Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেসরকারিকরণ: অর্থনীতি এবং রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে ভারত পেট্রলিয়ামের নিট প্রফিট ছিল ৩১২৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। আগের ত্রৈমাসিকের থেকে ১৬.২১ শতাংশ বেশি। এরপরও নরেন্দ্র মোদি সরকার বেসরকারিকরণের জন্য যে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নাম নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে, তার মধ্যে রয়েছে বিপিসিএল। নিশ্চয়ই গুরুতর সিদ্ধান্ত! নিশ্চয়ই এর নেপথ্যে কোনও কারণ রয়েছে! কিন্তু সাধারণ মানুষ কি অতশত বোঝে? বরং তারা ভাবে, যে মুরগি সোনার ডিম দেয়, তাকে কেউ বিক্র করে নাকি? অর্থাৎ, যে সংস্থা চালাতে সরকার অপারগ, তাকেই বিক্রি করবে। লাভজনক সংস্থাকে নয়। তাহলে এই সিদ্ধান্ত কেন? তাহলে আর একটা কারণ হতে পারে... সংসার চালাতে না পারলে গৃহকর্তা যেমন গয়না-ঘটিবাটি বিক্রি করে দেন, ব্যাপারটা খানিকটা তেমন। মোদি সরকারের অর্থনীতির এখন যা দশা, তাতে বন্ধ চোখে উবু... এক... দুই... তিন গুনে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, সেটাই বেচেবুচে কোষাগারে অক্সিজেন দেওয়া। বাস্তবে সেটাই হচ্ছে।
মোদি সরকারের সাংসারিক হালচালটা একবার দেখে নেওয়া যাক। দেশের জিডিপি নেমে গিয়েছে ৫ শতাংশে। বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে কর্মসংস্থান তৈরি তো হচ্ছেই না, পাশাপাশি বাজারদর হু হু করে বাড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি স্বপ্ন বেচার সওদাগর। আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখার ছিল সেই শুরু। নোট বাতিলে লক্ষাধিক ভারতীয়ের চাকরি যাওয়া, জিএসটি চালুর পর ছোট ছোট কোম্পানিগুলিতে তালা ঝুলে যাওয়ার পরও সেই স্বপ্ন থেকে মুখ ফেরায়নি দেশ। গত লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি জনসমর্থন নিয়ে ফিরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবং নিন্দুকে বলছে, অর্থনীতির টানাপোড়েন তারপর আরও বেড়েছে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে গেলে বেসরকারি সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করতেই হবে। মানুষের হাতে টাকার জোগান না থাকায় খুব স্বাভাবিকভাবে পণ্য বিক্রি কমেছে। অর্থাৎ চাহিদার ঘাটতি। চাহিদা না থাকলে পণ্যের সরবরাহ কমবে। কোম্পানিগুলিও উৎপাদন কমিয়ে আনবে। চাকরি যাবে আরও হাজার হাজার মানুষের। কেন্দ্রীয় সরকার তাই একটা ফাটকা খেলল... সর্বোচ্চ কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে নিয়ে এল ২৫.২ শতাংশে। এর ফলে কী হতে পারে? প্রথমত, লাভের টাকা বেশি করে হাতে থাকলে উৎপাদনের দিকে ঝুঁকতে পারে সংস্থাগুলি। তেমন কিছু সত্যিই হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। দ্বিতীয়ত, কর্পোরেট সংস্থাগুলি সরকারের তথা শাসক দলের প্রতি সদয় হবে। যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে আসন্ন সব নির্বাচনে। ভোটব্যাঙ্কের প্রসঙ্গই যদি ওঠে, তাহলে সাধারণ মানুষকে তো কিছুটা ফুল-বেলপাতা দিতেই হবে! তাই শোনা যাচ্ছে ব্যক্তিগত আয়করেও ছাড়ের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ১০ শতাংশ কমিয়েই সরকারি কোষাগারে দেড় লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব কম আসবে। তার উপর ব্যক্তিগত আয়করেও ছাড় ঘোষণা করে দিলে রাজস্ব ঘাটতি আরও বাড়বে। অর্থনীতির আজকের বেহাল দশায় পরিকাঠামো খাতে উন্নয়নে সরকারকে আপাতত বিনিয়োগ বাড়াতেই হবে। একইসঙ্গে জোর দিতে হবে বাজারে নগদের জোগানে। গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কোষাগার সমৃদ্ধ করা নিদারুণভাবে প্রয়োজনীয়। তাই উপায়? ওই যে... ঘটি-বাটি বিক্রি! রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি। পারলে কোপ ‘নবরত্নে’ও। অঙ্কটা অন্য জায়গায়... বেশ কিছু এমন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সরকার তালিকায় রেখেছে, যাদের শেয়ার বিক্রি করলেও তারা বেসরকারি হয়ে যাবে না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ইন্ডিয়ান অয়েল... এখনই এই সংস্থায় সরকারের সরাসরি অংশীদারিত্ব ৫১.৫ শতাংশের নীচে। অথচ, ইন্ডিয়ান অয়েলে ওএনজিসির শেয়ার রয়েছে ১৪ শতাংশ, অয়েল ইন্ডিয়ার ৫.১৬ শতাংশ এবং এলআইসির ৬.৫ শতাংশ। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার যদি আরও ২০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দেয়, তাহলেও কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশের নীচে নামবে না। অর্থাৎ, ইন্ডিয়ান অয়েল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাই থাকবে। একইভাবে রয়েছে এনটিপিসি, ভারত ইলেক্ট্রনিক্স, বিইএমএল, গেইল, ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়ামের মতো সংস্থা। এই প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের শেয়ার ৬০ শতাংশের নীচে। কিন্তু অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারিত্ব মোদি সরকারকে আরও শেয়ার বিক্রির সুযোগ দিচ্ছে।
সম্প্রতি মোদি সরকার যে তালিকা বানিয়েছে, তাতে এমন বহু কোম্পানিই রয়েছে... ভারত পেট্রলিয়াম, নিপকো, শিপিং কর্পোরেশন, এয়ার ইন্ডিয়া, টিএইচডিসি...। লক্ষ্য, এই সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করে আগামী পাঁচ বছরে ৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করা। আর ২০২০ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার। প্রশ্ন হল, সেটাও কি সম্ভব হবে? ১৯৯১-’৯২ সালে যখন বেসরকারিকরণের রাস্তা খুলে দেওয়া হল, তখন ১০ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে ৫৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আদায় ছিল প্রাথমিক টার্গেট। যদিও ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি কোষাগারে ভরতে পারেনি সরকার। প্রথম যে ৩১টি সংস্থাকে নিয়ে তালিকা তৈরি হয়েছিল, তার থেকে আয় হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এর নেপথ্যে অবশ্য অন্য অঙ্ক ছিল। অনেক সমীকরণ না মেলা অঙ্ক।
১৯৮০ থেকে ’৯০-এর দশকে উন্নত অর্থনীতির কিছু দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণের একটা হিড়িক দেখা গিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বেশ কয়েকটা... সংস্থাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে চাঙ্গা করা, সরকারি হস্তক্ষেপ কমানো, সংস্থার লাভের পরিমাণ বাড়ানো এবং মার্কেটে মনোপলি ভেঙে সুস্থ প্রতিযোগিতার একটা পরিবেশ তৈরি। পাশাপাশি সরকারি কোষাগার আরও সমৃদ্ধ তো হবেই। আবার একটা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারি হাতে যাওয়া মানে তার শেয়ার উন্মুক্ত হয়ে গেল বাজারের জন্য। ফলে সেই কোম্পানির মার্কেট চাঙ্গা হবে। দাম বাড়বে শেয়ারের। আলোর মুখ দেখবে বাজার অর্থনীতিও। এই এতগুলো শর্ত একসঙ্গে পূরণ হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতি চড়চড় করে আকাশ ছোঁবে। কিন্তু সেই সময়ে কিছু সমস্যা দেখা দিল। যে ভাবনা নিয়ে বেসরকারিকরণের ঘোড়া ছুটেছিল, তা আর্থ-সামাজিক পাঁকে আটকে অনেক জায়গাতেই মুখ থুবড়ে পড়ল। এবং উন্নত অর্থনীতির দেশগুলি তার থেকে শিক্ষাও নিল। কেমন শিক্ষা? আঁটঘাট বেঁধে নীতি তৈরিতে জোর দিল দেশগুলি। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রির আগাম কিছু শর্ত চাপানো হল। প্রস্তাব দেওয়া হল, কোনও সংস্থার দায় ঘাড় থেকে নামিয়ে দেওয়ার আগে সরকার যেন সবদিক ভেবে কিছু নীতি নির্ধারণ করে নেয়। একটা সংস্থা যে পণ্য তৈরি করে বা যে পরিষেবা দেয়, তার সঙ্গে বহু গ্রাহক এবং কর্মীর স্বার্থ জড়িয়ে থাকে। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যাক, একটি বিমান সংস্থা... এমন বহু ব্যক্তি থাকতেই পারেন, যাঁরা ওই সংস্থার পরিষেবা নিতেই স্বচ্ছন্দ। বেসরকারিকরণের ফলে যদি সেই পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটে, তাহলে তার বাঁধা গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। যার ফল ভোগ করতে হবে সামনে থাকা বিমানকর্মীদের। যাঁদের হাল অনেক ক্ষেত্রেই আরও খারাপ দিকে যায়। প্রচুর পরিমাণে ছাঁটাই, বেতন নিয়ে সমস্যা, চাকরি পরবর্তী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চনা... এমন অনেক কিছু। ফলে একটি সংস্থা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বিক্রির আগে সরকার যে নীতি তৈরি করে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সবার আগে সরকারকে যা করতে হয় সেটা হল, কর্মী সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া। শেয়ার হস্তান্তরের নীতি এমনভাবে তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে বেসরকারি হাতে গেলেও সেই সংস্থার কর্মীদের চাকরি নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা না তৈরি হয়। যদিও আদপে তেমন কিছু হয় না। বেসরকারিকরণের ফলে একটি সংস্থার পরিচালন দক্ষতা যেমন বাড়ে, ঠিক তেমনই কর্মীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার একটা আবহ তৈরি হয়। সব সময় কী হবে, কী হবে একটা ব্যাপার...। আদৌ চাকরিটা থাকবে তো? মাইনে যা পেতাম, তা পাব তো?... এমন নানা প্রশ্ন আতঙ্কের আকারে ঘুরতে শুরু করে।
এ তো গেল কর্মী সমস্যা। একটি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় খুব বেশি হলে কয়েক হাজার কর্মীর এই সমস্যা হবে। কিন্তু বিরাট ধাক্কা আসতে পারে বাজার অর্থনীতিতে। ধরা যাক, ভারত সরকার কোল ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ করল। এবং ভারত সরকারের হাতে সেই সংস্থার ৫০ শতাংশের কম শেয়ার রয়ে গেল। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে কোল ইন্ডিয়ার উপর কেন্দ্রের আর নিয়ন্ত্রণ থাকল না। এবার বেসরকারি সংস্থাটি যদি যথেচ্ছভাবে কয়লার দাম বাড়ায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়বে বাজার অর্থনীতির উপর। বাড়বে বিদ্যুতের দাম। আর বিদ্যুতের দাম বাড়লে যে কোনও পণ্যেরই উৎপাদন খরচ পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফলে যে জিনিসটা আমরা হয়তো ১০ টাকায় কিনতাম, তার দাম ১৫ টাকা হয়ে যেতেই পারে। একই সমস্যা পরিষেবার ক্ষেত্রেও হতে পারে। ধরা যাক, বিএসএনএলের কথা। আপাতত এমটিএনএলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে এবং প্যাকেজ দিয়ে সংস্থাটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। এবার যদি এই সংস্থারও বেসরকারিকরণ ঘটে, পরিষেবার কিন্তু অতটাও সস্তা হবে না! ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থাগুলি তখন নিজেদের ইচ্ছেমতো পরিষেবার জন্য দাঁ হাঁকবে। অর্থাৎ সরকারি হাতে সংস্থা থাকা মানে একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা। পণ্য এবং পরিষেবার উপর নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাওয়া মানেই সাধারণ মানুষের উপর কোপের সম্ভাবনা প্রবল হওয়া।
দেশের অর্থনীতির এখন যা অবস্থা তাতে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বাজারে নগদের জোগান বাড়ানোর জন্য সরকারকে কোষাগার ভরাতেই হবে। আর তার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ ছাড়া সেই অর্থে আর কোনও রাস্তা মোদি সরকারের হাতে নেই। কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা? অবশ্যই লাভজনক। যে সংস্থা ধুঁকছে, তাকে বিক্রি করলে কি আর যোগ্য দাম তৈরি হবে? কখনওই না। আবার আরও একটা বিষয় দেখতে হবে। যে সংস্থা বিক্রি করার কথা ভাবা হচ্ছে, তার উৎপাদিত পণ্যের বাজার এই মুহূর্তে কেমন যাচ্ছে। যদি বিশ্ব বাজারে কয়লার দাম নিম্নগামী হয়, তাহলে কোল ইন্ডিয়ার শেয়ার বিক্রি করে মোটেই চাহিদামতো দাম পাওয়া যাবে না।
এবার রাজনীতি। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হোক বা সাধারণ মানুষ, বেসরকারিকরণের ফলে যদি হেঁশেলে টান পড়ে, শাসক দল তার ঝাঁঝটা বুঝবে পরের ভোটে। ভারতের ভোটাররা চলতি বছরের লোকসভা ভোটেও নরেন্দ্র মোদিকে ঢেলে আশীর্বাদ করেছেন। এবার একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানায় কেঁদে কঁকিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র এখনও ঝুলে। শিবসেনা সেখানে পারলেই বিজেপিকে একহাত নিচ্ছে। কাজেই বড্ড এবড়োখেবড়ো রাস্তা। বুঝে পা না ফেললেই আছাড় নিশ্চিত।
29th  October, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
বন্ধ হোক মৃত্যুকে রাজনীতির পণ্য বানানো
তন্ময় মল্লিক

জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত। শৈশবের গণ্ডি ছাড়াতে না ছাড়াতেই অমর কবির এই কবিতা প্রথম শিখিয়েছিল, জন্ম আর মৃত্যু এক সুতোয় বাঁধা। ভাবসম্প্রসারণ লিখতে গিয়ে শিখেছিলাম, জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিই হল মৃত্যু। আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন মানুষের মতে, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন।   বিশদ

02nd  November, 2019
চীনা সাম্রাজ্যবাদ
সমৃদ্ধ দত্ত

 কোনও এক সময় শুরু হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানত বিহারের বিষহরি উৎসবের প্রধান হস্তশিল্প হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায় মঞ্জুষা। ভাগলপুরে ব্রিটিশ আমলে মঞ্জুষা শিল্প এতটাই খ্যাতি ও বাণিজ্য পেয়েছিল যে, এমনকী ম্যানচেস্টারেও নিয়ম করে যেত ওই সিরিয়াল আর্ট। বিশদ

01st  November, 2019
ভূস্বর্গে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুই
বুঝিয়ে দিল কাশ্মীর ভালো নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

 প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, তার একটা পন্থাও থাকে। উদ্দেশ্য অনেক সময় ঠিক থাকলেও দেখা যায় বহু ক্ষেত্রে পদ্ধতির ভুল থাকে। তাতে উদ্দেশ্য সফল হয় না। উল্টে তা আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনে। কাশ্মীরে সেই ঘটনাই ঘটেছে। বিশদ

01st  November, 2019
অতঃ কিম্‌
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 প্রশ্নটা অনিবার্যভাবেই উঠছে। চারদিকের পরিবেশ পরিস্থিতিই সাধারণ জনমনে প্রশ্নটা তুলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, কখনও-সখনও অপ্রত্যাশিত ঘটনার আকস্মিক ধাক্কায় প্রশ্নটা জিজ্ঞাসার সীমা ছাড়িয়ে কার্যত আমাদের বিস্ময়ে বিহ্বল করে দিচ্ছে। বিশদ

31st  October, 2019
উৎসবের সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 সোদপুরে এবার ঠাকুর দেখতে গেছেন? ওখানকার ওয়াটার-সাইড পুজোমণ্ডপে এবারের থিম ছিল বনবিবি দুর্গা। সেখানে দেখানো হয়েছে সুন্দরবনের কাঠুরে-মৎস্যজীবীদের জীবন। থিম দেখে কতটুকুই বা বুঝবেন ওদের। প্র্যাকটিক্যালি মৎস্যজীবীরা ট্রলার-ডুবিতে কত যে মরছে, জঙ্গলে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে কত যে ওদের ভোগান্তি-অশান্তি! অবশ্য উৎসবের মুখে (২১.০৯.১৯) জেলা প্রশাসন কাকদ্বীপে গিয়ে এফডি নয়ন ও দশভুজা নামের ট্রলার দুটির নিখোঁজ ২৩টি মাছ-মারা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। এটাই বা মন্দ কী! তবু পরিবারগুলো সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কিন্তু উৎসবে কিছুটা চাঙ্গা হলেও হয়েছে তারা।
বিশদ

29th  October, 2019
প্রতিবেশীর আতঙ্ক বাড়াতে আইএস
জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানই
মৃণালকান্তি দাস

আমেরিকা কি সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানে বড় কোনও সাফল্য পেয়েছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ট্যুইট সেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সময় শনিবার রাতে ট্রাম্প ট্যুইটারে লেখেন, ‘এইমাত্র খুব বড় একটা ঘটনা ঘটল।’ তার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘মার্কিন সময় রবিবার সকাল নটায় বিরাট ঘোষণা করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’’  
বিশদ

28th  October, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণার মাত্র তিন দিনে বিএসএনএলের ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মী তা গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। ...

 বিএনএ, বারাকপুর: কয়েকজন মহিলার সাহস ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধির ফলে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। ট্রেন লাইনে ফাটল দেখে লাল গামছা দেখিয়ে আপ বারাকপুর লোকাল দাঁড় করালেন মহিলারা। ...

বিএনএ, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে বিজেপির মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে নব্য ও আদিদের মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। দ্বন্দ্বের কারণে তারা বহরমপুর উত্তর এবং দক্ষিণ মণ্ডল কমিটির সভাপতির নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।  ...

 নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে আগেই অশনি সঙ্কেট শুনিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও বিশ্বব্যাঙ্ক। এবার আর্থিক মন্দা থাবা বসাল ভারতের আন্তর্জাতিক রেটিংয়ে। রেটিং প্রদানকারী সংস্থা মুডিজ দেশের রেটিং স্থিতিশীল (স্টেবল) থেকে কমিয়ে নেতিবাচক (নেগেটিভ) করে দিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM