Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

সংগঠন

সংগঠন বা দলবদ্ধ প্রয়াস অর্থাৎ Team Work একালের যুগলক্ষণ—তাহা স্বামীজী বুঝিয়াছিলেন। মানুষের আধ্যাত্ম-জীবনেও এই দলবদ্ধ প্রচেষ্টা এযুগের বিশেষত্ব, সেকথা এই একবিংশ শতাব্দীর সুরুতে আমরা যথেষ্টই উপলব্ধি করিতেছি। কিন্তু বিশ্বায়নের নামে ধর্মকে পণ্য করা বা Consumerism-এর স্তরে এই অধ্যাত্ম প্রচেষ্টাকে টানিয়া নামাইতে স্বামীজী কখনোই বলেন নাই। বরং বৌদ্ধধর্মের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে Institutionalised Religion বা সঙ্ঘবদ্ধভাবে ধর্মপ্রচারের যেসব দোষ তাঁহার দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল, সে-ব্যাপারে প্রতি পদে গুরুভাই এবং শিষ্যদিগকে সাবধান করিয়া দিয়াছেন। একদা আমেরিকার সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন নিজ পুত্রের গৃহশিক্ষককে একটি অসাধারণ পত্র লিখিয়াছিলেন। ঐ পত্রে তিনি গৃহশিক্ষককে অনুরোধ করিয়াছিলেন: ‘‘আপনি আমার পুত্রকে শিক্ষা দিবেন—কি করিয়া নিজেকে সর্বোত্তম ক্রেতার নিকট উৎসর্গ করিতে হয়, কিন্তু কখনোই সে যেন নিজের বুকের উপর একটি মূল্যলেখা কাগজ না লাগায় [যে আমার দাম এত ডলার]।’’ মঠের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মবিধি রচনা করিয়া স্বামীজী স্পষ্টভাষায় বলিলেন: ‘‘অপরের নামে গোপনে নিন্দা করা ভ্রাতৃভাব বিচ্ছেদের প্রধান কারণ। অতএব কেহই তাহা করিবে না। যদি কোনও ভ্রাতার বিরুদ্ধে কিছু বলিবার থাকে তো একান্ত তাহাকেই বলা হইবে।’’
কেবল ধর্মীয় সংগঠন নহে, যেকোন সংগঠনের ক্ষেত্রেই ঈর্ষা, অসহিষ্ণুতা, পরস্পরের নামে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নালিশ করা এবং সংগঠনের সুনাম ও জনগণের আস্থাকে মূলধন করিয়া নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির প্রচেষ্টা সেই সংগঠনের বিনাশের কারণ হয়। যে-পৃথিবীর মাটিতে আমরা দাঁড়াইয়া আছি, উহাকেই যদি বারংবার ক্ষতিগ্রস্ত করিতে চেষ্টা করি, ভবিষ্যতে আমাদের দাঁড়াইবার স্থান থাকিবে না। স্বামীজী চাহিতেন, যখনি কিছু মনোমত হইল না, তখনি তাহা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যথাযথ ভদ্রোচিত ভাষায় জানানো দরকার। অপরপক্ষে প্রত্যেকের মধ্যে এমন উদারতা থাকিবে যে, সংগঠনের অন্যান্য সভ্যবৃন্দের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করিতে তাঁহার কুণ্ঠা থাকিবে না, কিংবা কেহ তাঁহার দোষ উল্লেখ করিলে তাহা ধৈর্য সহকারে শুনিতে তিনি দ্বিধা করিবেন না। ‘আমি যাহা করিয়াছি তাহাই ঠিক, যাহা বুঝিয়াছি তাহাই ঠিক, অপরে যাহা করিয়াছেন কিংবা বুঝিয়াছে তাহা ঠিক নহে।’—এইরূপ ধৃষ্টতা সংগঠনের পক্ষে ক্ষতিকারক এবং সকলের পক্ষে অসম্মানজনক। ভুল করা মানবিক গুণ। এমন কখনো হইতে পারে না যে, মানুষ কখনো ভুল করিবে না। কিন্তু পারস্পরিক অহঙ্কারবিবর্জিত প্রেমের সম্পর্ক থাকিলে সেই ভুল, ব্যক্তিগত বা দলগত যে-স্তরেই হউক, সহজে সংশোধন বা নির্মূল করা সম্ভব হয়। ইহা একধরনের ‘art of living’ বা বাঁচার শিল্প। শ্রীশ্রীমায়ের জীবনের অপূর্ব সহিষ্ণুতা, সর্বগ্রাহিতা, অপরকে প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানের সামর্থ্য, সকল আশ্রিতের আহার ও থাকার যথাযথ ব্যবস্থাদি করা এবং ঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত লইবার ক্ষমতা দেখিয়া আমরা বুঝিতে পারি, অশান্তির নিলয় এই জগৎ-সংসারে যথার্থ art of living কাহাকে বলে।
যে-সংগঠনে কেবল পরস্পরের প্রতি দোষারোপ কিংবা আন্তর রাজনীতি অথবা ক্ষুদ্র স্বার্থের পরিপূর্তি রহিয়াছে, সেখানে প্রেমের পরিবর্তে বিদ্বেষ, হিংসা, প্রিয়জনের রক্তচক্ষু বিরাজ করে। এই ধরনের সংগঠনের দীর্ঘজীবিত্ব অসম্ভব। কেবল পুঁথিগতভাবে নয়, সাম্প্রতিক ইতিহাস ও পারিপার্শ্বিক অস্থির সামাজিক চালচিত্র হইতে এই শিক্ষা আমরা এখন চাক্ষুষ লাভ করিতেছি।
সংগঠনের সকল কর্মীরই সমান অভিজ্ঞতা থাকিবে, তাহা আশা করা যায় না। বড় কর্মী আমরা তাঁহাকেই বলি যাঁহার অভিজ্ঞতা বেশি, যিনি উদ্যমী, প্রেমিক এবং সিদ্ধান্তে ভুল কম হয়। তাঁহার বয়সের সহিত ইহার কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু যে-কোন সদস্যেরই, বড় বা ছোট, সাংগঠনিক গুরুত্ব নির্ধারিত হয় মূলত তাহার চারিত্রিক শুদ্ধতার দ্বারাই। পূর্বের প্রসঙ্গ টানিয়া স্বামীজী বলিলেন:
‘‘At any cost, any price, any sacrifice (ইহার জন্য যতই ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করিতে হউক না কেন) ঐটি [ঈর্ষা] আমাদের মধ্যে না ঢোকে—আমরা দশজন হই, দুজন হই, do not care (কুছ পরোয়া নাই), কিন্তু ঐ কয়টা [ঐ গুটিকয়েক—দশজন কিংবা দুজন] perfect character [সর্বাঙ্গসুন্দর ও নির্দোষ চরিত্র] হওয়া চাই। আমাদের ভিতর যিনি পরস্পরের গুজুগুজু নিন্দা করবেন বা শুনবেন, তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। ঐ গুজুগুজু সকল নষ্টের গোড়া। বুঝতে পারছ কি? হাত ব্যথা হয়ে এল... আর লিখতে পারি না। ‘মাঙ্গ্‌না ভালা ন বাপ্‌঩সে যব্‌ রঘুবীর রাখে টেক্‌’। রঘুবীর টেক রাখেন দাদা, সেবিষয়ে তোমরা নিশ্চিন্ত থেকো।’’ (১৮৯৪ সালে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্র)
বিদ্যাচর্চা: ‘‘বিদ্যার অভাবে ধর্মসম্প্রদায় নীচদশাপ্রাপ্ত হয়। অতএব সর্বদা বিদ্যার চর্চা থাকিবে।’’ সঙ্ঘের বুনিয়াদী শিক্ষার নিয়মনীতি নির্ধারণকালে স্বামীজী এই কথা বলিয়া প্রত্যহ মঠে শাস্ত্রচর্চার জন্য উপদেশ করিয়াছিলেন। স্বামীজীর দেহত্যাগের পর স্বামী শিবানন্দজী মহারাজ মঠের সন্ন্যাসি-ব্রহ্মচারীদের বারবার বলিতেন: ‘‘স্বামীজীর বই পড়ো।’’ কারণ, স্বামীজীকে ‘ঘনীভূত ভারতবর্ষ’ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন ঋষি অরবিন্দ। রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন: ‘‘যদি ভারতবর্ষকে জানতে চাও বিবেকানন্দকে পড়ো।’’ ভারতবর্ষের পাঁচ সহস্র বৎসরের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যসহ এজাতির যাবতীয় পতন ও অভ্যুদয়ের সারাংশ বিবেকানন্দের ‘বাণী ও রচনা’ গ্রন্থে সন্নিবেশিত আছে। তাই ভারতবর্ষকে জানিতে গেলে ‘বিবেকানন্দ’ পড়িতে হইবে।
স্বামী সর্বগানন্দের ‘ভাবপ্রচার ও সংগঠন’ থেকে
07th  February, 2019
শ্রীরামকৃষ্ণদেব

 ঠাকুর একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিছলেন। বিদ্যাসাগরকে বললেন—‘‘এতদিনে সাগরে এসে মিশলুম।’’ বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, ‘‘তবে কিছু লোনা জল নিয়ে যান।’’ ঠাকুর হেসে বললেন—‘‘না গো, তা হবে কেন? তুমি যে অমৃতের সাগর।’’
বিশদ

অধ্যাত্মবিজ্ঞানাশ্রিত মহাসঙ্গীত

রোশনচৌকির একজন পোঁ ধরে থাকে অপর একজন সাত ফোঁকর দিয়ে নানা রাগিনী বাজায়। তেমনি শ্রীরামকৃষ্ণজীবনে অধ্যাত্মবিজ্ঞানাশ্রিত মহাসঙ্গীত হয়েছিল পটভূমি এবং চিত্রণ, মূর্তিগড়ন, সঙ্গীত-নৃত্য-নাট্য প্রভৃতির বিচিত্র সুষমা তাঁর সমগ্র জীবনে পরিব্যাপ্ত হয়েছিল।
বিশদ

16th  February, 2019
 ধর্মক্ষেত্র

 ধর্মক্ষেত্র কী? বলা হয়েছে, ধর্মক্ষেত্র হ’ল এই শরীরটা। শরীর না থাকলে ধর্ম সাধনা করা যায় না। যে সব মানুষ এই জীবনে অনেক ভাল কাজ করেছেন, যাঁদের আত্মা অনেক উন্নত হয়েছে তাঁরাও যদি মোক্ষ প্রাপ্তির পূর্বেই কালগ্রস্ত হন, মারা যান, তাহলে যতদিন পর্যন্ত না নতুন জীবন পাচ্ছেন ততদিন তাঁদের প্রগতি স্তব্ধ থাকে, বন্ধ থাকে; কারণ শরীর পেলে, শরীর থাকলে তবেই সাধনা হবে।
বিশদ

15th  February, 2019
 অভাব

 মানুষের আসল অভাবটা হচ্ছে ভগবানকে-না-পাওয়ার অভাব—সেই বিরাট অভাবটাই মূল অভাব। কিন্তু ঠাকুর খুব ফাঁকি দিতে জানেন, তাই ছোট ছোট নানান্‌ অভাব দিয়ে সেই বিরাট অভাবকে ভুলিয়ে রাখেন। সব অশান্তির মূল কারণ কিন্তু একটিই—ভগবৎ-অবস্থা থেকে বিচ্যুতি। বিশদ

14th  February, 2019
 মা

 আমার মাকে আমি সহস্ররূপে সহস্র ভাবে সহস্রনয়নে, সহস্রবার দেখিতে চাই। শুধু একটী রূপের ভাতি লইয়া নয়ন-সম্মুখে দাঁড়াইলেই মাতৃ-দর্শন-পিয়াসী সন্তানের পিপাসা মিটিবে না। তাঁর জীবনে শুধু একটী ভাবের লীলা-বৈচিত্র্য দেখিলেই আমি তুষ্ট হইব না, বহু যুগ পরে পরে একটীবার করিয়া মা আবির্ভূতা হইলেই আমার আশা মিটিবে না। বিশদ

13th  February, 2019
শাস্ত্রকারগণ রিপু

 কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য্য এই ছয়টীকে শাস্ত্রকারগণ রিপু বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়াছেন। শত্রু আরও শত শত আছে, সহস্র সহস্র আছে, কিন্তু এই ছয়টি শত্রুকে যে পদতলে পিষিয়া মারিতে পারে, অপরাপর শত্রু হইতে তাহার আর ভয়ের কোনও কারণ থাকে না।
বিশদ

12th  February, 2019
পবিত্রতা

ধর্মপিপাসু প্রশ্ন করলেন—এ যুগের কথা কি?
শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানন্দদেব উত্তরে বললেন—‘‘এ যুগের কথা পবিত্রতা। পবিত্রতা লাভ করলেই সব হবে।’’
বিশদ

11th  February, 2019
 স্বাধিকার

 জাগতিক প্রভুত্বের উদ্ধত নেশায় তুমি আমাকে পদাঘাতে অপমান করিতে পার, আমি প্রতিঘাত করিতে পারি না বলিয়া সবই নীরবে সহিয়া লইলাম; কিন্তু তুমি যাহা করিলে তাহাতে তোমার স্বাধিকার প্রসার পাইল না, সঙ্কুচিত হইল। বিশদ

10th  February, 2019
উদ্ধব

 উদ্ধব, আমি সর্বজীবের অধীশ্বর। নিখিল জগৎ আমাতে অধিষ্ঠিত। তুমি সংযমী হইয়া সমাচিত-চিত্ত হও, পরমাত্মায় আত্মদর্শন কর—‘‘আত্মন্যাত্মানমীক্ষস্ব’’। তুমি আত্মস্থ হও, আত্মানুভবে সন্তুষ্ট থাক। আগন্তুক কোন বিঘ্ন-বিপদ্‌ তোমাকে বিহত করিতে পারিবে না—
বিশদ

09th  February, 2019
 অনৈক্য

 ঋষির প্রার্থনা ছিল সর্বোত্তম ঐক্যের। এ থেকে কি বোঝায় না যে, ঋষিদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ ছিল, অনৈক্য ছিল? জগতের নিয়মেই বিরোধ থাকে। অনৈক্য থাকে। বৈচিত্র্য তো জগতের পরিকল্পনারই অঙ্গ। বিশদ

08th  February, 2019
দিব্য সত্যের সাক্ষাৎ

এখানে দিব্য সত্যের সাক্ষাৎ উৎসরাজি হইতে প্রবহমান একটা স্রোত অনুভব করা যাইতেছে, যে-সত্যকে মানুষ ইচ্ছামত দেখিতে পায় না। এখানে আছে একটা মনোবৃত্তি যাহা শুধু ভাবিতে পারে এরূপ নয়, দেখিতেও পারে— বস্তুরাজির শুধু বহিস্তল নয় তাহাদের অন্তর অবধি দেখিতে পায়; বুদ্ধিগত চিন্তা নিরন্তর নিষ্ফল মল্লযুদ্ধ করিতেছে এই বহিস্তলের সহিত, যেন আর কিছু নাই।
বিশদ

06th  February, 2019
রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের উত্তরাধিকার

বিবেকানন্দের উত্তরাধিকার অথবা রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের উত্তরাধিকার। যাহাই ভাবি না কেন, এই প্রসঙ্গে কিছু আত্মসমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এবং কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করিবার সময় আসিয়াছে। দিকে দিকে যেন অশান্তির রণদামামা বাজিতেছে, সাধারণ মানুষের হৃদয় প্রকম্পিত হইতেছে। সম্মুখের আলো কি ক্রমশ নিভিয়া আসিতেছে?
বিশদ

05th  February, 2019
ব্রহ্মবিদ্যা

মনুষ্যজীবনের চিরবাঞ্ছিত সুখ পাওয়া যায় কেবল মাত্র ভূমা প্রাপ্তির দ্বারা অর্থাৎ ব্রহ্মসাক্ষাৎকার বা মোক্ষের দ্বারা। এই মোক্ষ ব্রহ্মবিদ্যার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া যায় এবং ব্রহ্মবিদগণ ব্রহ্ম স্বরূপই হয়ে যান। এতৎ সমস্ত শ্রুতি আদি বিভিন্ন শাস্ত্র উদ্ধৃত পূর্বক প্রমাণীকৃত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে কেন বার বার শাস্ত্র উল্লেখ করা হয়েছে?
বিশদ

04th  February, 2019
 জাতি

বিশাল দেশ, বিরাট জাতি,— এ দেশে মুষ্টিমেয় কর্ম্মী হইলে চলিতে পারে না। দেশ জোড়া শত শত মত, শত শত পথ,—এমন অবস্থায় অধঃপতনের গতিবেগ প্রহত করিতে হইলে একটি মাত্র নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্য লইয়া গঠিত সঙ্ঘ দ্বারা সম্যক্‌ কার্য্য হইবে না। বিশদ

03rd  February, 2019
 জীব ও ব্রহ্ম

জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য বিষয়ে বিশেষ কি আর বলিবার আছে? জীব স্বয়ং ব্রহ্মই। এই বিস্তৃত জগতের সব কিছুই অবশ্য ব্রহ্মমাত্র, শ্রুতি বলেন, ‘ব্রহ্ম অদ্বিতীয়।’ বিষয়বিরাগী, ‘ব্রহ্মই আমি’ এই প্রকার বিজ্ঞানসম্পন্ন, (অজ্ঞান-নিদ্রা হইতে উত্থিত) সাধকগণ নিরন্তর চিদানন্দময়-আত্মস্বরূপে অবশ্যই অবস্থান করেন।
বিশদ

02nd  February, 2019
সংগঠন

১৮৯৪ সালের জুন-জুলাই মাসে স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকা হইতে বরাহনগর মঠে গুরুভ্রাতাদের উদ্দেশে একটি পত্র লিখিয়াছিলেন। সেই পত্রে ‘সংগঠন’ কাহাকে বলে তাহা ব্যাখ্যা করিয়া তিনি লিখিয়াছেন: ‘‘Organisation’’ শব্দের অর্থ Divission of Labour (শ্রমবিভাগ)। 
বিশদ

01st  February, 2019
একনজরে
 বিএনএ, চুঁচুড়া: উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মাদার ডেয়ারির ডানকুনি ইউনিট থেকে দফায় দফায় উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন আইএনটিটিইউসি সমর্থিত সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার সকাল থেকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভে শামিল হন। ...

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার শুমারীর প্রথম দিনে বাইসনের গুঁতোয় ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে বিট অফিসার ও মাহুতকে ফেলে দিয়ে পিঠে দড়িতে বাঁধা রাইফেল নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে হারিয়ে যাওয়া কুনকি হাতি শ্রীমন্তের শনিবার হদিশ মিলল।  ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শহরজুড়ে পোস্টার দিল সিপিএম। বিভিন্ন মোড়ের পাশাপাশি সরকারি কার্যালয়ে হলুদ কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে জানতে চাওয়া হয়েছে, জনগণের উন্নয়নের টাকায় কেন বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হল?  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জেএমবি জঙ্গি কওসরকে ‘ছিনতাই’ করার পরিকল্পনা ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তার আগেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৭০ টাকা ৯২.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৮.৯৫ টাকা ৮২.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, দ্বাদশী ৪/৫৭ দিবা ৮/১০ পরে ত্রয়োদশী ৫৬/৩৮ রাত্রি ৪/৫১। পুনর্বসুনক্ষত্র ২৬/২৫ অপঃ ৪/৪৬। সূ উ ৬/১১/২৯, অ ৫/৩০/৫০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৫২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৩৩/১৫। পুনর্বসুনক্ষত্র ২/১৩/৫৩, সূ উ ৬/১২/৫৭, অ ৫/২৮/১২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭/৫৮ থেকে ৯/৫৮/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১০/১০ থেকে ৮/৫২/৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৬/১১ থেকে ১১/৫০/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৩৪ থেকে ১/১৪/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/১০ থেকে ৩/১/৪৬ মধ্যে।
১১ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিবাহ যোগ আছে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল- চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র 

07:10:04 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ১- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৭৮ মিনিট) 

06:52:14 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ১ (৬৮ মিনিট) 

06:42:37 PM

আই লিগ: ইস্ট বেঙ্গল ০- চার্চিল ব্রাদার্স ০ (বিরতি) 

06:00:22 PM