটা নেহাত মন্দ নয়। সুতরাং ‘দিল্লি চলো’। জিয়াগঞ্জ ইস্যু রাষ্ট্রপতির কানে তুলতে বিজেপির একঝাঁক নেতা ছুটলেন দিল্লি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে দেখা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হল, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই জিয়াগঞ্জে নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ১০দিনে তাঁদের ন’জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। রাজ্যপাল এই ইস্যুতে মন্তব্য করায় জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড এক নতুন মাত্রা পেল। উঠল অতিসক্রিয়তার অভিযোগ।
যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত মর্মান্তিক। আর বন্ধুপ্রকাশবাবুর পরিবারে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। যে কোনও সুস্থ মানুষ এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাতে বাধ্য। এমনকী, এই খুনের ব্যাপারে পুলিস যাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে, সেই উৎপল বেহেরাও পুলিসি জেরায় জানিয়েছে, বন্ধুপ্রকাশ পালের স্ত্রী এবং তাঁর শিশুসন্তানকে খুন করে তার অনুতাপ হচ্ছিল। তার নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আত্মহত্যা করার ইচ্ছাও হয়েছিল।
পুলিস এখনও পর্যন্ত তদন্ত করে যা জানতে পেরেছে তাতে খুনের পিছনে রয়েছে আর্থিক কারণ। বন্ধুপ্রকাশবাবু জীবনবিমার টাকা নিয়ে তা জমা দেননি। আর সেই কারণেই নাকি তাঁকে সপরিবারে খুন করেছে উৎপল। অর্থাৎ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব এই খুনের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাল।
এরাজ্যে বিজেপি একটা বিশেষ শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের দাম্ভিকতা, দুর্নীতি, জনবিচ্ছিন্নতা সহ নানা কারণেই বিজেপি পায়ের তলায় মাটি পেয়েছে। যথেষ্ট শক্তপোক্ত সেই মাটি। স্রেফ তৃণমূল সম্পর্কে মানুষের হতাশা ও বিরক্তিই তাদের অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, সেই বিজেপিও যদি মৃত্যু নিয়ে সস্তার রাজনীতিতে জড়িয়ে যায় তাহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতায় চিড় খাবে না, এমনটা বলা যায় না। মনে রাখতে হবে, রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা একটা বড় সম্পদ। মানুষ বিশ্বাস করেছিল, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বই দেশকে মজবুত করতে পারবে। সেই বিশ্বাসে ভর করেই তিনি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুধু বিজেপি নয়, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা এর আগেও প্রায় সব রাজনৈতিক দলই করেছে। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সকলেই একই পথের পথিক। মৃত্যু নিয়ে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের অনেকবার প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। তবুও ছাড়েনি এই রাস্তা। তবে, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি নাকানি চোবানি খেয়েছিল কংগ্রেস।
উত্তরদিনাজপুরের গোয়ালপুকুরের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক রমজান আলির কথা মনে আছে? কলকাতায় এমএলএ হস্টেলে রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছিলেন রমজান সাহেব। তখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। রমজান আলি খুনের ঘটনায় রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে আচমকা বাংলা বন্‌঩ধের ডাক দিয়েছিলেন সোমেনবাবু। কিন্তু, তদন্ত এগতে কী দেখা গেল? দেখা গেল, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক। গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। খুন নিয়ে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে মুখ পুড়েছিল কংগ্রেসের।
তবে, মৃতদেহ সামনে রেখে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসও কম যায়নি। সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষে খুন হওয়া একের পর এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্যজুড়ে প্রচার পাওয়া। গ্রামের মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে গিয়ে আলোড়ন সৃষ্টির সমালোচনা করেছিল সিপিএম। কিন্তু, তৃণমূলের সেই উদ্দেশ্য কিছুটা সফল হতেই সিপিএমও কয়েকবার সেই রাস্তায় হাঁটার চেষ্টাও করেছিল।
তবে, কৌশলী সিপিএমের মুন্সিয়ানা ছিল মৃতদেহ সামনে আনার চেয়ে তা গায়েব করায়। ছোট আঙারিয়া, বেনাচাপড়া প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গণহত্যা কাণ্ড ঘটিয়েও মৃতদেহ লোপাট করে দিয়েছিল। যে সিবিআইয়ের নামে গোটা ভারত থরহরিকম্প, সেই সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তাবড় তাবড় অফিসারকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল সিপিএম। তদন্তভার হাতে নিয়েও ছোট আঙারিয়া গণহত্যার কিনারা করতে পারেনি তারা। উদ্ধার করতে পারেনি একটি মৃতদেহও। রাজ্যের ক্ষমতা বদল না হলে মানুষ জানতেও পারত না কী করে পাঁচজন মানুষকে খুন করেও হাত ধুয়ে ফেলা যায়।
পৃথিবী যতই হিংসায় উন্মত্ত হোক না কেন, আজও রক্ত দেখে, মৃতদেহ দেখে মানুষ বিচলিত হয়। মৃতদেহ এখনও মানুষের মনে সহানুভূতি জাগায়। মৃত্যুর ভয়াবহতা যে শাসক দলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, বর্ধমানের সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকারের কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঢুকে দিয়েছিল নেতাই গণহত্যা কাণ্ড। মৃত্যু, বর্বরতা যে কোনও শাসন ক্ষমতা বদলের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে। আর সেটা সব চেয়ে ভালো জানে রাজনীতির কারবারিরা।
সেই কারণেই খুন হলেই রাজনীতির কারবারিরাই তার দখল নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু, একবারও ভেবে দেখে না, মৃতদেহকে রাজনীতির পণ্য হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা শোকার্ত পরিবারের প্রতি কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করায়। মৃতকে নিজের দলের কর্মী বা সমর্থক প্রমাণের জন্য শুরু হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টানাটানি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভের নামে চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা। প্রাকৃতিক নিয়মে মৃতদেহে পচন ধরে। ফুলতে শুরু করে। বিকৃত হয় মুখমণ্ডল। চেনা মানুষটা আপনজনের কাছেও কেমন যেন অচেনা হয়ে যায়। শেষবারের মতো প্রিয় মানুষটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদার সুযোগটাও কেড়ে নেওয়া হয়। স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য।
মৃতদেহ কাড়াকাড়ির লড়াই কখনও কখনও শোকস্তব্ধ পরিবারে ভাঙন ধরায়। স্ত্রীকে যে দল কব্জা করে, তার বিরোধী দল তখন হামলে পড়ে মৃতের বাবা, মায়ের দখল নিতে। কাউকে না পেলেও নিদেনপক্ষে ভাই। চাপ ও প্রলোভনে ব্যতিব্যস্ত মৃতের পরিবার তখন হয়তো শোক ভুলে অঙ্ক কষে। লাভ ক্ষতির অঙ্ক। কার সঙ্গে গেলে লাভ বেশি। সেই অঙ্কে বদলায় বিবৃতি, বদলায় এফআইআরের বয়ান। সকালে মৃত স্বামীকে যে দলের সমর্থক হিসেবে দাবি করে, বিকালে ঠিক তার বিরোধী দলের নেতার পাশে বসে সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলেন। রাজনীতির কারবারিদের ফাঁদে পড়ে মৃতের পরিবার সহনুভূতি পাওয়ার বদলে আমজনতার কাছে অনেকসময় হয়ে ওঠে হাসির খোরাক।
মৃতদেহকে পণ্য করে রাজনীতির কারবারিরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করেন ঠিকই। কিন্তু, সেই লাভ বড়ই ক্ষণস্থায়ী। এই তাপসী মালিকের পরিবারের কথাই ভাবুন না। সিঙ্গুর জমিরক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ হিসেবে এখনও জ্বলজ্বল করে তাপসীর নাম। তাপসীর বাবা মনোরঞ্জনবাবুকে বহু সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশের চেয়ারে বসতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূল সব রকমভাবে ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে। তাপসীদের মাটির দেওয়ালের টালির চালার বাড়িটা এখন আর নেই। সেখানে মাথা তুলেছে মার্বেলের বাড়ি। সেই মনোরঞ্জনবাবু গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদে নির্দল হয়ে লড়েছেন। অনেকে বলে, তাঁর নাকি গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সখ্য তৈরি হচ্ছে।
হৃদয় ঘোষ, পিতা ঈশ্বর সাগরচন্দ্র ঘোষ। সাকিন, বাঁধনবগ্রাম, থানা-পাড়ুই, জেলা-বীরভূম। ২০১৩ সালের ২১জুলাই বাড়িতে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমা ও গুলিতে মারা গিয়েছিলেন হৃদয় ঘোষের বাবা সাগরবাবু। সেই মৃত্যুর জন্য তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দায়ী করে শুরু হয়েছিল লড়াই। হৃদয় ঘোষকে সামনে রেখেই বীরভূমের মাটিতে পা রেখেছিল বিজেপি। প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন হৃদয়বাবু। সেই হৃদয় ঘোষ এখন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, তিনি এখন অনুব্রতবাবুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
এসব দেখে কারও বলতে ইচ্ছা করতেই পারে, সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই রাজনীতি! হ্যাঁ, রাজনীতি বড়ই বিচিত্র। রাজনীতির কারবারিদের হাতের হ্যাঁচকা টানে আমরা তাঁতের মাকুর মতো আমরা একবার এদিক ছুটি, আর একবার ওদিক। মাকুর টানে কপড়ের মেঝের মতোই জমাট বাঁধে নেতাদের রাজনৈতিক জমি। আর আমরা? আমরা পুতুলনাচের পুতুলের চেয়েও অসহায়। রাজনীতির কারবারিদের অদৃশ্য রশির টানে আমরা নেচে মরি, আমরা পণ্য হই। কিন্তু, আর কতদিন? রাজনীতির কারবারিদের খাতায় মৃত্যু কি কেবলই একটা সংখ্যাই থেকে যাবে? রক্তকরবীর নন্দিনী সংখ্যার পরিচয় মুছে দিয়ে মানুষের স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছিলেন। কিন্তু, আমরা কি পারব? নাকি রাজনীতির কারবারিদের সৌজন্যে মৃত্যু পণ্যই থেকে যাবে? 
02nd  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
চীনা সাম্রাজ্যবাদ
সমৃদ্ধ দত্ত

 কোনও এক সময় শুরু হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানত বিহারের বিষহরি উৎসবের প্রধান হস্তশিল্প হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায় মঞ্জুষা। ভাগলপুরে ব্রিটিশ আমলে মঞ্জুষা শিল্প এতটাই খ্যাতি ও বাণিজ্য পেয়েছিল যে, এমনকী ম্যানচেস্টারেও নিয়ম করে যেত ওই সিরিয়াল আর্ট। বিশদ

01st  November, 2019
ভূস্বর্গে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুই
বুঝিয়ে দিল কাশ্মীর ভালো নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

 প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, তার একটা পন্থাও থাকে। উদ্দেশ্য অনেক সময় ঠিক থাকলেও দেখা যায় বহু ক্ষেত্রে পদ্ধতির ভুল থাকে। তাতে উদ্দেশ্য সফল হয় না। উল্টে তা আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনে। কাশ্মীরে সেই ঘটনাই ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2019
অতঃ কিম্‌
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 প্রশ্নটা অনিবার্যভাবেই উঠছে। চারদিকের পরিবেশ পরিস্থিতিই সাধারণ জনমনে প্রশ্নটা তুলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, কখনও-সখনও অপ্রত্যাশিত ঘটনার আকস্মিক ধাক্কায় প্রশ্নটা জিজ্ঞাসার সীমা ছাড়িয়ে কার্যত আমাদের বিস্ময়ে বিহ্বল করে দিচ্ছে। বিশদ

31st  October, 2019
বেসরকারিকরণ: অর্থনীতি এবং রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 মোদি সরকারের সাংসারিক হালচালটা একবার দেখে নেওয়া যাক। দেশের জিডিপি নেমে গিয়েছে ৫ শতাংশে। বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে কর্মসংস্থান তৈরি তো হচ্ছেই না, পাশাপাশি বাজারদর হু হু করে বাড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন বেচার সওদাগর। বিশদ

29th  October, 2019
উৎসবের সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 সোদপুরে এবার ঠাকুর দেখতে গেছেন? ওখানকার ওয়াটার-সাইড পুজোমণ্ডপে এবারের থিম ছিল বনবিবি দুর্গা। সেখানে দেখানো হয়েছে সুন্দরবনের কাঠুরে-মৎস্যজীবীদের জীবন। থিম দেখে কতটুকুই বা বুঝবেন ওদের। প্র্যাকটিক্যালি মৎস্যজীবীরা ট্রলার-ডুবিতে কত যে মরছে, জঙ্গলে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে কত যে ওদের ভোগান্তি-অশান্তি! অবশ্য উৎসবের মুখে (২১.০৯.১৯) জেলা প্রশাসন কাকদ্বীপে গিয়ে এফডি নয়ন ও দশভুজা নামের ট্রলার দুটির নিখোঁজ ২৩টি মাছ-মারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। এটাই বা মন্দ কী! তবু পরিবারগুলো সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কিন্তু উৎসবে কিছুটা চাঙ্গা হলেও হয়েছে তারা।
বিশদ

29th  October, 2019
প্রতিবেশীর আতঙ্ক বাড়াতে আইএস
জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানই
মৃণালকান্তি দাস

আমেরিকা কি সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানে বড় কোনও সাফল্য পেয়েছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ট্যুইট সেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সময় শনিবার রাতে ট্রাম্প ট্যুইটারে লেখেন, ‘এইমাত্র খুব বড় একটা ঘটনা ঘটল।’ তার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘মার্কিন সময় রবিবার সকাল নটায় বিরাট ঘোষণা করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’’  
বিশদ

28th  October, 2019
একনজরে
 ওয়াশিংটন, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): আগামী সপ্তাহেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। এই সফরকে তাঁদের অগ্রাধিকারের জায়গা বলেই দাবি করেছে পেন্টাগন। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বোল্লাকালী তাঁকে মূর্তি গড়তে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়েই ২০১১ সাল থেকে বোল্লাকালীর সুউচ্চ প্রতিমা তৈরি করছেন বালুরঘাটের মাঝিগ্রামের মৃৎশিল্পী হিমাংশু মহন্ত। ২০১১ সালের আগে তাঁর বাবা ভবেন মহন্ত বোল্লাকালীর মূর্তি গড়তেন।  ...

 নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণার মাত্র তিন দিনে বিএসএনএলের ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মী তা গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় সুপারিশ করা মানেই তা কার্যকর করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় এক বণিকসভার সভায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM