Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। আর সেটিই পরে চন্দন, সিঁদুর-টিদুর লেপে বসেছিল। শিবরামবাবু বলেছিলেন, দেবতার জন্ম। সত্যি! জন্মই বটে। ছেলেবেলায় পড়ে মনে হতো, দেবতার জন্ম??? সেও কি হয়? চুল পাকানোর পর অল্পবিস্তর জ্ঞানবুদ্ধির ঠকঠকানিতে জানতে পেরেছি... সেটাও হয়। দেবতার জন্ম দেয় মানুষই। ঠাকুর বলতেন, ভগবান সর্বত্র আছেন। নরেনকে বলেছিলেন, ‘তোকে যেমন দেখছি, তেমনই ওনাকে দেখেছি।’ বিশ্বাস তৈরি করেছিলেন তিনি নরেনের মনে। সেই বিশ্বাস গড়ে তুলেছিল স্বামী বিবেকানন্দকে। স্বামীজি কি আমাদের কাছে দেবতা নন? আলবাৎ তিনি দেবতা। মনুষ্যত্ব, ধর্মচিন্তা, বিবেককে যিনি জাগ্রত করতে পারেন... বিশ্বাস করতে শেখান... তিনি দেব ছাড়া অন্য কিছু নন। দেবতার জন্ম তো হয় বিশ্বাসে। আমরা বিশ্বাস করেছি বুদ্ধে, শ্রীরামকৃষ্ণে। তাই তাঁরা দেবতা। তাঁদের দেখানো পথ মুক্তির। শান্তির। প্রাপ্তির। এছাড়া আর একটি কারণে দেবতার জন্ম হয়— ধান্দায়। ধর্মের থেকে বেশি ভালো ব্যবসা আর কিছু আছে নাকি? এই চিরন্তন সত্য বারবার প্রমাণিত। যুগে যুগে। বিনেপুঁজির এই ব্যবসায় মানুষের বিশ্বাসকে শুধু ব্যবহার করতে হয়। একবার ধোঁয়া দেখা গেলেই হল... কেল্লাফতে। দেবতার জন্ম তখন সময়ের অপেক্ষা। মানুষ ধরেবেঁধে আপনাকে দেবতা বানিয়ে দেবেই। কিন্তু আপনি নিজে যদি দেবতা সেজে মন্দিরে বসতে চান? আম জনতার ভুরু কুঁচকাবেই। প্রথমে তারা দেখবে, ঈশ্বর সাজতে চাওয়া লোকটার আদৌ কোনও পোটেনশিয়াল আছে কি না। তারপর দেখবে, তার ক্ষমতা কতটা। খুব প্রভাবশালী হলে ঢোঁক গিলে নেবে। অর্থাৎ, চূড়ান্ত আপত্তি সত্ত্বেও আপনাকে দেবতা বলে মেনে নেবে। কিন্তু যদি দেখে, আপনাকে দিয়ে দৈবকর্ম কিছুই হচ্ছে না এবং আপনার প্রভাব ফুরিয়ে আসছে? ছুড়ে ফেলে দিতে বেশি সময় লাগবে না। ঠিক এই কারণেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘উপলব্ধি’ দেখে হাঁফ ছাড়া যাচ্ছে। তিনি মোক্ষম সময়ে বুঝে গিয়েছেন, আর নিজেকে ঈশ্বর বা ভগবানের বরপুত্র বলে হাঁকডাক করাটা ঠিক হবে না। তার থেকে বরং এইবেলা মানুষ হয়ে যাওয়া ভালো। অথচ, মাস সাত-আষ্টেক আগেই একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদিজি বলেছিলেন, ‘মা বেঁচে থাকার সময় মনে হতো, আমার জন্ম জৈবিকভাবে হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর সমস্ত অভিজ্ঞতা বিচার করে নিশ্চিত হয়েছি, আমাকে পাঠিয়েছেন স্বয়ং পরমাত্মা। ঈশ্বরই আমার জন্মদাতা। সাধারণ জৈবিক শরীরে এই শক্তি পাওয়া যায় না। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কোনও কাজ করাতে চান। সেজন্যই আমাকে এই শক্তি দিয়েছেন।’
অত্যন্ত বিনীতভাবে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়, মহাশয়, আপনার কাজ কি ফুরিয়েছে? তাই আবার মানুষ হয়েছেন? না হলে পডকাস্টে কেনই বা বললেন, ‘ঈশ্বর নই। আমিও মানুষ। আমারও ভুল হয়।’ কোথায়? এমন কোনও মারমার কাটকাট কাজ তো আমাদের চোখে পড়ল না? কাজের কথা বললেই মনে পড়ে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি, নোট বাতিল, জিএসটি, জিডিপি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের কথা। মনে পড়ে রামমন্দির, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও। আপনি নিশ্চয়ই কাজ বলতে এইসব বোঝাননি? আর জীবনের উদ্দেশ্য? সেটা প্রত্যেক মানুষেরই থাকে। ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেককে কোনও না কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্যই নির্ধারিত করেছেন। এমন কোনও কাজ, যা ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না। ফারাক একটাই, হাতেগোনা কয়েকজনের কাজ প্রচারে আসে। বাকিদেরটা থেকে যায় আড়ালেই। তবু কৃতজ্ঞ আমরা, উনি স্বীকার করেছেন। উনি মানুষ। দেবতা নন। সেটাই বা কম কী? ছেলেমেয়েদের আমরা আশীর্বাদ করি, ‘মানুষ হও।’ কেন করি? কারণ, আমরা বিলক্ষণ জানি, সত্যিকারের মানুষ হওয়া বড্ড কঠিন। মানুষ হতে গেলে মান এবং হুঁশ থাকা যে খুব দরকারি। মান অর্থাৎ আত্মসম্মান। আর হুঁশ? বিবেচনা, বিচক্ষণতা, বোধ এবং বিবেক। ঠিক তাই কাজী নজরুলের কথাগুলো যেন কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘বিবেকের ক্ষমতা অসীম। যাহারা পশুশক্তির ব্যবহার করিয়া বাহিরে এত দুর্বার দুর্জয়, অন্তরে তাহারা বিবেকের দংশনে তেমনই ক্ষত-বিক্ষত, অতি দীন। তাহারা তাহাদের অন্তরের নীচতায় নিজেই মরিয়া যাইতেছে, শুধু লোক-লজ্জায় তাহাকে দাম্ভিকতার মুখোশ পরাইয়া রাখিয়াছে। সিংহের চামড়ার মধ্য হইতে লুকানো গর্দভ-মূর্তি বাহির হইয়া পড়িবেই। নীল শৃগালের ধূর্তামি বেশি দিন টিকিবে না।’ পরাধীন ভারতে তাঁর লক্ষ্য ছিল ইংরেজ সরকার। চেয়েছিলেন তিনি মানুষের মনের স্বাধীনতা বোধকে জাগ্রত করতে। 
পরাধীনতা কি শুধু ঔপনিবেশিক শাসনে আসে? পরাধীন হয় মানুষ তার অধিকার থেকে বিচ্যুত হলে। পরাধীন হয় কেউ তার মুখে কুলুপ এঁটে দিলে। পরাধীন হয় অক্লান্ত পরিশ্রমের পর দু’বেলা দু’মুঠো ভাত না জুটলে। মাথার উপর ছাদ না পেলে। মেয়ের বাবা বিয়ের গয়না কিনতে যেতে ভয় পান। ৮ হাজার টাকায় এক গ্রাম সোনা! কী দেব মেয়েকে? এই তো বছর দশেক আগেই ছিল আড়াই হাজার টাকা। চাল কিনতে গিয়ে নুন কেনার পয়সা ফুরোয় দশরথের মতো দিনমজুরদের। গ্র্যাজুয়েট প্রণব বসে থাকে চাকরির আশায়। বাবাকে বলে, একটা স্কুটি কিনে দেবে? তাহলে সুইগি বা জোমাটোর ডেলিভারি বয়ের কাজটুকু অন্তত জুটে যাবে। এও কি পরাধীনতা নয়? ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৮৬ পার করে যায়। সর্বকালীন রেকর্ড। তারপরও আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা দুর্বল হয়নি। ডলার সবল হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ভোটে পর্যন্ত একের পর এক সভায় নরেন্দ্র মোদি তো এই ডলারের বিনিময়মূল্য নিয়েই সরব ছিলেন! বলেছিলেন, ‘রুপিয়া হাসপাতাল মে হ্যায়। আইসিউইতে পড়ে আছে।’ তখন ডলার ছিল ৫৬ টাকার আশপাশে। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘ইউপিএ সরকার ভারতের উপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। টাকার দর যে হারে পড়ছে, তাতে মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন্দ্র আর ডলারের বিনিময়মূল্যের মধ্যে কম্পিটিশন চলছে। কে আগে বেশি নীচে পড়বে। স্বাধীনতার সময় এক ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল এক টাকা।’ কী হয় টাকার দর পড়লে? অশোধিত তেলের মতো বহু পণ্য ভারত বিদেশ থেকে আমদানি করে। আর তার মূল্য দিতে হয় ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার যত শক্তিশালী হচ্ছে, ততই দুর্বল হচ্ছে টাকা। অর্থাৎ একই পরিমাণ তেল কিনতে অনেক বেশি মূল্য চোকাতে হচ্ছে ভারতকে। ফল? বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমছে। সেইসঙ্গে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যেকার ফাঁক বাড়ছে। মানে, যত টাকা আমদানির জন্য ভারত খরচ করছে, তার থেকে ঢের কম টাকা রপ্তানি বাবদ আসছে। আমেরিকাও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে ডলার প্রতিদিন চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। আতান্তরে পড়ছে বহু ভারতীয় কোম্পানি। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে খবরের কাগজ। প্রজেক্ট থেকে নিউজপ্রিন্ট, তাদের খরচ করতে হয় ডলারই। দশ বছর আগেও এক ডলারের জিনিস বিদেশ থেকে কিনলে তাদের ৫৬ টাকা খরচ হতো। এখন একই পরিমাণের জন্য ৮৬ টাকা ব্যয় হচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপর। ইনক্রিমেন্ট বাজারদরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হচ্ছে না। বহু সংস্থায় ছাঁটাই চলছে লাগাতার। পাশাপাশি আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় বাজারে জিনিসপত্রের দাম চড়ছে হু হু করে। কিছু তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা, টেক্সটাইল বা ফার্মা কোম্পানি, যারা ডলারের হিসেবেই রপ্তানি করে থাকে, লাভ হচ্ছে শুধু তাদের। আম জনতার নয়। ফল? সমাজে অবসাদ এবং অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এটাও কি পরাধীনতা নয়? আর এর জন্য কি সরকারের ব্যর্থতা দায়ী নয়? তারপরও ক্ষমতার দম্ভ কি মানায়? কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘শক্তি লাভ করিয়া যাহারা শক্তির এমন অপব্যবহার করিতেছে, কে জানে প্রকৃতি তাহাদের এই অপরাধের পরিণাম কত নির্মম হইয়া লিখিয়া রাখিয়াছে!’ অহঙ্কারের পতন হয়। সেটাই ভবিতব্য। নিপাট ভালোমানুষ ওই ভক্তের মুখেই যে শোনা... ‘ভগবানের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য হল অহঙ্কার। ওইটা পেলে উনি আর কিছু চান না।’ তারপরও আমরা ভগবানই হতে চাই! অজ্ঞানতার কী ভয়ানক বিড়ম্বনা। 
তবে হাঁফ ছাড়ার মতো কথা একটাই, নরেন্দ্র মোদি দেবত্ব ভুলে মানুষ বলে নিজেকে স্বীকার করেছেন। স্বস্তি পেয়েছে দেশবাসী। এবার হয়তো পরাধীনতার শৃঙ্খল ঘুচবে। এবার হয়তো অধিকারের মুখ দেখবে কাঙাল মানুষগুলো। এবার হয়তো আমরা মুখ তুলে বলতে পারব, ‘আমরা তোমাদের ক্ষমতায় এনেছি আমাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। ক্ষমতার আস্ফালন দেখতে নয়।’ স্বামীজি বলেছিলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াও। মুখোমুখি হও।’ তবেই না অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর দিশা দেখা যাবে। তবেই না সমস্যার তালা ভেঙে সমাধানের গন্ধ আসবে নাকে। মনে পড়ে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সেই দু’টি লাইন... ‘মিত্র হোক- ভণ্ড যে- তাহারে দূর করিয়া দে’...। তার জন্য মুখ লুকোলে চলবে না। মাথা তুলতে হবে সাধারণকেই। ‘নির্বোধ মেষযূথের মতো এক স্থানে জড়ো হইয়া শুধু মাথাটা লুকাইয়া থাকিলে নেকড়ে বাঘের হিংস্র আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইব না, তাহা হইলে আমাদের ওই নেকড়ে বাঘের মতো করিয়া কান ধরিয়া টানিয়া লইয়া গিয়া হত্যা করিবে।’ এটাই যে সারসত্য। পরাধীনতা ঘোচানোর। অধিকার অর্জনের। তবে যে আমরাও মানুষ হব। 
14th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
কারখানা থেকে জামাকাপড় চুরি। এর জেরে চোর সন্দেহে এক মহিলা ও তাঁর তিন কন্যার মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরানো হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ...

ব্যাটল অব উইংস! এভাবেই চিহ্নিত হচ্ছে শুক্রবারের ইস্ট বেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচ। আসলে দ্বৈরথটা যে দুই শিবিরের দু’জন উইং-হাফের। কেরল কোচের বড় ভরসা নোয়া ...

এই সময়ে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি প্রভৃতির নিয়মাবলিতে ইউজিসির পরিবর্তন আনার কারণ কী? আরও গভীর কোন উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে রয়েছে? ...

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। কুমেদপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, মিলনগড় ও ভালুকা রোড এই চার স্টেশন এই থানার মধ্যে পড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৪৮:  জেমস মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কাঠচেরাই কলে প্রথম সোনা আবিষ্কার করেন
১৮৫৭: ভারতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯২৭:  তৎকালীন তরুণ পরিচালক আলফ্রেড হিচককের প্রথম ছবি দ্য প্লেজার গার্ডেন মুক্তি পায়
১৯৪২: প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২: তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৫৪: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮১: অভিনেত্রী রিয়া সেনের জন্ম
১৯৮৪: অ্যাপল ম্যাকিন্টশ বিক্রি শুরু হয়
১৯৮৭: উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেজের জন্ম
১৯৮৮: ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১: হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু
২০২২:  বিশিষ্ট  চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৯৮ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.০০ টাকা
ইউরো ৮৮.৭০ টাকা ৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  ৩২/৪০, রাত্রি ৭/২৬। অনুরাধা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/২২/২১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/২২ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী  সন্ধ্যা ৫/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩২ গতে ১০/১১ মধ্যে।     
২৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাদুড়িয়াতে পুলিসের গ্রেনেড ফেটে দুই কিশোর জখম হওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য
হঠাৎ করেই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে চিলি বা কালারিং-গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতির ...বিশদ

11:24:00 PM

বিহারে জমি নিয়ে বিবাদের জের, ভাইকে পোস্টে বেঁধে পুড়িয়ে মারল দাদা ও শ্যালিকা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

10:12:00 PM

কেরলের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী ইস্ট বেঙ্গল

09:26:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজের সঙ্গমঘাটে পুজো করলেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি

09:16:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ২-কেরল ০ (৮০ মিনিট)

09:07:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৭২ মিনিট)

08:59:00 PM