Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই। মিঃ এন আর নারায়ণমূর্তি (এনআরএন) এবং মিঃ এস এন সুব্রহ্মণ্যনের (এসএনএস) মতো ব্যক্তিত্বগণ আছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বিশ্বে তাঁদের যথাযোগ্য স্থান তাঁরা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কর্মজীবনে, তাঁদের মনের কথা ব্যক্ত করার মানকে উন্নত করেছেন তাঁরা। লোকজন এনআরএন এবং এসএনএস-এর কথা শোনে, এবং প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করে—কেউ কেউ তা করে আক্রমণাত্মকভাবেও!
ভিন্ন বিশ্ব দৃষ্টিকোণ
এনআরএন এবং এসএনএস উভয়েই তাঁদের সম্পদ উত্তরাধিকারসূত্রে পাননি। তাঁরা কোনও সংস্থার কর্মচারী কিংবা শিল্প-কারখানার শ্রমিকও নন যে বেতন বা মজুরি পান। তাঁরা শিক্ষিত-যোগ্য পেশাদার এবং সামান্য ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে উঠেছেন প্রথম প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগী। তাই, নিজ নিজ সংস্থার অর্জিত মুনাফায় তাঁদের ভাগ প্রাপ্য হয়। স্বভাবতই তাঁদের ‘ওয়ার্ল্ড ভিউ’ বা বিশ্ব দৃষ্টিকোণের সঙ্গে ‘উত্তরাধিকারী’ এবং ‘কর্মচারীদের’ দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক। ফলত, কর্মজীবনের ভারসাম্য সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন।
উত্তরাধিকারী হিসেবে যাঁরা ভাগ্যবান তাঁদের নীচ থেকে কাজ করে উপরে উঠতে হয় না। তাঁরা জানেন, এবং শিল্প-ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অন্য সকলেও জানেন যে উত্তরাধিকারীরা একদিন শীর্ষেই পৌঁছবেন। আমার উদ্বেগ এইখানে যে, ডজন খানেক পুরনো পরিবারকে বাদ দিলে বেশিরভাগ উত্তরাধিকারী তাঁদের পারিবারিক শিল্প-ব্যবসায় বাড়তি কোনও মূল্য যোগ করেননি বা সৃষ্টি করেননি নতুন সম্পদ।
দুর্ভাগ্যবশত, বরং কেউ কেউ তাঁদের পারিবারিক ব্যবসার কিছু সুনাম এবং সম্পদ ধ্বংসই করেছেন। ১৯৯১ সালের আগের এবং আজকের, ভারতের শীর্ষ ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তালিকার তুলনা করা যেতে পারে। প্রথম প্রজন্মের উদ্যোগীরা আরও বেশি সম্পদ সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বলা যায়, তাঁরা যে মজুরি বা বেতন (এবং তার নিয়মমাফিক বৃদ্ধি) পান তাতে তাঁদের বেশিরভাগই সন্তুষ্ট। বর্তমান অবস্থা থেকে উপরে ওঠার জন্য তাঁদের না-আছে দক্ষতা এবং না-আছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আমি লক্ষ্য করেছি যে, মোটামুটিভাবে উত্তরাধিকারীদের মতো ভাগ্যবান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাই, সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত, এই প্রশ্নে এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
নিয়ম স্বাভাবিক নয়
সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন এনআরএন। অন্যদিকে, এসএনএস নাকি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাঁরা যা বলেছেন তা তাঁদের দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্মানজনক কিছু নয়। এনআরএন বলেছেন, “বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশের ওয়ার্ক প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মদক্ষতা সবচেয়ে কম, সেগুলিরই একটি হল ভারত... তাই, আমার অনুরোধ, আমাদের তরুণদের বলতে হবে, ‘এটা আমার দেশ, আমি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই’।’’ এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হলেও তিনি পিছু হটতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে, একটি তারিখবিহীন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এসএনএস বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, আমার দুঃখ এই যে, আমি রবিবার আপনাদের কাজে লাগাতে পারছি না। আমি রবিবারে কাজ করি। রবিবার আপনাদেরকেও কাজে লাগাতে পারলে খুশি হব।”
শিল্প শ্রমিকদের জন্য প্রতিটি ৮ ঘণ্টার দিন প্রথম আইনে পরিণত হয় ১৯১৮ সালে জার্মানিতে। তারপর থেকে ‘৮ ঘণ্টা শ্রম, ৮ ঘণ্টা বিনোদন এবং ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম’ একটি সর্বজনীন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ৮-৮-৮ এর মধ্যে একটি সুন্দর ছন্দ আছে। তবে আমি এমন কাউকে জানি না, যিনি ‘বিনোদনে’র  জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন। আমার মনে হয়, এই ‘বিনোদন’ কথাটির মধ্যে স্নান-খাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলো, সিনেমা দেখা, খবরের কাগজ ও বই পড়া, হাটবাজার করা, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা প্রভৃতি সবই ধরা রয়েছে। ব্যাপারটাকে আপনি এইভাবে দেখলে ‘বিনোদনের’ জন্য ৮ ঘণ্টা যথেষ্ট বলে মনে হয় না!
বেশিরভাগ শিল্প শ্রমিক একই কাজ বারবার করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কিছু শিক্ষা করেন এবং জটিল কাজ উতরনোর জন্য তৈরি করে তোলেন নিজেদেরকে। ‘ডেস্ক জব’-এর প্রচলন বেশি হওয়ার পর নিয়োগকর্তারা ৮-৮-৮ নিয়মটি কপি বা অনুকরণ করেন। বেশিরভাগ ডেস্ক কর্মীর কাজও একঘেয়ে। অতএব, আমি একমত যে বেশিরভাগ শ্রমিক বা কর্মীর জন্য ৮-৮-৮ নিয়মটি গ্রহণ করা যুক্তিসঙ্গত। অটোমেশন, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়মটি পাল্টে ‘সামান্য কয়েক’ ঘণ্টার কাজের দিকে যেতে পারে। তাঁদের দীর্ঘতর সময় ধরে কাজ করার কোনও প্রয়োজন নেই, বরং ‘আরও উৎপাদনশীল’ হয়ে ওঠার জন্য তাঁদের প্রয়োজন উপযুক্ত সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং সিস্টেমের। আমার ধারণা, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের লক্ষ্য এই ধরনের শ্রমিক এবং কর্মীরা নন। 
উল্টো দিকে, কৃষকরা, বিশেষ করে স্বনিযুক্ত কৃষকরা তাঁদের কাজের জন্য ৮-৮-৮ নিয়ম ফলো করেন না। খামারের কাজে, প্রথম ৮ ঘণ্টা সম্ভবত ১০ বা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। একইভাবে, ডাক্তার, আইনজীবী, বিচারক, স্থপতি, বিজ্ঞানী, অভিনেতা প্রভৃতি পেশাদাররা দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টা কাজ করে ক্ষান্ত দেন না। আমি এমন পেশাদারদেরও চিনি, যাঁদের দৈনিক কাজের সময়কাল ১২ ঘণ্টার মতো দীর্ঘ এবং শনিবার তো বটেই অনেক ক্ষেত্রে তা পেরিয়ে রবিবারটিও তার মধ্যে জুড়ে যায়। খুব কম সফল পেশাদারই, স্বেচ্ছায় গৃহীত দীর্ঘ কাজের সময় সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। অতএব, তথাকথিত নিয়মটি সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে অভিন্নভাবে প্রযোজ্য বলে ধরে নেওয়ার কোনও বিষয় নয়।
নিজের জন্য আবিষ্কার করুন
আমি দিনের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার ব্যাপারটা উপভোগই করি। তবে আমার দিক থেকে ‘কাজ’-এর সংজ্ঞার মধ্যে রয়েছে আইন প্র্যাকটিস, সংসদীয় কাজকর্ম, নিজস্ব পড়া ও লেখা, সাধারণ মানুষের কথাবার্তা শোনা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, ভাষণদান, পছন্দের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রভৃতি। ঘুমনোর বাইরের প্রতিটি ঘণ্টাকেই আমি ‘কাজের সময়’ বলে বিবেচনা করি। কর্মজীবনের ভারসাম্য এমন একটি জিনিস যা ‘প্রতিটি’ ব্যক্তি মানুষকে নিজের জন্য ‘আবিষ্কার’ করতে হয় এবং খুশি যে, আমি আমার প্রয়োজনের জিনিসটি আবিষ্কার করেছি।
এনআরএন এবং এসএনএস ভীষণভাবে 
সফল এবং তাঁরা শীর্ষেই পৌঁছেছেন। তাই আমি মনে করি, ভারতীয়দের ‘দীর্ঘ’ সময় কাজের কথা বলার পক্ষে যোগ্য ব্যক্তি তাঁরা। কিছু ট্রোল এবং মিম 
থেকে যে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সেসব আর্থিকভাবে পুরস্কৃত হওয়ার মতো কোনও বিষয় বলে আমি মনে করি না। আমি এমন অনেক পুরুষ ও নারীকে চিনি, যাঁরা ব্যক্তিগত বিপুল আয় বা সম্পদের ভারে বেসামাল হয়ে যাননি। তাঁরা বরং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই করেন, সেইমতো সাধারণ খাবার খান, 
মদ্যপান করেন না, জাঁকালো নয় সুন্দর ছিমছাম পোশাক পরেন। তাঁরা যথেষ্ট বিনয়ী এবং দয়ালুও বটেন। আমি বিশ্বাস করি, এনআরএন এবং এসএনএস উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ প্রজন্মকে এই শিক্ষা গ্রহণের জন্যই উৎসাহিত করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনশীল কাজই একটি উন্নয়নশীল দেশকে সত্যিকার অর্থে ধনী করে তুলবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে তাতেই।
আমার মতে, এনআরএন এবং এসএনএস-এর মন্তব্যের মধ্যে বিতর্কিত কিছু নেই। তেমন যদি কিছু থেকে থাকে, তাঁদের কথার সেই অনিচ্ছাকৃত প্রভাব মানুষকে ভাবার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’-এর খোঁজে খারাপ কিছু নাও হতে পারে!
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
20th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। কুমেদপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, মিলনগড় ও ভালুকা রোড এই চার স্টেশন এই থানার মধ্যে পড়ে। ...

রাজ্যের সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্যাসে খাবার রান্না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। ...

কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...

বাজার ধরতে সস্তায় খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা চলছে। করোনার পর সব শহরেই বেড়েছে রেস্তরাঁ বা স্টলের সংখ্যা। বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন কে কত কম দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের মন জয় করতে পারবে তা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM