বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, দলের সঙ্গে যেভাবে বিশ্বাসঘাতকতা মৌসম নুর করেছেন তাতে ব্লক নেতৃত্বের ক্ষোভ সামনে আসছে। উত্তর মালদহের ব্লক সভাপতিরা সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মৌসমকে হারানোই মূল লক্ষ্য বলে শপথ নিয়েছেন। তাঁদের আবেগের সঙ্গে জেলা কংগ্রেসও সহমত পোষণ করে। ফলে ঐক্যবদ্ধভাবে ওই লক্ষ্যেই আমরা চলব। আমরা বুঝিয়ে দেব ব্যক্তি নয়, দল আর তার প্রতীকই বড়। রাজনৈতিক একাধিক পরিকল্পনা এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। যাঁরা আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন সেই সব স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আমরা ঘরে ফিরে আসার ডাক দেব। এনিয়ে একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, বুথভিত্তিক অন্তত দু’জন করে নেতৃত্বের ফোন নম্বর সহ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা তৃণমূলস্তর থেকে সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে চাইছি। এদিনের বৈঠক প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, কংগ্রেসের সম্পদ তার কর্মীদের মনোবল অটুট আছে।
‘মৌসম হারাও’ অভিযান প্রসঙ্গে মৌসম নুর বলেন, আমাকে হারানোর শপথ কংগ্রেস নেতৃত্ব নিয়েছেন তাতে দুঃখ নেই। তবে খুশি হতে পারতাম যদি দেখতাম, বিজেপি’কে প্রতিরোধের জন্য কৌশল তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেলেই ব্যক্তিগত আক্রমণ আসে। অথচ এখন প্রয়াত গনিখান চৌধুরী জেলায় যে সমন্বয়ের আদর্শ তৈরি করে গিয়েছিলেন তাকে বাঁচাতে রাজনৈতিক পদক্ষেপ করার সময়। যা হোক ওঁরা যা ভালো বুঝেছেন তাই করেছেন। মানুষের দরবারেই শেষ বিচার হবে।
নতুন সভাপতির নেতৃত্বে শনিবার প্রথমবার জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। সেখানে প্রদেশের পর্যবেক্ষকও হাজির ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই মৌসম বিরোধিতার সুর বেঁধে দেন জেলা সভাপতি। এরপর উত্তর মালদহের বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন। একের পর এক ব্লক সভাপতিরা এসে মৌসমকে হারানোর শপথ নিতে থাকেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মৌসম দলত্যাগ করার পর থেকে বেশকিছু বৈঠক জেলা কংগ্রেসের নতুন নেতৃত্ব করেছে। কিন্তু তার সবগুলিই মৌসম-বিরোধিতার তারে বাঁধা ছিল। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু মৌসম বিরোধিতার এই রাজনীতি কংগ্রেসকে কতটা লাভ এনে দেবে সেনিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। উল্লেখ্য, এদিন কংগ্রেস বর্ধিত জেলা কমিটির বৈঠক ডাকলেও সেখানে নিচুতলার নেতাদের হাজিরা বিশেষ ছিল না।