বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
রামচন্দ্র লক্ষ্মণের কাছে জল খেতে চাইলেন। সেখানে কোন জলাশয় ছিল না। তাই লক্ষ্মণ ভূমিতে তীর মারলেন। তীর মারতেই কিন্তু রক্ত উঠলো। রাম বললেন—খোঁড়া (খুঁড়ে দেখ)। খুঁড়তে দেখা গেল— একটা ব্যাঙ রয়েছে। রাম ব্যাঙকে বললেন—‘‘তুমি বল নাই কেন?’’ ব্যাঙ বললে—‘‘রাম, অপরে মারলে তোমায় ডাকি, তুমি মারলে আর কাকে ডাকব বল?’’
সুরেশ মিত্র মঠ-বাড়ীর ভাড়া দিতো। একদিন সুরেশ মিত্রকে আসতে দেখে স্বামীজী বললে—‘‘যা, সব ছাদে চলে যা; কে এখন ওর সঙ্গে বসে খোসগল্প করে?’’ সব ওপরে চলে গেল। সুরেশ মিত্র এসে দেখে কেউ নেই; তখন কেঁদে বললে—‘‘দু’দণ্ড তোদের কাছে জুড়ুতে আসি, তা তোরা যদি এ রকম করিস্ তো কোথায় যাব?’’ সুরেশ মিত্র ঠাকুরের ‘রসদ্দারদের’ মধ্যে একজন। তখন সে সাহায্য না করলে মঠফঠ কিছুই থাকতো না।
ঠাকুর চলে গেলে কেউ বললে, ‘ঠাকুর আমায় বেশী ভালবাসতেন,’ অন্য কেউ, ‘আমার বেশী’— এইরকম মাঝে মাঝে ঝগড়া হতো। ঠাকুর সকলকে এমনি ভালবাসতেন যে, প্রত্যেকেই মনে করতো তাকেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসেন। একদিন আমি অমনি ঝগড়া দেখে বললাম— ‘তিনি (ঠাকুর) কিছু রেখে যান নি, তাতেও তোরা সব ঝগড়া কচ্ছিস, আর যদি কিছু রেখে যেতেন, তা হলে তোরা নিশ্চয়ই মকদ্দমা লড়্তিস।’
গয়াতে যত অবতারের উৎপত্তি স্থান। এখানে চৈতন্যদেবের উৎপত্তি, দীক্ষাগ্রহণ, ভগবৎ-প্রেমের বিকাশ; ঐখানেই ঠাকুরের (শ্রীরামকৃষ্ণদেবের) উৎপত্তি-পিতাকে স্বপ্নদান; আবার ঐখানেই বুদ্ধদেবের উৎপত্তি, সিদ্ধিলাভ, প্রেম-প্রচার (হয়েছিল)।
রাসমণির বাপের বাড়ী হালিশহরে। তাঁকে বিয়ে করবার পর হতেই তাঁর স্বামীর অবস্থা ফিরে যায়। তাঁর স্বামী একস্চেঞ্জে (exchange) জিনিস কিনতেন। অল্পদামে জিনিস কিনে খুব বেশী দামে বিক্রি করতেন। এইভাবে ক্রমে অনেক টাকার কারবার রোজ করতেন। রাসমণির ভাগ্যে তিনি খুব অল্প দিনে ধনী হয়ে গেলেন।
রাসমণির জামাই মথুরবাবু খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। রাসমণির ষ্টেটের আয় তিনি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই বাড়্তি টাকা হতে অনেক সদ্ব্যয় করতেন। কোন সময় ঠাকুর মথুরবাবুকে বলেছিলেন— ‘‘এখানে সব ভক্ত আসবে।’’ মথুরবাবু বললেন— ‘বাবা, আমি তা দেখে যেতে পারলেন না।’ ঠাকুর বললেন— ‘‘মথুর, তারা সব আসবে— আসবে!’’ মথুর বললেন— ‘‘বাবা, যদু মল্লিকের বাগানটা কিনে রেখে যাই, তোমরা ভক্তরা এসে থাকবে।’’ ঠাকুর বললেন, ‘‘না মথুর, মা তাদের যোগাড় করে দেবেন, তোমায় কিছু করতে হবে না।’’
একজন ঠাকুরকে বললে—‘‘মশায়, এক ন্যাংটা সাধু এসেছেন; লোকে বলে খুব ভাল সাধু; দেখতে যাবেন?’’ ঠাকুর বললেন— ‘‘হা, আমি শুনে দেখতে গিছলাম; দেখলাম— ন্যাংটো বটে, কিন্তু আনন্দ পায় নি।’’ ন্যাংটো হলেই কি আর ত্রৈলঙ্গ স্বামী হয় রে? ন্যাংটো হলেই আনন্দলাভ হয় না। ওটা অভ্যাস করলেও হতে পারে।যার কাশীতে মৃত্যু হয়, সে মহা ভাগ্যবান। স্বয়ং শিব তার কানে মন্ত্র দেন। ঠাকুর বলতেন—‘‘কাশীতে মণিকর্ণিকার ঘাট নৌকা করে দেখতে গিছলাম। দেখি—স্বয়ং বিশ্বনাথ দেহান্তে তারকব্রহ্ম নাম দিচ্ছেন, আর মা বন্ধন বেটে দিচ্ছেন।’’