Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন। কিছু ব্যক্তির মধ্যেও একইরকম কমপ্লেক্স বা জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। এটাকে ‘সেভিয়ার’ বা ‘মসিহা’ কমপ্লেক্স বলে। এটা এমন একটা মনস্তাত্ত্বিক গঠন যা থেকে একজন বিশ্বাস করেন যে তাঁকেই সমস্ত সমস্যার ‘সমাধান’ করে জনগণকে ‘বাঁচাতে’ হবে। চরম প্রকাশে কমপ্লেক্সটা ওই ব্যক্তিকে এই ভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে যে, মানুষটি ভেবে বসবেন তিনি জৈবিকভাবে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং ‘ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন’!
গত ৭ জানুয়ারি খবরের কাগজের ভিতরের পাতায় একটা শিরোনাম হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকবে—‘উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত গাইডলাইন সংশোধন করেছে ইউজিসি’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সিলেকশন প্রসেস বা নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল খবরটার বিষয়বস্তু। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) খসড়া গাইডলাইন ইস্যু করার পর সে-সম্পর্কে মতামত আহ্বান করেছে।
উধাও উদারতা
বর্তমানে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদনকারী বেশিরভাগ আইনে রাজ্যের রাজ্যপালকেই আচার্য করা হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছু আইনে রাষ্ট্রপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’। সবসময়ই রাজ্যপাল নিয়োগ করা হতো এমন একজন বিশিষ্ট নেতাকে যিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুকাল আগেই অবসর নিয়েছেন অথবা তিনি একজন বিশিষ্ট সম্মাননীয় নাগরিক। রাজ্যপালের কাছে এটাই প্রত্যাশিত যে তিনি পুরোপুরি সংবিধান মেনে কাজ করবেন। বর্তমান রেগুলেশনে একটি সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটির কথা বলা রয়েছে। ওই কমিটিতে রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। অতীতে সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি ছিল উদার ও গণতান্ত্রিক। তখন চূড়ান্ত নির্বাচনের অধিকারী আচার্য বা রাজ্যপাল হলেও তিনি কাজটি করতেন সাধারণত রাজ্য সরকারের ‘সহায়তা এবং পরামর্শ’ অনুসারে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক দশকে সেই রীতি কবরে পাঠানো হয়েছে এবং রাজ্যপালরা উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তাঁদের মর্জি মতোই। 
সময় বদলে আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, রাজ্যপালরা হলেন আরএসএস অথবা বিজেপির আদর্শের প্রতি অনুগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আনুগত্য প্রদর্শনের নিমিত্ত তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন অথবা তাঁরা হলেন আস্থাভাজন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্ভেন্ট। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইসরয়’ হিসেবে কাজ করার এবং সেই রাজ্য সরকারকে ‘শৃঙ্খলিত’ করার ফরমান দেওয়া হয়। বাস্তবে, রাজ্যগুলিতে চালু রয়েছে একটি ‘দ্বৈতশাসন’ ব্যবস্থা। একদিকে নির্বাচিত সরকার এবং অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থার বাইরে বসানো একজন রাজ্যপাল। ভারতের সংবিধানের ‘সহায়তা ও পরামর্শ’ বলে যে ধারাটি রয়েছে এই জমানায় সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
দ্বৈতশাসনের প্রস্তুতি
বিধানসভায় পড়ার জন্য রাজ্য সরকার যে ভাষণ তৈরি করে দেয় কোনও কোনও রাজ্যপাল তার অংশবিশেষ, এমনকী পুরোটাই পড়তে অস্বীকার করেন। আরও দেখা যায় যে, কোনও রাজ্যপাল প্রকাশ্যেই রাজ্য সরকারের, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে, রাজ্যের মুখ্যসচিব অথবা পুলিস প্রধানকে ডেকে পাঠিয়ে হুকুম জারি করছেন কোনও কোনও রাজ্যপাল! জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম ‘পর্যালোচনা’ করার জন্য জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘আলোচনা’ করতে রাজ্য সফর করতেও দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও রাজ্যপালকে। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, বিশেষ করে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে কিছু রাজ্যপাল দ্বৈতশাসন প্রতিষ্ঠিত করছেন। [বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়ঙ্কর। ওই রাজ্য সরকারগুলি পুরোপুরিই ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধস্তন’ হিসেবে কাজ করে। সেখানে সাধারণত একজন মন্ত্রী অথবা একজন সিনিয়র অফিসার প্রধানমন্ত্রীর ‘চক্ষু ও কর্ণ’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, মর্জি, বার্তা প্রভৃতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন তাঁরাই।]
ইউজিসি আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘ডিগ্রি’ বলতে ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত যেকোনও ডিগ্রিকে বোঝায় এবং সেটা দিতে পারে কেবলমাত্র আইনসিদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন খসড়া নিয়মাবলিতে উপাচার্যের জন্য সার্চ-কাম-সিলেকশন এবং নিয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজটা তিন সদস্যের একটা কমিটির মাধ্যমে হবে। ওই কমিটিতে আছেন আচার্য, ইউজিসি এবং সিন্ডিকেট/ সিনেট/ পরিচালন পর্ষদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষসংস্থার তরফে মনোনীত একজন করে সদস্য। কমিটি তিন থেকে পাঁচজন ব্যক্তির নামের একটি প্যানেল তৈরি করবে এবং আচার্য তাঁদের মধ্যে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করবেন। যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই বিধান লঙ্ঘন করে, তবে তাকে কোনোরকম ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালাতে দেওয়া হবে না অথবা ইউজিসি স্কিমে তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। ইউজিসি আইনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়কে তার থেকেও বাদ দেওয়া হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কার্যত আর ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবেই গণ্য হবে না। মনে রাখবেন, উপাচার্য বাছাই এবং তাঁর নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আর কোনও ভূমিকাই নেই। ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ বা উপাচার্য হয়ে উঠবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’, যে সংস্থার চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকার ‘নিয়োগ’ এবং ‘অপসারণ’ দুটোই করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়করণ
একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আদর্শগত বিশুদ্ধতার জন্য যাচাই করা ‘ভাইসরয়’ থাকবেন দু’জন—রাজ্যপাল/ আচার্য এবং উপাচার্য। ড্রাফট রেগুলেশনস বা খসড়া বিধানগুলি প্রজ্ঞাপিত হলে রাজ্য সরকারের অধিকার কেড়ে নেবে। অথচ রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রয়োজনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্য সরকারই তৈরি করেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যেরই নিজস্ব সম্পদ থেকে। খসড়া বিধানগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কার্যত ‘ন্যাশনালাইজ’ বা ‘জাতীয়করণ’ করে ফেলবে। আর ওই সুযোগে দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবেন ‘মসিহা’। বিজেপি যে ‘এক জাতি, এক সরকার’ নীতি নিয়েছে, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীকরণের সঙ্গেই সংগতিপূর্ণ একটা উদাহরণ এটা। এটা ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং রাজ্যগুলির অধিকারের উপর একটা স্পষ্ট আক্রমণ।
এই ড্রাফট রেগুলেশনস রাজ্যগুলির তরফে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করা চাই। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জাতীয়করণের মতলবকে ‘পরাজিত’ করার জন্য রাজ্যগুলিকে লড়াই করতে হবে রাজনৈতিক এবং আইনিভাবে। অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। সাবধান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জনপ্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে দ্বৈতশাসন একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, সেই সুড়ঙ্গ ধরে রাজতন্ত্র বা স্বৈরশাসন কায়েম হওয়া তখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
13th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
একনজরে
ব্যাটল অব উইংস! এভাবেই চিহ্নিত হচ্ছে শুক্রবারের ইস্ট বেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচ। আসলে দ্বৈরথটা যে দুই শিবিরের দু’জন উইং-হাফের। কেরল কোচের বড় ভরসা নোয়া ...

বাজার ধরতে সস্তায় খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা চলছে। করোনার পর সব শহরেই বেড়েছে রেস্তরাঁ বা স্টলের সংখ্যা। বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন কে কত কম দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের মন জয় করতে পারবে তা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ...

এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...

কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM