Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীনা সাম্রাজ্যবাদ
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও এক সময় শুরু হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানত বিহারের বিষহরি উৎসবের প্রধান হস্তশিল্প হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায় মঞ্জুষা। ভাগলপুরে ব্রিটিশ আমলে মঞ্জুষা শিল্প এতটাই খ্যাতি ও বাণিজ্য পেয়েছিল যে, এমনকী ম্যানচেস্টারেও নিয়ম করে যেত ওই সিরিয়াল আর্ট। সেখানে ব্যবহার করা হতো নতুন রূপে। মঞ্জুষার বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যেকটি পেন্টিং একটি করে গল্প বলে। সেই মঞ্জুষা আজ ক্ষয়প্রাপ্ত।
৯ মাস সময় লাগে একটি পার্সি গারা শাড়ি তৈরি করতে। ইরানে জন্ম হয়েছিল। তার পর এসে পৌঁছয় ভারতে। পার্সি এমব্রয়ডারি বিশ্বের অন্যতম সূক্ষ্ম এক শিল্পমাধ্যম। পার্সি এমব্রয়ডারিকে কেউ বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি। মোটামুটি সমাপ্তই বলা যায়।
ওয়ালেট থেকে মোবাইল পাউচ। বেডশিট থেকে চাদর। একটি বিশেষ টাইপের ডিজাইন সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। যার জন্মদাতা আদতে নীলগিরি পাহাড়ের পাদদেশে থাকা টোডা উপজাতি। এই মুহূর্তে মাত্র দেড় হাজার টোডা উপজাতি এই আর্ট ফর্মকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সরকার থেকে কোনও সহায়তা করা হয় না। বরং তারা জানতে পারছে সর্বত্র তাদের এই পেন্টিং-এর উপকরণ পাওয়া যায়। অথচ তাদের তো তেমন বিক্রি নেই? তাহলে রহস্যটা কী?
গোটা দেশে মাত্র ৬ জন এখনও রোগান পেন্টিং করে চলেছে। রাজস্থানের কচ্ছ এলাকার ক্ষেত্রি গ্রামের। ৬ ইঞ্জি মেটাল রড আর ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে এই রোগান পেন্টিং শাড়ির উপর আঁকা হয়। আর একজনও নেই এই পেন্টিং নিয়ে কাজ করার। অথবা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কারণ, কিছু ফরেনার ট্যুরিস্টদের লোকাল ট্যুরিস্টরা নিয়ে আসে আর তাদের কাছেই যা বিক্রি হয়। সরকার থেকে কখনও আগ্রহ দেখানো হয়নি। তাই ওই ৬ জনই রোগান পেন্টিংয়ের শেষ শিল্পী।
রাজস্থানের কাঠপুতলি অথবা ওড়িশার কান্দেরা। কিংবা কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মাটির পুতুল। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ কোটি টাকার লোকাল ক্লাস্টার প্রকল্পগুলিতে স্থান পায়নি। তাই পুতুল আর খেলনা শিল্প মৃতপ্রায়। এই প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো হস্তশিল্পটি সম্পূর্ণ চলছে সরকারি প্ল্যানের সহায়তা ছাড়াই।
এই প্রতিটি শিল্পের প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ কী? কারণ হল, এই প্রতিটি শিল্পের নকলে বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। কৃতিত্ব চীনের। অবিকল এই প্রাচীন ভারতীয় শিল্পগুলিকেই চীন প্রমোট করে নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে সচেষ্টা হয়েছে। এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টস, কটন টেক্সটাইলস, হ্যান্ডিক্র্যাফট—এই উপকরণ একটা সময় পর্যন্ত ভারত থেকেই আমদানি করত চীন। ক্রমেই সকলের অজান্তে সেই অনুপাত বদলে যাচ্ছে। খেলনা, ইলেকট্রিকাল প্রোডাক্ট, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, গাড়ি, মিল্ক প্রোডাক্ট, সার, অ্যান্টিবায়োটিকস, মোবাইল ইত্যাদি প্রোডাক্ট দিয়ে ভারতের বাজার ভাসিয়ে দিয়েছে চীন, সেটা সবাই জানে। কিন্তু নতুন প্রবণতা হল, ভারত যে উপকরণ চীনকে রপ্তানি করত, এখন সেখানেও হাত বাড়িয়েছে চীন। আর ভারতেরই প্রাচীন শিল্প কিংবা হস্তশিল্পগুলির নকল করে বিপুল পরিমাণে ভারতকেই সাপ্লাই করছে চীন। আর তার ফলে চরম অসাম্যের এক বাণিজ্যিক অনুপাত তৈরি হচ্ছে দিন দিন। কতটা আগ্রাসী হয়েছে চীন? খোঁজ নিলে জানা যাবে ভারতীয় টায়ার কোম্পানিকে পিছনে ফেলে সস্তার টায়ার ভারতে সাপ্লাই করে চীন ক্রমেই বাজার দখল করে নিচ্ছে। এমনকী মাছ ধরার জাল এখন সব থেকে বেশি বিক্রি হয় চাইনিজ নেট। বিগত তিন বছরে ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পে ভারত যে সব দেশ থেকে আমদানি করেছে ওষুধ নির্মাণের উপকরণ, তার মধ্যে এক নম্বর দেশের নাম চীন। শুধু খেলনা শিল্পের দিকে তাকালে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হবে। ভারতের ৮০ শতাংশ খেলনা বাণিজ্যই নিয়ন্ত্রণ করে চীন। মাত্র ২০ শতাংশ আসে অন্য দেশ থেকে। বণিকসভা অ্যাসোচেমের রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত ৫ বছরে ৪০ শতাংশ ভারতীয় খেলনা কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারতের আমদানি করা মোবাইলের মধ্যে ৫২.৬ শতাংশ স্মার্টফোন আসে চীন থেকে। যে ক্রিকেট নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত থাকি বিশ্বের সেরা র‌্যাঙ্কিং নিয়ে সেই ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের স্পনসরশিপ রাইট ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে রেখেছে চীনের মোবাইল সংস্থা ওপ্পো। প্রশ্ন হল, চীনের এই আগ্রাসন ঠেকানো কি সম্ভব নয়? ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বিধি অনুযায়ী কোনও দেশকে রপ্তানি করা থেকে অন্য কোনও চুক্তিবদ্ধ দেশ নিষিদ্ধ করতে পারে না। একমাত্র সম্ভব যদি কোনও সিকিউরিটি অথবা হেলথ সংক্রান্ত সমস্যা থাকে। ভারত ২০১৭ সালে ঘোষণা করেছিল যে সব মোবাইলের আইএমইআই নম্বর থাকবে না সেই সব চাইনিজ কোম্পানির মোবাইল ভারতে রপ্তানি করা যাবে না। চীন মেনে নিয়েছিল। এবং শান্ত ভাবে পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ভারতের কিছু দুগ্ধজাত পণ্য নিষিদ্ধ করেছিল চীনে। কারণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যা ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যে বড় আঘাত।
সম্প্রতি ভারতবাসী মিডিয়ায় একটি সংবাদ পাঠ করে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে উৎফুল্ল হয়েছে। সেটি হল, স্যামসাং এবং অ্যাপল তাদের চীনের প্রোডাকশন ইউনিটগুলি বন্ধ করে দিয়ে ভারতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ভেবে নিলাম এটা বোধহয় চীনকে জোর ধাক্কা দেওয়া গেল। আদতে উল্টো। চীনের ডোমেস্টিক মার্কেটে চীনের প্রথম সারির পাঁচটি মোবাইল সংস্থাই এত জনপ্রিয় যে অ্যাপল কিংবা স্যামসাং-এর প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে ভারতে চলে আসছে। কারণ ভারত নিজেদের সম্পর্কে খুব উচ্চ ধারণা পোষণ করে, অথচ আজ পর্যন্ত এটা বিশ্বব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পর্যন্ত তৈরি করতে পারল না। চীনের পাঁচটি মোবাইল কোম্পানির ব্র্যান্ড বিশ্বজয় করে চলেছে। ভারত মনপ্রাণ ঢেলে ফেক নিউজের গবেষণা করে, অথচ এখনও নিজস্ব একটা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারল না। এখনও আমাদের জনপ্রিয়তম সার্চ ইঞ্জিন আমেরিকার গুগল, আমাদের জনপ্রিয়তম সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম আমেরিকার ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ট্যুইটার। চীন এ সবের তোয়াক্কা করে না। তাদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া আছে।
এ সব বলার অর্থ হল, সারা বছর পাকিস্তানকে ভিলেন, হিন্দু বনাম মুসলিম, ঘটি বানাম বাঙাল, ৩৭০ আর রামমন্দির নিয়ে বিপুল এনার্জি ক্ষয় করে করে আমাদের আর নিজের দর তথা বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক ওজন ও স্ট্যাটাস বাড়ানোর কোনও ইচ্ছাই অবশিষ্ট থাকে না। ভারতে যখন বিভিন্ন বড় বড় দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসেন, আমরা ভাবি আমাদের বিরাট গুরুত্ব। আসলে একটু তলিয়ে দেখলে বুঝতে পারব, আমরা নেহাৎ একটা সার্বিক ক্রেতা। তাই আমাদের নানা ভাবে প্রশংসা করে হরেক রকম বিক্রেতার দল প্রোডাক্ট বিক্রি করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে চলে যায়। সেই প্রোডাক্ট কখনও অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। কখনও রাফাল। কখনও সারফেস টু এয়ার ক্রুজ মিসাইল, কখনও স্যামসাং, কখনও অ্যাপল। আমাদের এ রকম মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট কটা বিদেশি রাষ্ট্র ক্রয় করে?
চীন সম্পূর্ণ নিজেকে ফোকাস রেখে এগচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাসম্পন্ন রাষ্ট্র হওয়ার জন্য। কীভাবে? এশিয়া, আফ্রিকায় বৃহত্তম রপ্তানিকারী বাণি঩জ্যিক দেশ হওয়ার লক্ষ্যে চায়না পাকিস্তান ‌ইকনমিক করিডর চীনের সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ প্রকল্প। ভারত যখন কাশ্মীর, নিয়ন্ত্রণরেখা, তিন তালাক, ইংরেজি বনাম হিন্দির আলোচনায় মত্ত, তখন চীন ক্রমেই জট ছাড়াচ্ছে ইকনমিক করিডরের। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, চীন এই করিডরে পাকিস্তানের সাড়ে ৬ হাজার একর কৃষিজমি লিজে নিয়ে নিয়েছে। সেখানে হবে ১৭টি প্রকল্প। সাড়ে ৮ লক্ষ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সার কারখানার আস্ত প্ল্যান্ট হবে। ১০ লক্ষ টন শস্য ও সব্জি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাহিওয়ালে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হবে। ১৯৫০ সালে মাও সে তুং জিংজিয়াং প্রদেশকে গড়ে তুলেছিলেন রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র মডেলে। ঠিক সেই মডেলে পাকিস্তানের মধ্যেই একটি পৃথক চীনা বাণিজ্যিক রাষ্ট্র গড়ে তুলছে চীন। আর সেটা পাকিস্তানের পক্ষে সহায়ক। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিপুল ভাবে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। এর ফলে ক্রমেই পাকিস্তানের আমেরিকা নির্ভরতা কমছে। বালুচিস্তান আর খাইবার পাখতুনওয়ালায় খনিজ সম্পদের অধিকার চীন নিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তানের থেকে। এমনকী ওই এলাকার স্বর্ণখনির দিকে তাকিয়ে চীন এখানে গড়ে তুলছে মার্বেল ও গ্রানাইট প্রসেসিং সাইট। পাকিস্তানের গদরে চীন ইতিমধ্যেই একটি বন্দর বানিয়ে ফেলেছে। পশ্চিম এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলিতে পণ্য রপ্তানির লঞ্চপ্যাড এই গদর বন্দর। আর গদর বন্দরের সঙ্গে যোগস্থান করা হয়েছে কারাকোরাম হাইওয়ের। গদর বন্দরেই চীন গড়ে ন্যাভাল বেস। অর্থাৎ নৌবাহিনীর কেন্দ্র। গালফ অব আদেনের জিবুতির পর এটাই হবে চীনের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী কেন্দ্র। যা ভারতের কাছে বিপজ্জনক।
এই তথ্যাবলি সকলের জানা। এই তথ্য থেকে যে গোপন বার্তাটি বেরিয়ে আসছে তা হল আমরা কথায় কথায় পাকিস্তানকে নিয়ে হাসাহাসি করি, কটাক্ষ করি, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করি, একবারও তো ভাবি না যে এত আন্তর্জাতিক নিন্দা সমালোচনা সত্ত্বেও পাকিস্তান কেন বহাল তবিয়তে একই ভাবে জঙ্গি সাপ্লা‌ই করে যাচ্ছে? কীসের জোর পাকিস্তানের? জোর হল, চীনের এবং আমেরিকারও। আমেরিকা ভারতকে খুশি করতে হোয়াইট হাউস থেকে পাকিস্তানকে নরম গরম বকুনি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিপুল আর্থিক কিংবা কূটনৈতিক ধাক্কা পাকিস্তান খায়নি। নাম কা ওয়াস্তে কিছু প্রতীকী নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। কিন্তু দেখা যায় পাকিস্তান যথারীতি আমেরিকা থেকে সব রকম অস্ত্র ও বাণিজ্যিক লেনদেন করে চলেছে। আর পাকিস্তানের একটা বিরাট অংশ কার্যত চীনের কলোনিতে‌ই পরিণত হয়েছে। সুতরাং চীন নিজের স্বার্থেই পাকিস্তানের সঙ্গে চিরকাল থাকবে। চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডর হয়ে গেলে আগামী দিনে চীন আরও বিপুল পরিমাণ পণ্য সাপ্লাই করবে ভারতে। আমাদের অভ্যন্তরীণ মার্কেট ক্রমেই ধ্বংস হবে। চীনের আগ্রাসনের প্রতিরোধ করতে আমাদের পাল্টা প্ল্যান কী?
প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক পাওয়ার স্ট্রাগলে ক্ষমতার এই দুই প্রধান ভরকেন্দ্রের ক্ষেত্রেই চীন নিজেদের শক্তিতে বলীয়ান। আর আমরা সামরিক শক্তিতে বিদেশের থেকে ক্রয় করা অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল আবার বাণিজ্য তথা অর্থনীতিতেও চরম মন্দায় আক্রান্ত। এই তথ্যটা কিন্তু তাবৎ বিশ্ব বুঝতে পারছে। অতএব, নন-সিরিয়াস বিষয় নিয়ে দিনভর মাতামাতি করার তুলনায় এখনই সরকারের উচিত ভারতের প্রকৃত শক্তিবৃদ্ধি করার কোনও সঠিক প্ল্যান করা! না হলে আগামীদিনে হয়তো ভাইফোঁটায় চীনের রসগোল্লাই বেশি করে বাজার দখল করবে! আবার আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও চীনই হবে বৃহত্তম শক্তি! সমস্যা হল, অর্থনীতি, বিদেশনীতি, কূটনীতি নিয়ে ভারত যে কী ভাবছে, সেটা‌ই স্পষ্ট নয়! রাজনৈতিক ঘোষণা, বিজ্ঞাপনে, সরকারি বিবৃতি অনেক হল। এবার আমরা সত্যিকারের শক্তিশালী হতে চাই ঘরে বিশ্বের দরবারে! সরকার কি পারবে? তারা নিজেরা কী ভাবছে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে? এটা জানা দরকার!
01st  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
বন্ধ হোক মৃত্যুকে রাজনীতির পণ্য বানানো
তন্ময় মল্লিক

জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত। শৈশবের গণ্ডি ছাড়াতে না ছাড়াতেই অমর কবির এই কবিতা প্রথম শিখিয়েছিল, জন্ম আর মৃত্যু এক সুতোয় বাঁধা। ভাবসম্প্রসারণ লিখতে গিয়ে শিখেছিলাম, জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিই হল মৃত্যু। আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন মানুষের মতে, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন।   বিশদ

02nd  November, 2019
ভূস্বর্গে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুই
বুঝিয়ে দিল কাশ্মীর ভালো নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

 প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, তার একটা পন্থাও থাকে। উদ্দেশ্য অনেক সময় ঠিক থাকলেও দেখা যায় বহু ক্ষেত্রে পদ্ধতির ভুল থাকে। তাতে উদ্দেশ্য সফল হয় না। উল্টে তা আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনে। কাশ্মীরে সেই ঘটনাই ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2019
অতঃ কিম্‌
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 প্রশ্নটা অনিবার্যভাবেই উঠছে। চারদিকের পরিবেশ পরিস্থিতিই সাধারণ জনমনে প্রশ্নটা তুলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, কখনও-সখনও অপ্রত্যাশিত ঘটনার আকস্মিক ধাক্কায় প্রশ্নটা জিজ্ঞাসার সীমা ছাড়িয়ে কার্যত আমাদের বিস্ময়ে বিহ্বল করে দিচ্ছে। বিশদ

31st  October, 2019
বেসরকারিকরণ: অর্থনীতি এবং রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 মোদি সরকারের সাংসারিক হালচালটা একবার দেখে নেওয়া যাক। দেশের জিডিপি নেমে গিয়েছে ৫ শতাংশে। বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে কর্মসংস্থান তৈরি তো হচ্ছেই না, পাশাপাশি বাজারদর হু হু করে বাড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন বেচার সওদাগর। বিশদ

29th  October, 2019
উৎসবের সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 সোদপুরে এবার ঠাকুর দেখতে গেছেন? ওখানকার ওয়াটার-সাইড পুজোমণ্ডপে এবারের থিম ছিল বনবিবি দুর্গা। সেখানে দেখানো হয়েছে সুন্দরবনের কাঠুরে-মৎস্যজীবীদের জীবন। থিম দেখে কতটুকুই বা বুঝবেন ওদের। প্র্যাকটিক্যালি মৎস্যজীবীরা ট্রলার-ডুবিতে কত যে মরছে, জঙ্গলে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে কত যে ওদের ভোগান্তি-অশান্তি! অবশ্য উৎসবের মুখে (২১.০৯.১৯) জেলা প্রশাসন কাকদ্বীপে গিয়ে এফডি নয়ন ও দশভুজা নামের ট্রলার দুটির নিখোঁজ ২৩টি মাছ-মারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। এটাই বা মন্দ কী! তবু পরিবারগুলো সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কিন্তু উৎসবে কিছুটা চাঙ্গা হলেও হয়েছে তারা।
বিশদ

29th  October, 2019
প্রতিবেশীর আতঙ্ক বাড়াতে আইএস
জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানই
মৃণালকান্তি দাস

আমেরিকা কি সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানে বড় কোনও সাফল্য পেয়েছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ট্যুইট সেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সময় শনিবার রাতে ট্রাম্প ট্যুইটারে লেখেন, ‘এইমাত্র খুব বড় একটা ঘটনা ঘটল।’ তার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘মার্কিন সময় রবিবার সকাল নটায় বিরাট ঘোষণা করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’’  
বিশদ

28th  October, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণার মাত্র তিন দিনে বিএসএনএলের ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মী তা গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। ...

 বিএনএ, বারাকপুর: কয়েকজন মহিলার সাহস ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধির ফলে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। ট্রেন লাইনে ফাটল দেখে লাল গামছা দেখিয়ে আপ বারাকপুর লোকাল দাঁড় করালেন মহিলারা। ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ৬৫তম স্কুল গেমসে যোগাসনে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা পেল কোতুলপুরের সাত্ত্বিক ভট্টাচার্য ও বিপ্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত্ত্বিক অনূর্ধ্ব ১৭ এবং বিপ্রতীপ অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় সুপারিশ করা মানেই তা কার্যকর করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় এক বণিকসভার সভায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM