কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
সংসারের মধ্যে সকলকে হরিময় দেখবে—ভাববে, হরি আমার সর্বভূতে আছেন। ঐ রকম করতে করতেই ‘তৃণাদপি সুনীচঃ’ হয়ে যাবে। সকলের কাছে বসবে ও শুনবে কেবল হরিকথা। যে স্থানে হরিগুণানুকীর্তন হয় না, সে জায়গা শ্মশানের মতো বলে জানবে। এই হরিনামের বলে শ্মশানের ভূত পর্যন্ত পালিয়ে যায়। তাঁর নাম কর, তাঁকে ডাক। তিনি তো আপনার লোক। কেন তিনি দেখা দেবেন না? তাঁর কাছে সব জানাও, তিনিই সৎপথ দেখিয়ে দেবেন। আবদার করতে হয় তো তাঁর কাছেই কর। তিনি সব পূরণ করে দেবেন। দীক্ষা আর কি? তোমার যে নামে মতিগতি, তুমি তাই করবে। বিশ্বাস করে মনের অভিলাষ-মতো নাম করলেই হলো। দীক্ষিত হওয়া তেমন কিছু নয়—এই ধ্যান-ধারণাই করতে হবে, তাঁকে প্রাণের সহিত ডাকতে হবে। তাঁতে আরও বিশ্বাস ভালবাসা হবে, এইজন্য একজনকে মেনে নিয়ে কাজ করা। এখন খুব ধ্যান লাগাও। প্রথম অবস্থায় প্রার্থনা করা ভাল। তাঁকে ডাকবে, তাঁর মহিমা কীর্তন করে তাঁর প্রার্থনা আরম্ভ করবে।
ভগবানকে ডাকবে আর বলবে—‘হে ভগবান, তোমার এই চন্দ্র-সূর্য তোমার এই সৃষ্টি। তুমি দয়াময়, সর্বজ্ঞ, অন্তর্যামী, তুমি আমার প্রতি সদয় হও, আমাকে সদবুদ্ধি দাও, শ্রদ্ধা দাও, ভক্তি দাও, ভালবাসা দাও’—এই বলে তাঁকে ডাকবে।
হাজার কাজই থাক আর যাই কেন না হোক, নিত্য দুবেলা তাঁর স্মরণ-মনন করতে ভুলো না। দেহ-মন শুদ্ধ, শরীর নির্মল ও নিষ্পাপ করতে তাঁর নামজপ ও ধ্যানভজন ছাড়া দ্বিতীয় জিনিস আর কিছুই নেই। তিনি বড় সহজ, বড় আপনার। তাঁকে আপনার করে ফেল—তাঁরই হয়ে যাও। প্রিয় বস্তু যদি দুর্লভ হন, তবে তিনি পরমপ্রিয় হন। নাম কর, নাম শোন। নামই ভগবান। নাম না করে যা কিছু করবে, তাতে গোলকধাঁধায় ঘুরে মরবে।
সাধন ভজন
খুব নিষ্ঠা করে সাধনভজন কর। একদিনও বাদ দিবি নে—ভাল লাগুক আর নাই লাগুক, নিয়মিত সময়ে আসন করে বসবি। এই নিষ্ঠার সহিত অন্ততঃ তিন বৎসর যদি করতে পারিস তখন দেখবি ভগবানের উপর একটা প্রীতি আসবে। তখন আপনা থেকেই ভগবানকে ডাকতে ইচ্ছা যাবে, চেষ্টা করেও মনকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারবি নে। মনের অবস্থা এইরূপ যখন হবে তখন ধ্যানজপ করে বেশ আনন্দ পাবি।