মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
বহুজাতিকের জন্য শুধু মুনাফার ‘গ্যারান্টি’ বা সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়াই নয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থা বেচে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এর ভিত্তিও আছে। চার বছর আগে ২০২১ সালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের নীতি ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, ব্যবসা করা আদৌ সরকারের কাজ নয়। সেবার সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে দেশের ১০০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ ও তাদের অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সময় ছিল চার বছর। এই ১০০টি সংস্থার মধ্যে রয়েছে বন্দর, বিমান বন্দর, বিমা, ব্যাঙ্ক, ক্রুজ টার্মিনাল, টেলিকম, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন, ট্রান্সমিশন টাওয়ার, রেলওয়ে স্টেশন, স্টেডিয়ামের মতো ক্ষেত্র। যুক্তি ছিল, সরকার সরে দাঁড়ালে বেসরকারি সংস্থা সেই অভাব পূরণ করবে। এতে নতুন লগ্নি আসবে। আরও উন্নত হবে দেশের অর্থনীতি। মোদির মত ছিল, পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে, করদাতাদের টাকায় এইসব সংস্থা চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। বরং বিক্রির টাকা গরিবদের হাতে যেতে পারে।
ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে শরিক দলের হাত ধরে ক্ষমতায় আসায় কৌশল বদলে সেই মোদি সরকারকেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে চাঙ্গা করার কথা বলতে হয়েছে। ২০০টির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে লাভজনক করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগতে চাইছে তারা—বলেছিল সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অব্যবহৃত জমি বেচে যে টাকা আসবে তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার উন্নতিতেই বিনিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। চাপে পড়ে এভাবে পিছু হটার এই ‘চাল’ অবশ্য বিশ্বাস করছে না বিরোধীরা। কারণ ইতিমধ্যে রেলের প্ল্যাটফর্ম-সহ কিছু কিছু ক্ষেত্র ও এয়ার ইন্ডিয়া সহ একাধিক সরকারি সংস্থা বেচে দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত সুযোগ পেলে মোদি সরকার যে আবারও দাঁত-নখ বের করবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই বিরোধী দলসহ একাধিক গণসংগঠন এই বহুজাতিক-করণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে শহরের রাস্তায় ‘কর্পোরেট কালচার’-এ বাস চালানোর প্রস্তাবটি কেন্দ্রের আর্থিক দায় এড়ানোর চেষ্টা মাত্র। একে মোদি সরকারের কর্পোরেট তোষণ নীতির বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।