Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার মনষ্কাম কি সিদ্ধ হইবে না?’
এইরূপ তিন বার সেই অন্ধকারসমুদ্র আলোড়িত হইল। তখন উত্তর হইল, ‘তোমার পণ কি?’
প্রত্যুত্তরে বলিল, ‘জীবন তুচ্ছ, সকলেই ত্যাগ করিতে পারে।’
‘আর কি আছে? আর কি দিব?’
তখন উত্তর হইল, ‘ভক্তি।’
—আনন্দমঠ
দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন। আহ্বান করেন তাদের ভ্রাতা ও ভগিনী বলে। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘প্রভু! আমি তোমার নিকট ধন, সন্তান বা বিদ্যা চাই না। যদি তোমার ইচ্ছা হয়, আমি শত বিপদের মধ্য দিয়া যাইব; কিন্তু আমার শুধু এই ইচ্ছা পূরণ করিও, কোন পুরস্কারের আশায় নয়, নিঃস্বার্থভাবে শুধু ভালবাসার জন্যই যেন তোমাকে ভালবাসতে পারি।’ এই তো ভক্তি। পরমাত্মার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা। কর্মে বিশ্বাস করা। আর সেই কর্ম দেশের জন্য। জাতির জন্য। তাই যদি বলা হয়, স্বামী বিবেকানন্দের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী ভূভারতে খুব বেশি জন্ম নেননি, এতটুকু ভুল হবে না। ধর্ম, কর্ম এবং জাতীয়তাবাদ—এই তিন সূত্রকে এক মালায় গেঁথেছিলেন তিনি। আজ যখন আরএসএস জাতীয়তাবাদের কথা বলে, মনে পড়ে যায় অতীতটা। প্রশ্ন ওঠে, যে জাতীয়তাবাদে স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, তার সঙ্গে আরএসএসের সংজ্ঞা মেলে না কেন? যে স্বদেশি আন্দোলনের আগুন বাংলা, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে জ্বলে উঠেছিল... ছারখার করে দিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকের অহং, তার ধারেকাছে কেন সঙ্ঘকে দেখা যায়নি? জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার পর প্রতিবাদের মৃদু স্বরও কেন শোনা যায়নি হিন্দু মহাসভার কণ্ঠে? লবণ সত্যাগ্রহ, ভারত ছাড়ো এবং সবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট... ভারতের লড়াই এবং প্রাপ্তির সেই সফরে চার আনা ভূমিকাও ছিল না সঙ্ঘের। বরং তারা মানতে চায়নি স্বাধীনতা। ৫২ বছর ধরে তেরঙ্গা ওঠেনি তাদের দপ্তরে। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পৌঁছে তারাই ডাক দিয়েছে ‘ঘর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির। এই মহান উদ্যোগ ঘোষণা করেছেন কে? নরেন্দ্র মোদি। সঙ্ঘের আদর্শে বেড়ে ওঠা আমাদের ‘রাষ্ট্রনায়ক’। আজ তাঁর দল, তাঁর সরসঙ্ঘই পরম জাতীয়তাবাদী! মানতে হবে? শাসক যখন বলছে... মানতে তো হবেই। তারা যদি বলে, কংগ্রেস স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনি। মানতে হবে। তারা যদি বলে, বাংলার ঘরে ঘরে সেই সময় বিপ্লব জন্ম নেয়নি, বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনি... মানতে হবে। তারা যদি বলে, ১৯৪৭ সালে অর্জন করা ‘আজাদি ঝুটা’... সেটাও মানতে হবে। কারণ, ওরাই যে এখন আমাদের মাইবাপ। প্রকৃত স্বাধীনতা তাহলে কবে এসেছে? ২২ জানুয়ারি, ২০২৪। সরসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ঘোষণা করে দিয়েছেন। 
হিন্দু জাতীয়তাবাদ। সঠিক কোনও শব্দবন্ধ যদি সঙ্ঘ এবং বিজেপির জন্য লাগসই হতে পারে, তাহলে এটাই। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এদেশে নতুন নয়। কিন্তু বলতেই হবে, আরএসএস ও বিজেপি একে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। হিন্দুধর্মকে বদলে দিয়েছে হিন্দুত্বে। মনে হতেই পারে, দুটোর ফারাক কোথায়? পার্থক্য আছে। কারণ, হিন্দুধর্ম হল আধার। মনুষ্যত্বের, ত্যাগের, ভক্তির। আর হিন্দুত্ব হল মাধ্যম। রাজনীতির মাধ্যম। ব্যবসার মাধ্যম। স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যম। হিন্দুধর্ম কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে খাটো দেখিয়ে নিজেকে জাহির করে না। তাই স্বামীজি হিন্দুর সঙ্গে একসুরে নাম উচ্চারণ করেন ইহুদি এবং জরাথ্রুষ্টীয়দের। বৌদ্ধধর্মের ত্যাগ এবং ভক্তিকে পরমাত্মার কাছে পৌঁছনোর মসৃণ পথ বলে ঘোষণা করেন তিনি। বলেন শ্রীকৃষ্ণের কথাও... ‘মানুষ পদ্মপত্রের মত সংসারে বাস করিবে। পদ্মপত্র জলে থাকে, কিন্তু তাহাতে জল লাগে না; মানুষ তেমনি এই সংসারে থাকিবে, ঈশ্বরে হৃদয় সমর্পণ করিয়া হাতে কাজ করিবে।’ মহাভারতের মতো রাজনৈতিক ‘এপিক’ আর একটিও নেই। ছত্রে ছত্রে ওই মহাকাব্যে ঝরে পড়ে রাজনীতির বারুদ। তাতে কখনও অগ্নিসংযোগ করে দেবকুল, কখনও মানুষ। কিন্তু ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার তো মহাভারতেও করা হয় না! শ্রীকৃষ্ণ দেখিয়ে যান, রাজনীতির থেকে ধর্মকে কীভাবে পৃথক করতে হয়। তাঁর ব্যক্ত করা গীতার প্রতিটা শ্লোক অর্জুনকে কর্ম, ভক্তি এবং কর্তব্যে নিয়োজিত হওয়ার শিক্ষা দেয়। গীতাকে নিছক রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে বলে না! আজ সঙ্ঘের তত্ত্ব মেনে নিলে প্রশ্ন করতে হয়, কে ভুল? স্বামী বিবেকানন্দ? নাকি শ্রীকৃষ্ণ? ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে তারা। ওই মুহূর্ত থেকে নতুন যুগের, নতুন কালচক্রের সূচনার হুংকার দেয়। শ্রীরাম নিজেও কি এই ঔদ্ধত্য মেনে নিতেন? 
সঙ্ঘের হিন্দু জাতীয়তাবাদ ইন্ধন দেয় সাম্প্রদায়িকতায়। আর তার ফল দশকের পর দশক ধরে ভুগতে হয় ভারতকে। কখনও মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর দৃশ্যে, কখনও সংখ্যালঘুদের অধিকার অস্বীকার করে। সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার কার অনুরাগী ছিলেন? হিন্দু মহাসভার নেতা বি এস মুঞ্জের... যিনি ইতালি গিয়ে দেখা করেছিলেন মুসোলিনির সঙ্গে। পাঠ নিয়েছিলেন ফ্যাসিজমের। হিন্দু মহাসভার এই নেতার প্রভাব আর কার উপর প্রবলভাবে ছিল? বিনায়ক দামোদর সাভারকর। হিন্দুধর্মকে যে হিন্দুত্বে বদলে ফেলা যায়, সেটা দেখিয়েছিলেন তিনিই। মুঞ্জের যদি ফ্যাসিজমের প্রশংসক হন, সাভারকর ছিলেন নাৎসিদের। ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে মানতেন না তিনি। ভারত তাঁর কাছে ছিল হিন্দুরাষ্ট্র। হিন্দুদের পুণ্যভূমি। কাজেই আজ যদি আরএসএস তাঁর সুরেই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে, সংখ্যালঘুদের অস্বীকার করে এবং দেশের স্বাধীনতার দিনটিকেই ভুলে যেতে যায়, তাতে অস্বাভাবিক কিছু আছে কি? ধর্মের নামে বিভেদের রাজনীতি যে এমনই এক শ্রেণির হাড়েমজ্জায় ঢুকে পড়েছে। আমরা সেটাই হজম করছি। কেউ স্বেচ্ছায়, কেউ নিরুপায় হয়ে, আবার কেউ প্রতিবাদের স্বর হারিয়ে। গণতান্ত্রিক ভারতে তাই স্বাধীনতার গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করলেও তাকে ভর্ৎসনা করার কণ্ঠ নেই। শাসক দেশের সংবিধান বদলে দিতে চাইলেও তাকে উপড়ে ফেলার মতো শক্ত কাঁধ নেই। গুটিকয় প্রতিবাদ এই উপমহাদেশের কয়েকটি প্রান্ত থেকে ওঠে, আবার হারিয়ে যায় আগ্রাসী রাজনীতির নিনাদে। আমরা মেনে নিই অসহায়তাকে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, হিন্দুধর্মের নতুন সংজ্ঞাকে। কেন? ভারতীয় নামে যে জাতি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত অবস্থান করে, আজ তারা কি এতই দুর্বল? যে জাতি এক সময় বিদেশি রাজদণ্ড ভেঙে ফেলতে জীবন তুচ্ছ করেছিল, দেশমাতৃকার প্রতি ভক্তিকে হাতিয়ার করে নেমে পড়েছিল নিঃস্বার্থ সংগ্রামে, তারা আজ কোথায়? 
অসহযোগ আন্দোলনের সময় হেডগেওয়ার কারাবরণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সাফ কথা ছিল, ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। আরএসএস আদর্শগতভাবে দেয়নি। অর্থাৎ, কৌশলে সঙ্ঘকে স্বাধীনতা সংগ্রামের বাইরে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ, জাতীয়তাবাদের স্ট্যাম্পটুকু জোগাড় করে নিতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। এমন সংগঠনের থেকে আজ ভারতকে ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’ শিখতে হবে? 
আন্দামানের জেলে থাকাকালীন ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি দিয়েছিলেন সাভারকর। মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। পেয়েওছিলেন। শর্ত চাপিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। রাজনীতি করতে পারবেন না তিনি। আর রত্নগিরির বাইরে যেতে পারবেন না। মেনে নিয়েছিলেন সাভারকর। শোনা যায়, সে জন্য নাকি তাঁকে মাসোহারাও দেওয়া হতো। রত্নগিরির বাইরে তিনি যাননি ঠিকই, কিন্তু পর্দার আড়াল থেকে হিন্দু মহাসভা এবং সঙ্ঘের জন্য ঘুঁটি সাজিয়ে গিয়েছেন। আর যখন ‘ছাড়পত্র’ পেয়েছেন, ছ’বছরের জন্য হিন্দু মহাসভার সভাপতি পদ অলঙ্কৃত করেছেন সাভারকর। প্রকাশ্যে এনেছেন ‘দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্ব’। অর্থাৎ, হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশ। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। বিভাজন। আজ তাঁর অনুগামীদের কাছে আমরা শিখব, কবে আমাদের স্বাধীনতা দিবস?
শ্রীকৃষ্ণের বাণী উদ্ধৃত করে স্বামীজি বলেছিলেন, ‘সূত্র যেমন মণিগণের মধ্যে, আমিও সেইরূপ সকল ধর্মের মধ্যে অনুস্যূত। যাহা কিছু অতিশয় পবিত্র ও প্রভাবশালী, মানবজাতির উন্নতিকারক ও পাবনকারী, জানিবে—সেখানেই আমি আছি।’ সর্বধর্ম সমন্বয়ের ডাক দিয়েছিলেন স্বামীজি। যেখানে মারামারি, কাটাকাটি থাকবে না। জাত, বর্ণের ভিত্তিতে মনুষ্যত্বের বিচার হবে না। পরমাত্মার কাছে পৌঁছোনই হবে উদ্দেশ্য। প্রত্যেকের অধিকার সমান হবে। আর... মানুষ প্রকৃতভাবে স্বাধীন হবে। মোহন ভাগবত নিশ্চয়ই তেমন কোনও রাষ্ট্রের কথা বলছেন না? 
21st  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...

রাজ্যের সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্যাসে খাবার রান্না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। ...

বাজার ধরতে সস্তায় খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা চলছে। করোনার পর সব শহরেই বেড়েছে রেস্তরাঁ বা স্টলের সংখ্যা। বিরিয়ানি, মোগলাই বা চাউমিন কে কত কম দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের মন জয় করতে পারবে তা নিয়ে অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ...

ব্যাটল অব উইংস! এভাবেই চিহ্নিত হচ্ছে শুক্রবারের ইস্ট বেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচ। আসলে দ্বৈরথটা যে দুই শিবিরের দু’জন উইং-হাফের। কেরল কোচের বড় ভরসা নোয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM