Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার আপাতত আর আসবে না। কংগ্রেস যেমন একক গরিষ্ঠতা পাবে না। সেই শক্তি নেই। এবং হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ঠিক তেমনই বিজেপিও আর একক গরিষ্ঠতা পাবে না। মনে করা হচ্ছিল ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি নামক এক ঝড় এসে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা জোট রাজনীতিকে উড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভবত আবার তিনি কায়েম করলেন একক গরিষ্ঠতার সরকার গঠনের সেই পুরাতন রীতি। কিন্তু মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেল সেই প্রবণতা ছিল ব্যতিক্রম। আবার ভারত সরকার চালাচ্ছে বহুদলীয় জোট। অর্থাৎ এখন মোদি যে সরকার চালাচ্ছেন, সেটা ফিরে গিয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ির প্রথম এনডিএ জোটের আমলে কিংবা ডক্টর মনমোহন সিং-এর ইউপিএ জোটের মডেলে।  এই ফর্মুলাই স্থায়ী হয়ে গেল। কোনও সম্ভাবনা থাকছে না যে, বিজেপি আবার এককভাবে ২০২৯-এ অথবা ২০৩৪ সালে একক গরিষ্ঠতা কিংবা ৩০০ আসন পার করে দেবে। সেরকম আর হবে না। জোট করেই সরকার গড়তে হবে বিজেপিকে কিংবা কংগ্রেসকে। ২০২৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে যাবে। হয়তো ২০০ আসনেরও নীচে। কেন? কারণ আগামী পাঁচ বছর ধরে একঝাঁক রাজ্যে বিজেপি সরকার চলবে। আবার একইসঙ্গে কেন্দ্রেও থাকছে এনডিএ জোটের সরকার। অর্থাৎ যৌথ অ্যান্টি ইনকামবেন্সির ধাক্কা আসবে ২০২৯ সালে। সরকার বিরোধী হাওয়ায় আরও আসন কমবে। অন্যতম কারণ হল, আগামী চার বছরে বর্তমান মোদি সরকার কিংবা বিজেপি এমন কোনও চমকপ্রদ কর্মসূচি আর নিতে পারবে না যা ভোট বাড়াতে সাহায্য করবে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বহু প্রতীক্ষিত, বহু প্রত্যাশিত রামমন্দিরই বিজেপিকে একক গরিষ্ঠতা দিতে পারল না যেখানে, সেখানে এর থেকে বড় ইস্যু আর কী হতে পারে? যুদ্ধ ছাড়া! তার সঙ্গে যুক্ত হবে মোদি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন না। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মতো ম্যাজিক আর কারও নেই। অতএব সহজ বোধগম্য হল, বিজেপি সর্বোচ্চ একক আসন ২০১৯ সালে পেয়ে ফেলেছে। ৩০৩। এবার ক্রমেই আসন কমার পালা। 
দ্বিতীয় কোন পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে ভারতের রাজনীতিতে? নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ। কেন্দ্রে যেমন বিজেপি জোট এবং কংগ্রেস 
জোটের মধ্যেই লড়াই হবে, ঠিক সেভাবেই রাজ্যে রাজ্যে সরাসরি দুই দল কিংবা দুই জোটের মধ্যে এবার থেকে ভোটযুদ্ধ হওয়া স্থায়ী হয়ে গেল। সেই প্রমাণ রাজ্যে রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ যে সব রাজ্যে তিন অথবা চারটি দল পৃথক অস্তিত্ব নিয়ে ভোটের রাজনীতিতে বিদ্যমান ছিল এতকাল এবং সবার মধ্যেই ভোট বিভাজন হয়েছে, সেই প্রবণতা ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন দেখা যায় ভোটার দ্বিমুখী হয়ে গিয়েছে। কোনও তৃতীয় পক্ষ সেভাবে দাগ কাটছে না। ভোটে থাবাও বসাতে ব্যর্থ। 
বাংলায় যেমন তৃণমূল বনাম বিজেপি যুযুধান দুই পক্ষ। সিপিএম আর কখনও তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভোটের ময়দানে গুরুত্ব পাবে না। কংগ্রেসও তাই। ঠিক যেমন উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী যুগ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। মায়াবতীর দলিত ভোটব্যাঙ্কের কিয়দংশ চন্দ্রশেখর আজাদের পার্টি পেলেও ত্রিমুখী লড়াই আর হবে না। ওই রাজ্যে লড়াই প্রধানত অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের। যে রাজ্যগুলিতে সরাসরি দুটিই দল, সেই মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, হরিয়ানায় কংগ্রেস বনাম বিজেপিরই লড়াই হতে থাকবে। 
সদ্য সমাপ্ত জম্মু কাশ্মীরের ভোটে এই প্রবণতাকেই লক্ষ করা গেল। একদিকে বিজেপি জোট এবং অন্যদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের জোট। মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রায় মুছে গিয়েছে। দিল্লিতে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এবারও মূল ভোটের লড়াই বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টির। ঠিক সেভাবেই দেখা গিয়েছে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে এখন ভোটের লড়াই হয়। সেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ শিরোমণি আকালি দলের ভোটব্যাঙ্ক সরে গিয়েছে আম আদমি পার্টির দিকে। আবার আশ্চর্য হল, মোদি ১০ বছর দিল্লিতে রাজত্ব করার পরও পাঞ্জাবে বিজেপি এখনও নগণ্য দল। 
লোকসভা ভোটের ফলাফলেই লক্ষ করা গেল, কর্ণাটকে কংগ্রেস বনাম বিজেপি প্রধান দুই দল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই যোগ 
দিয়েছে বিজেপি জোটে। তাদের হাল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, তারা এই জোটে না থাকলেও বিজেপির 
বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। কারণ লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে দেবেগৌড়ার দলের আর গুরুত্ব নেই। 
তামিলনাড়ুতে যেই দেখা গিয়েছে জয়ললিতার রেখে যাওয়া এআইএডিএমকে সম্পূর্ণ নেতাহীন হয়ে কার্যত পালছেঁড়া নৌকার মতো হয়ে গিয়েছে, সেই সময় বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে তামিলনাড়ুতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছিল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের তামিল, তেলুগু, মালয়ালি ভাষার তিন রাজ্য এখনও উত্তর ভারতীয়, মূলত হিন্দিভাষী এবং উচ্চবর্ণ চালিত বিজেপিকে প্রধানতম দল হিসেবে আনবে না। তাই জয়ললিতার দল যখনই দুর্বল হওয়ার প্রবণতা দেখাতে শুরু করেছে, তখনই আত্মপ্রকাশ ঘটল এক নতুন সুপারস্টারের রাজনৈতিক দল। তামিলনাড়ুতে ২০২৬ সালে ডিএমকের সঙ্গে সুপারস্টার বিজয়ের দলের লড়াই হবে আকর্ষণীয়। দুর্বল হয়ে যাবে এআইএডিএমকে। কারণ তাদের কাছে গ্ল্যামার নেই। অর্থাৎ তামিল রাজনীতি হবে পিতা স্ট্যালিন ও পুত্র উদয়াদিত্য স্ট‌্যালিনের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক  স্টার বিজয়ের লড়াই। 
দেবেগৌড়া ও তাঁর দল ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন। নবীন পট্টনায়ক প্রায় রাজনৈতিক মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন পরাস্ত হয়ে। নীতীশকুমারের আর মাত্র কিছুমাস রাজনৈতিক পদাধিকার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর হতে পারবেন না। লালুপ্বসাদ যাদব অসুস্থ এবং প্রায় অবসরপ্রাপ্ত। মুলায়ম সিং যাদব নেই। এই নামগুলি উচ্চারণ করার কারণ কী? কারণ হল, ১৯৭৭ ও তৎপরবর্তীকালে জনতা পার্টি থেকে যে নেতাদের উত্থান হয়েছিল, তাঁরা সকলেই অস্তমিত অথবা অস্তগামী। তাঁদের মধ্যে কারও কারও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী আছে। যেমন অখিলেশ যাদব ও তেজস্বী যাদব। আবার কারও কারও নেই। যেমন নবীন পট্টনায়ক কিংবা নীতীশ কুমার।  
কংগ্রেসের প্রধান সঙ্কট হল, রাজ্যে রাজ্যে শক্তিশালী নেতানেত্রী তৈরি করতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। আসলে চাননি। কারণ তাঁদের আশঙ্কা রাজ্যস্তরে শক্তিশালী নেতৃত্ব তাঁদের অন্ধ অনুগামী হবে না। স্বাধীনভাবে চলবে। যা গান্ধী পরিবারের পছন্দ নয়। আর তার পরিণতিও কংগ্রেস বুঝেছে। এই অতিরিক্ত গান্ধী পরিবার নির্ভর দল করে পুত্রকন্যাকে নিষ্কণ্টক করতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন হারিয়ে বসে আছেন। প্রমাণিত হচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে রাহুল গান্ধী একা কোনও ভোট জিতিয়ে দেবেন সেই ক্যারিশমা নেই তাঁর। বস্তুত সেই স্পার্ক তৈরিই হয়নি এখনও। অথচ তাঁর মধ্যে গুণ রয়েছে। সবথেকে বড় গুণ হল, তিনি এত পরাজয় এবং ব্যর্থতা সত্ত্বেও ময়দান ছেড়ে পালাননি। রয়ে গিয়েছেন। চেষ্টা করছেন।
প্রশ্ন হল, ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী?  ইন্ডিয়া জোট পূর্ণাঙ্গ কোনও জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি। বস্তুত যে রা঩জ্যে যে জোটশরিক শক্তিশালী, সেখানে সেই দল চালিকাশক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস যেখানে একক শক্তিশালী সেখানে কংগ্রেস লড়ছে। যেখানে অন্য আঞ্চলিক দল, তারা সেখানে লড়াই করছে। কংগ্রেসের সমস্যা একটাই। তৃণমূল পারছে, সমাজবাদী পার্টি পারছে, আম আদমি পার্টি পারছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স পারছে, ডিএমকে পারছে। একমাত্র কংগ্রেসের সঙ্গে যেখানে বিজেপির সরাসরি লড়াই হচ্ছে, সেখানে বিজেপি জয়ী হচ্ছে। কংগ্রেস পারছে না। ইন্ডিয়া জোট থাকবে জাতীয় প্ল্যাটফর্মে। সেটা নিয়ে কংগ্রেসকে চিন্তা করতে হবে না। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগে চেষ্টা করুন এমন রণকৌশল তৈরি করতে  যাতে তাঁদের দল বিজেপিকে ওয়ান টু ওয়ান লড়াইয়ে বেশি করে হারাতে পারে। তাহলেই বিরোধী জোট চলে আসবে চালকের আসনে। নচেৎ নয়! 
17th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। কুমেদপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, মিলনগড় ও ভালুকা রোড এই চার স্টেশন এই থানার মধ্যে পড়ে। ...

রাজ্যের সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্যাসে খাবার রান্না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। ...

কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...

এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM