Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন। আহত হলেন আরও ৪০/৪৫ জন! জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সিআরপিএফ কনভয়ে গাড়িবোমা রকেট লঞ্চার সমেত নানা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সন্ত্রাসীরা—আর তার ভয়াবহতায় হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা ফের একবার শিহরিত হল। অতজন বীর জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যু ফের একবার বাকরুদ্ধ করে দিল আমাদের, শোক আর ক্ষোভের আগুন ছড়াল দেশজুড়ে—সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পথঘাট, অফিস-কাছারি, এমনকী সাধারণ ঘরের অন্দরমহলেও ঢেউ তুলল শোকাহত ক্রুদ্ধ মানুষের নানা প্রশ্ন, নানা জিজ্ঞাসা! ঠিকই, কাশ্মীরের মাটিতে এমন ঘটনা নতুন নয়। দেশভাগের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের এই ভূখণ্ড নিয়ে গোলমাল চলেছে। তা নিয়ে যুদ্ধবিগ্রহও হয়ে গেছে। কিন্তু, আশির দশকে সন্ত্রাসবাদের উত্থানের পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যেন দিন-কে-দিন ঘোরালো থেকে আরও ঘোরালো হয়ে চলেছে। জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো কট্টর মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো সুযোগ পেলেই অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে, নির্বিচারে খুনজখম করেছে, উপত্যকার সাধারণ জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দ তছনছ করে রক্তগঙ্গা বইয়েছে। তাদের আক্রমণে সেনা থেকে সাধারণ মানুষ, ট্যুরিস্ট—কেউ রেহাই পাননি। ভারত সরকার বিভিন্ন সময়ে এই সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা নিলেও পরিস্থিতি যে বিশেষ বদলায়নি বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ ঘটনা তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সেনাছাউনির ভয়ঙ্কর ঘটনাও এই অবন্তীপোরার সামনে ম্লান দেখাচ্ছে। উরি সেনাছাউনিতে আচমকা জঙ্গি হামলায় সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন জওয়ান। সেও ছিল এক জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। সেই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত এলাকায় ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, সেই সঙ্গে তাতে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের খতম করেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক প্রচারও চলেছিল রাজনৈতিক মহলে, তৈরি হয়েছিল সিনেমা। সেই সিনেমা রীতিমতো জনপ্রিয়ও হয়েছে। সার্জিকাল স্ট্রাইকের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিছু জনপ্রীতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও কাশ্মীরে যে জঙ্গি তৎপরতা কিছুমাত্র কমেনি সেই সত্যটাই যেন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়ে গেল ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই কালো বৃহস্পতিবারটা।
সেদিন বিকেলে ঘটনার খবর ছবি, তা নিয়ে রাজনৈতিক প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া টিভিতে প্রচার শুরু হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল দেশ জুড়ে। শোক এবং ক্ষোভে কতটা উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষের মন তার প্রমাণ মিলেছিল ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ট্যুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পথপ্রান্ত সর্বত্র। বিশেষ করে যখন জানা গেল জয়েশ-ই-মহম্মদ এই জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে তখন মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল প্রতিবেশী পাকিস্তানের ওপর—কারণ, সাধারণের ধারণা জয়েশ জঙ্গিরা পাক মদত পায়। কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয় ঠিকই কিন্তু ওই জঙ্গিরা কি সবসময় পাকিস্তানের কথা শুনে চলে, পাক নিয়ন্ত্রণ মানে? বৃহস্পতিবারের ঘটনার দায় জয়েশ নিয়েছে এ কথা সকলেই জানেন। কিন্তু তার পিছনে পাক মদতের কোনও প্রমাণ কি মিলেছে? আর যতক্ষণ না তেমন প্রমাণ মেলে ততক্ষণ কি আমাদের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে এমন অভিযোগ আনা যায়?— এমন একটা কথা বলছেন অনেকেই। তাঁরা এই ঘৃণ্য কাজের জন্য জয়েশ সমেত যাবতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সেনা অভিযানের দাবি জানাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু প্রমাণ পাওয়ার আগে সরাসরি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দিকে আঙুল তোলাটাকে নীতিগত দিক থেকে সমর্থনে উৎসাহী হচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, দেশপ্রেমের আবেগের চেয়ে দেশ রক্ষায় কার্যকরী ও কঠিন পদক্ষেপ আজ অনেক বেশি জরুরি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইকের চেয়েও শক্তিশালী কোনও ঘাতক ব্যবস্থা থাকলে তা প্রয়োগ করুক সরকার। অন্যদিকে, জঙ্গিদের মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রগুলিকে বিরত করতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি সেটাই করেন তবে দেশ ও দশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা আরও জোরালো হতে পারবে। জঙ্গিরাও শিক্ষা পাবে।
কিন্তু, এসব কথায় দেশের মন শান্ত হবার নয়। ৪২/৪৪টা তাজা প্রাণ দেশের ঐশ্বর্য কতকগুলো শয়তানের নারকীয় হিংসায় শহিদ হয়ে গেল—এমনটা মেনে নেওয়া তো চাট্টিখানি ব্যাপার না! আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেও তো দুই মায়ের কোল খালি করে দিয়ে গেল জঙ্গি জয়েশ। এর আগেই এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমাদের এই বাংলা। কনাদ ভট্টাচার্যের মতো যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হন তাঁদের ক্ষেত্রে শোক ব্যথা সত্ত্বেও একটা সান্ত্বনা থাকে—তিনি দেশ রক্ষায় লড়াইয়ের ময়দানে শত্রু নিধন করতে করতে বীরের মৃত্যু বরণ করে শহিদ হয়েছেন। আমাদের গায়ে কাঁটা দেয় তাঁদের শৌর্যবীর্যের কথা কাহিনী। একজন সেনানীর পক্ষে এ তো পরম গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু, জঙ্গিদের তো সামনে থেকে লড়ার ক্ষমতা নেই। চোরাগোপ্তা আক্রমণে কিছু লোক খুন করা, বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা বা পিছন থেকে ছুরি মারার মতো কাপুরুষতাই তাদের চরিত্র, দেশে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করাটাই তাদের হাতিয়ার।
বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি। গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে কনভয়ের সিআরপিএফ ভর্তি বাসে সটান ধাক্কা মেরেছে এক আত্মঘাতী জঙ্গি। মুহূর্তেই বিস্ফোরণে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে বাস, ছিন্নভিন্ন হয়ে শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে সেনানীদের দেহ, দেহাংশ। আর এরপর আর এক দল জঙ্গি এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে সেনা কনভয়ে, রকেট লঞ্চার ছোঁড়ার প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের!
এত বড় একটা ঘটনার নিন্দায় অনিবার্যভাবেই সরব হয়েছে সব মহল। শাসক-বিরোধী রাজনীতিও ছায়া ফেলতে শুরু করেছে ঘটনার ওপর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বোধহয় একমাত্র ব্যতিক্রম, যিনি ঘটনার পর থেকেই বলে আসছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। অকারণ দোষারোপ ছেড়ে আমাদের একজোট হয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সাধারণ কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে হবে। আর তার জন্য তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিশেষ উদ্যোগও দাবি করেছেন। রাজ্যের দুই শহিদ পরিবারের ভবিষ্যতে যাতে কোনও দিক থেকে কোনও অসুবিধে না হয় তা দেখার আশ্বাসই কেবল দেননি, পরন্তু, ওই দুই পরিবারের সঙ্গেই ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে সান্ত্বনা সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি কী করেছেন? ঘটনার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার জবাব কীভাবে কবে দেওয়া হবে তা দেশের সেনাই ঠিক করবে। তাঁর এই ভূমিকার মধ্যে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকেই ‘ধীরে চলো নীতি’র ছাপ দেখতে পাচ্ছেন এবং কংগ্রেস সমেত বিরোধীদের অনেকেই তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির শক্তি ক্ষমতা নিয়ে টিপ্পনীও করছেন!
আসলে ঘটনা ঘটেছে এমন একটা সময়ে, যখন দেশে সাধারণ নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে আর তা নিয়ে আগাম সমীক্ষার ফল অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমান শাসকের চিন্তা বাড়িয়েছে। সেজন্য— ঘটনা যত বড়ই হোক —চটজলদি কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় শাসক গেরুয়াশিবির। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশে।
সত্যিই তো, ভোট কি কম বড় বালাই! বিশেষ করে যখন সমীক্ষার রিপোর্ট কুডাক ডাকছে, শেষ পাঁচ বিধানসভার ফলে রীতিমতো ধাক্কা লেগেছে, বিরোধী দলের প্রধান মুখ হয়ে উঠে আসছেন দুর্দান্ত জননেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—তখন শাসকচিন্তা যে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাতে আশ্চর্য কী? সার্জিকাল স্ট্রাইক দিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে মোদিজি ও তাঁর দল তাঁদের সরকারের প্রতি মানুষের আগ্রহ খানিকটা হলেও ফেরাতে পেরেছিলেন, ভাটার টান লাগা জনপ্রিয়তার খাতে কিছুটা হলেও জোয়ারের ঢেউ তুলতে পেরেছিলেন। নোটবন্দি ইত্যাদির ক্ষত তাতে খানিকটা ঢাকাও পড়েছিল। কিন্তু, সেই একই হাতিয়ারে আবার সাফল্য মিলবে কি না, নাকি হিতে বিপরীত হবে ভোটবাজারে—তা যে কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না! বরং, গতবার কেন কটা জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে আর জঙ্গি মেরেই কাজ সেরেছিল ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’, কেন আরও ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের সর্বস্বান্ত করে দিয়ে আসেনি সেনা— আজ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! সেইসঙ্গে অবন্তীপোরার এই ঘটনা থেকে বাহিনীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব মারাত্মক গাফিলতির কথা উঠে আসছে—তা নিয়েও তো প্রশ্ন বিস্তর।
এদিকে সামনে ভোট। মহারণ। দিল্লির মসনদ বাঁচানোর লড়াই। গোলটা তো বেধেছে সেইখানেই। আর তাই ‘ব্যবস্থা’ নিতে এত দ্বিধা, এত কৌশল! অন্তত রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অভিমত তেমনই। কিন্তু কথা হল, এভাবেই কি রাজনৈতিক নানা কারণে, নানা স্বার্থের তাড়না ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে চিরকাল এমন বধ্যভূমি করে রাখবে? জঙ্গিরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে? আর দিনের পর দিন এইভাবে আমরা কি কেবল মার খেতেই থাকব!? দিল্লি, একটু ভাবুন।
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

12th  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

11th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শহরজুড়ে পোস্টার দিল সিপিএম। বিভিন্ন মোড়ের পাশাপাশি সরকারি কার্যালয়ে হলুদ কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে জানতে চাওয়া হয়েছে, জনগণের উন্নয়নের টাকায় কেন বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হল?  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় শহিদ ৪৯ জন আধাসেনা জওয়ানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর তাগিদ অবশ্যই ছিল। কিন্তু সেই সঙ্গে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মাদার ডেয়ারির ডানকুনি ইউনিট থেকে দফায় দফায় উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন আইএনটিটিইউসি সমর্থিত সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার সকাল থেকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভে শামিল হন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আগামীকাল, সোমবার শীতলা মায়ের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে উত্তর হাওড়া। প্রতি বছরই এই দিনে মাইক ও ডিজে’র দাপটে বাসিন্দারা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৭০ টাকা ৯২.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৫ টাকা ৮২.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, দ্বাদশী ৪/৫৭ দিবা ৮/১০ পরে ত্রয়োদশী ৫৬/৩৮ রাত্রি ৪/৫১। পুনর্বসুনক্ষত্র ২৬/২৫ অপঃ ৪/৪৬। সূ উ ৬/১১/২৯, অ ৫/৩০/৫০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৫২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৩৩/১৫। পুনর্বসুনক্ষত্র ২/১৩/৫৩, সূ উ ৬/১২/৫৭, অ ৫/২৮/১২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭/৫৮ থেকে ৯/৫৮/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১০/১০ থেকে ৮/৫২/৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৬/১১ থেকে ১১/৫০/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৩৪ থেকে ১/১৪/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/১০ থেকে ৩/১/৪৬ মধ্যে।
১১ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিবাহ যোগ আছে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল- চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র 

07:10:04 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ১- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৭৮ মিনিট) 

06:52:14 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৬৮ মিনিট) 

06:42:37 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ০ (বিরতি) 

06:00:22 PM