Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের আড়াই হাজার টাকা। বার্ধক্যভাতাও প্রথমে ২৫০০ টাকা। সত্তর পেরলেই বেড়ে হবে তিন হাজার। দেওয়ালে পিঠ না ঠেকে গেলে হোলি আর দেওয়ালিতে বিনা পয়সায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হয়! 
দিল্লির বিধানসভা ভোটের আড়াই সপ্তাহ আগে ‘রেউড়ি’ রাজনীতির কট্টর সমালোচক মোদির দলের এমন কাছা খুলে উপুড়হস্ত হওয়ার কারণ কেজরিওয়ালের মোকাবিলায় তারা এবারও দিশাহারা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে আপের উপরই আস্থা রাখছে দিল্লির মানুষ। বিজেপির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া যে কঠিন তা মানছেন নির্বাচনী পণ্ডিতরাও। ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় দস্তুর এটাই। ক্ষমতায় ফেরার জন্য দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আর উন্নয়নের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় প্রতিশ্রুতি আর উপঢৌকন।  ২০১৫ সালে আপের স্লোগান ছিল ‘বিজলি হাফ, পানি মাফ’। পরের বার অর্থাৎ কুড়ি সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাসে মেয়েদের বিনা পয়সায় যাতায়াত, পাড়ায় পাড়ায় ক্লিনিক এবং সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন। এবার মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নকল করে মাসে মাসে মহিলাদের মাসোহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। লোকসভায় গেরুয়া দলের পক্ষে সাতে সাত হলেও সেই পরিণাম উল্টে যায় বিধানসভায়। গত শুক্রবার আপের মোকাবিলায় বিজেপির রেউড়ি-সর্বস্ব নির্বাচনী ইস্তাহার একটা কথাই প্রমাণ করে কর্পোরেট বিপণন দুনিয়ার মতো ভোটেও ডোল আর ফ্রি-গিফ্টই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। একদা লোকপালের জন্য গলা ফাটানো নেতাও ভোট জেতার চেয়ে ভোট কিনতেই বেশি আগ্রহী। কেজরিওয়ালের সেই চালেই আপাতত মোদি মাত!
সেদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জেলে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিশোদিয়া। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চারিদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সকাল সন্ধে তল্লাশি। দলের মুখ কেজরিওয়াল ৪৫ কোটি টাকায় নিজের জন্য ‘শিসমহল’ বানিয়েছেন বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন প্রকাশ্যে। বাথরুমের কমোডেও বসেছে সোনার জল, চোখ ধাঁধানো বহুমূল্য পাথর, কোটি টাকার পর্দা, জাকুজি, সুইমিং পুল, সবমিলিয়ে পাঁচতারা বন্দোবস্ত! সরকারি অর্থের ব্যাপক নয়ছয়, স্বজনপোষণের অভিযোগ। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেও কংগ্রেস আলাদা লড়ছে। তৃণমূল ও অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি আপকে সমর্থনও জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই চড়া দাগের হিন্দুত্ব নিয়ে আসরে সঙ্ঘ। তবু বিজেপির দিল্লি জয়ের আশা এবারও দূরঅস্ত! মোদিজি বেশ বুঝতে পারছেন, লোকসভা ভোটে দু’হাত ভরে সমর্থন দিলেও দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিহাস গড়ে তিনি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেজরিওয়াল বাহিনীর হ্যাটট্রিক পাকা। ঠিক যেন মোদিজির সাফল্যকে সোচ্চারে দুয়ো দিতে তৎপর দিল্লিবাসী। লোকসভা ও বিধানসভায় দিল্লির ভোটারদের এই দু’রকম চরিত্র নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। কিন্তু খালি চোখে কারণ একটাই, দশ বছরেও দিল্লিতে নেতা (পড়ুন, মুখ) তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা বিজেপির। 
গেরুয়া শিবির যতই বলুক এই সময়টা এক ঐতিহাসিক কালখণ্ড। বাস্তবে প্রদীপের তলাতেই নিকষ অন্ধকার বাসা বাঁধে। ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪, যদি বলি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরও বিশ্বগুরু থেকে সাধারণ মানুষ হতে চাওয়া নরেন্দ্র মোদির জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কী? বিগত লোকসভা ভোটে বারবার চারশো আসন জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে মাত্র ২৪০ আসনে মুখ থুবড়ে পড়া! নাকি দলের ভরা বসন্তেও দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বারবার ব্যর্থ হওয়ার অশ্রুভরা কিস্‌স্যা? তামিলনাড়ু ও কেরল চষেও পায়ের তলার শক্ত মাটির সন্ধান না পাওয়া? শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় কোনওকালেই গেরুয়া রাজনীতির তেমন কদর ছিল না। আজও নেই। ছাব্বিশেও হবে এমন ইঙ্গিত নেই। কারণ কোনও মুখই নেই, সব মুখোশ! তার উপর ১৫ আগস্ট নয়, ২২ জানুয়ারি নাকি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস, নাগপুরের তিলক-কাটাদের এই সঙ্কীর্ণ হিন্দুত্ব তত্ত্ব এবং নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার অপচেষ্টা বাংলার মানুষ সদর্পে প্রত্যাখ্যান করছে। ভবিষ্যতেও করবে। হিন্দু-মুসলিম আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল, এই বঙ্গে নৈব নৈব চ। সেই হিসেবে বিজেপি এখনও এই বাংলায় ষোলোআনা বহিরাগত দল। ওদের ভিনদেশি সংস্কৃতিটাই গড় বাঙালির চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। সেই কারণেই মেরুকরণের গনগনে আঁচে সেঁকেও ভোটবাক্সে ঢেউ তোলাও হয় না। 
বাংলার কথা থাক। কিন্তু খোদ রাজধানী দিল্লিতে? সেখানেও সংগঠন ধরে রাখার মতো ব্যক্তিত্ব কোথায়? মদনলাল খুরানা, সাহিব সিং ভার্মা এবং সুষমা স্বরাজের পর আজও কোনও নতুন মুখ খুঁজে পেল না গেরুয়া শিবির। আসন্ন ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটেও দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও নাম প্রজেক্ট করতে তারা ব্যর্থ। যেমন বাংলায় মমতার সঙ্গে ধারেভারে এঁটে উঠতে পারার মতো কেউ নেই। যেমন তামিলনাড়ুতে এখনও স্ট্যালিনই রাজ্যের মুখ। আর যে রাজ্যে মুখ নেই সেখানে মোদি-অমিত শাহের কারিকুরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পুরে, দল ভেঙেও গেরুয়া রাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব কখনও শত্রুতার রকমারি গোল্লাছুট চলতেই থাকে। বিচ্ছেদ আর হানিমুনের টানাপোড়েনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ অধরাই থেকে যায়। দল ভাঙানো সহজ কিন্তু মুখ তৈরি করা ততটাই কঠিন।
আম আদমি পার্টি দিল্লিতে দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতায়। তার আগে ছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লিতে সোনিয়ার দলের শেষ হেভিওয়েট নেত্রী। স্বভাবতই এবার চড়া অ্যান্টি ইনকামবেন্সির মোকাবিলা করতে হচ্ছে আপকে। তার উপর শেষ প্রহরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে কমবয়সি আতিশীর উপর। তাঁকে অশালীন আক্রমণ করে কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন কালকাজির বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি। একবার বলা হচ্ছিল স্মৃতি ইরানিকে এই লড়াইয়ে সামনে আনবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ দিল্লির জনসংখ্যার ৮১ শতাংশই হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য উঁকি মেরে পালিয়ে যায়। মুসলিম মাত্র ১৩ শতাংশ। শিখ ৪ শতাংশের মতো। তবু দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিগত সাতাশ বছরের শাপমুক্তি এবারও কঠিন। বাজপেয়ি জমানা শেষ হওয়ার অনেক আগেই দিল্লি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯৮ সালে। তারপর উপর্যুপ঩রি কংগ্রেস ও আপ জমানা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন কিছু কমলেও এবারও দিল্লি থাকবে কেজরিওয়াল বাহিনীরই হাতে। সত্তরটি আসনের মধ্যে ৬৭ (২০১৫ সাল) কিংবা ৬২ (২০২০ সাল) আসন না হলেও এবারও ৫৫ থেকে ৬০ আসনে জয় পাকা কেজরিওয়াল বাহিনীর।
মহারাষ্ট্র ভোটের পর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভাঙছে। কংগ্রেস, আপ এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী, একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। দিল্লির ভোটের পর তা ছত্রখান হয়ে যাবে। পরের বছর অর্থাৎ ছাব্বিশে বাংলার লড়াই। লড়াই তামিলনাড়ু ও কেরলে এর কোনওটিতেই বিজেপি তেমন কোনও ফ্যাক্টর নয়। বাংলায় জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। নরেন্দ্র মোদির অতিবড় সমর্থকও বিশ্বাস করেন না যে তামিলনাড়ু কিংবা কেরলে অচিরেই দলের পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে, বঙ্গ দখল সম্ভব হবে। ক্ষমতা দখল না হোক, অন্তত বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটুকু সম্ভাবনা নিয়েই আপাতত নাড়াচাড়া। কারণ যে সততার বড়াই করে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে এসেছিল আন্না হাজারেকে সামনে রেখে সেই দুর্নীতির অভিযোগ আজ উল্টে কেজরিওয়াল বাহিনীর দিকেই নিবদ্ধ। জেল খেটেছেন কেজরিওয়াল থেকে সিশোদিয়া। সঞ্জয় সিং থেকে সত্যেন্দ্র যাদব। প্রথমে মাত্র ৪৯ দিনের জন্য কেজরিওয়ালজি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সমর্থনে। তারপর দু’টো ফুল টার্মের সরকার চালাতে আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু একদিন যে লোকপালের দাবিতে রাস্তায় নেমে কেজরিওয়ালরা আন্দোলন করেছিলেন তার কী হল। লোকপাল আইন পাশ হয়েছে প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের আমলে। কেউ বলতে পারবেন গত এক দশকে কারা লোকপাল হয়েছেন এবং ক’টা দুর্নীতির ফয়সালা হয়েছে, কিংবা কেজরিওয়ালের আবগারি দুর্নীতি নিয়েই-বা বর্তমান লোকপালের বক্তব্য কী? নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ক্ষমতা দখলের জন্যই! গদিতে বসলে সেই মুহূর্ত থেকেই বদলে যায় হিসেব। নেতানেত্রীদের অগ্রাধিকার—যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ভোগ। ডান-বাম  কেউ এই হিসেবে ভুল করেন না।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ফলে কে জিতবে, তা প্রায় জানা। কিন্তু এক্সিট পোলের পণ্ডিতরা এবারও ব্যর্থ হন কি না নজর থাকবে সেই দিকেও। কারণ ভোটের এক সপ্তাহ আগেই সাধারণ বাজেট। যদি আয়করে বড় ছাড়ের ঘোষণা হয়, মধ্যবিত্ত ঢালাও উপঢৌকন পান, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফলে কিছু প্রভাব পড়তেও পারে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ আপের জাদু এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে এমন ইঙ্গিত কিন্তু নেই। বঙ্গ বিজয়ের মতো দিল্লি দখলও তাই আপাতত দূরঅস্ত!
19th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...

রাজ্যের সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্যাসে খাবার রান্না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। ...

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। কুমেদপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, মিলনগড় ও ভালুকা রোড এই চার স্টেশন এই থানার মধ্যে পড়ে। ...

এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM