Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ ছিল নির্যাতিতার পরিবারের ও আন্দোনলকারীদের। তাই অপরাধীর সংখ্যা এক নাকি একাধিক, তা নিয়ে বির্তক উঠেছিল চরমে। কিন্তু তাঁদেরই পছন্দের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, অপরাধী একজনই। সঞ্জয় রায়। তাতে স্পষ্ট, অভয়ার প্রতি মানুষের সীমাহীন আবেগকে বিপথগামী করার একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত হয়েছিল বাংলায়। ‘সূত্রে’র দোহাই দিয়ে গল্পের গোরুকে চড়ানো হয়েছিল গাছে। কিন্তু, এসব করে হাওয়া গরম করা গেলেও বিচারকে প্রভাবিত করা যায় না। কারণ আদালত প্রমাণ ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না। আজই হবে সেই সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা। 
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গভীর রাতে আর জি করে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তিই কাম্য। নানান তথ্যপ্রমাণ ও রিপোর্ট দাখিল করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির সঙ্গে সহমত। কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই তদন্ত নিয়ে। তাঁদের বিশ্বাস, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। সেদিন রাতে অভয়ার সঙ্গে ডিউটিতে থাকা চারজনের কাউকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলার তদন্ত নিয়েও তাঁদের প্রশ্ন আছে।
অভয়ার বাবা-মায়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ও সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে তাঁদের দিশেহারা অবস্থা। ঘটনার পর ‘সিবিআই সূত্রে’র বলে যে সমস্ত খবর সামনে আনা হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসীর মতো তাঁরাও তাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিন্তু আদালত তো ‘সূত্রের খবরে’র ভিত্তিতে রায় দেয় না। আদালত চলে তথ্য, প্রমাণ এবং সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে। এখানে আবেগের কোনও স্থান নেই।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। প্রতিটি পর্বে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মহামান্য আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দু’বার বদল হয়েছে। তারমধ্যে একটি আইনি সংস্থা জানিয়েছিল, ‘তারা আদালতে লড়াই করে আইনের বলে, প্রমাণের উপর নির্ভর করে এবং পেশাগত নীতি মেনে।’ তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে যে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রে’র কথা বলা হচ্ছে, তার কি কোনও প্রমাণ নেই! আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয় বুঝেই কি এমন হাইভোল্টেজ মামলা থেকে সংস্থাটি নিজেদের সরিয়ে নিল?
সিবিআইয়ের চার্জশিটেই বোঝা গিয়েছে, খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ তোলা 
হয়েছিল, তার সারবত্তা এখনও তারা খুঁজে পায়নি। তবে, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ কলকাতা পুলিসের তদন্তকেই মান্যতা 
দিয়েছে সিবিআই। আর জি কর নিয়ে জনস্বার্থে করা মামলার এক আইনজীবীর কথায়, ‘সিবিআই 
৯০দিন ধরে তদন্ত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা কলকাতা পুলিসের তদন্তেই সিলমোহর দিয়েছে।’ সিবিআই এক এক করে ‘মাথা’দের 
ধরে জেলে ভরে দিলে এই তদন্তকারী সংস্থাই তাঁদের মতে হতো বিশ্বসেরা।
‘মিডিয়া ট্রায়ালে’র জেরে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কলকাতার বুকে গণআন্দোলনের চেহারা নিয়েছিল। প্রচার করা হয়েছিল, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির অনেক কিছুই নাকি অভয়া জেনে গিয়েছিলেন। তিনি সব ফাঁস করে দিতে পারেন, এই আশঙ্কাতেই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য অভয়ার নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র’ বলে অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন। তাতেই বেড়েছিল আন্দোলনের তীব্রতা। চিকিৎসকরাও টানা ৪২দিন কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে চিকিৎসা না পেয়ে অকালমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাও মানুষ সব সহ্য করেছে।
তবে, আন্দোলন পর্বে একটি তথ্য মানুষকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। কী সেই তথ্য? সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেও জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালে ও নার্সিংহোমে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দোলনরত ৫৬৩ জন সরকারি সিনিয়র রেসিডেন্ট নার্সিংহোমে গিয়ে অপারেশন করেছেন এবং রোগী দেখেছেন। সেই সময় কেবল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই সরকারের খরচ হয়েছিল ৫৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। 
আন্দোলনের জেরে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়লেও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিকরা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন। কর্মবিরতির ৪২দিনে তাঁরা যে পরিমাণ রোজগার করেছেন তা বহু নার্সিংহোমে একবছরেও হয় না। তাই তাঁদের একাংশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে খাবার পাঠিয়ে, অর্থ দিয়ে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। 
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে মানুষ সমস্ত দুর্ভোগ মুখ বুজে মেনে নিয়েছিল। দাঁড়িয়েছিল আন্দোনলকারী চিকিৎসকদের পাশেই। কিন্তু সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পর মানুষ বুঝেছে, এই খুন কোনও পরিকল্পিত ঘটনার পরিণতি নয়, একজনের কুৎসিত পাশবিক লালসার শিকার। তাতে মানুষ এও বুঝেছে, সন্দেশখালির মতোই আর জি করের আন্দোলন ছিল বাংলাকে কালিমালিপ্ত ও হেয় করার ঘৃণ্য চক্রান্ত।
একথা মানতেই হবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ সরকারি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। বহু মানুষ মারা যাচ্ছিলেন। এটা শুধু সরকারকে নয়, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে বিচারপতি, প্রায় সকলকেই বিচলিত করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে কর্মবিরতি তোলার জন্য হাতজোড় করে মিনতি করেছিলেন। ব্যক্তিগত ইগো, মুখ্যমন্ত্রীর পদের গরিমা কোনও কিছুকেই তিনি আমল দেননি। তাঁর কাছে সাধারণ মানুষের স্বার্থই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। 
গরিব সাধারণ মানুষের স্বার্থে চিকিৎসা পরিষেবাকে স্বাভাবিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নমনীয়তাকে আন্দোলনকারীরা ‘দুর্বলতা’ ভেবে ভুল করেছেন। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, কর্মবিরতির অস্ত্রেই সরকারকে বারবার নতজানু করা যাবে। তাই মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরকার কড়া অবস্থান নিতেই ফের তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দেন। আর জি করে অভয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড আবেগতাড়িত করেছিল গোটা দেশকে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন প্রসূতি। কাঠগড়ায় কয়েকজন চিকিৎসক। তাই দু’টোকে এক করে ফেললে ভুল হবে।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কথায় কথায় বলেন, তাঁরা মানুষের স্বার্থে লড়াই করছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কর্মবিরতি করলে সাধারণ মানুষের কি উপকার হয়। উল্টে তারা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অসুস্থদের হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ছুটতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে অথবা নার্সিংহোমে। আসলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ বাম আমলের ‘চলছে না, চলবে না’ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু হাসপাতাল আর কারখানা তো এক নয়। তাই কথায় কথায় কর্মবিরতি কেন? 
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরও তদন্ত করেছে। তার উপর ভিত্তি করেই ১২জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারমধ্যে ছ’জন সিনিয়র ডাক্তারবাবুও আছেন। এমনকী হাসপাতালের সুপারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সকলে সহমত হবেন, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যেত। এর আগে সরকারের বহু সিদ্ধান্তই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রেও ভুল হলে সেটাই হতো। কিন্তু সে রাস্তায় না হেঁটে কেন কর্মবিরতির ডাক? তাও আবার মানুষের স্বার্থে?
কথায় কথায় কর্মবিরতির ডাক দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলাটা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন, চিকিৎসক ভুল করলেও কি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই কেন উঠবে ‘বদলা’ নেওয়ার অভিযোগ? তবে স্বস্তির কথা, জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের ডাকা কর্মবিরতিতে সাড়া দেননি অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরাও কি বুঝতে পারছেন, আর জি করের প্রেক্ষিত আর মেদিনীপুর মেডিক্যালের ঘটনা এক নয়। তাই কি কর্মবিরতি করে সরকার ও সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলার চক্রান্তে তাঁরা জল ঢেলে দিলেন?
18th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...

ব্যাটল অব উইংস! এভাবেই চিহ্নিত হচ্ছে শুক্রবারের ইস্ট বেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচ। আসলে দ্বৈরথটা যে দুই শিবিরের দু’জন উইং-হাফের। কেরল কোচের বড় ভরসা নোয়া ...

এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...

বাজার ধরতে সস্তায় খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা চলছে। করোনার পর সব শহরেই বেড়েছে রেস্তরাঁ বা স্টলের সংখ্যা। বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন কে কত কম দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের মন জয় করতে পারবে তা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM