কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
একদিকে বিপুল জয়ের জন্য মমতাকে অভিনন্দন বার্তা, অন্যদিকে চোখ রাঙানি—মোদি-শাহের এমন নির্লজ্জ দ্বিচারিতার নজির ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অথচ লজ্জা-শিষ্টাচার-সৌজন্যই তো ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য। ২ মে ভোট গণনার ফলাফল বলছে, দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরলে ধরাশায়ী বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে রীতিমতো মাঝ সমুদ্রে চার্টার্ড প্লেন ক্রাস করেছে। একমাত্র অসমে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি কেন্দ্র শাসিত রাজ্য পুদুচেরি দখল করেছে তারা। চপেটাঘাত বুঝি তারপরেও অবশিষ্ট ছিল। যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। মোদির নিজের কেন্দ্র বারাণসী এবং রামের অযোধ্যাতেও হারতে হয়েছে তাদের। তবু দু’কান কাটাদের মতো আচরণ অব্যাহত! শাসক দল তৃণমূল তো বটেই, রাজ্যের মানুষও অবশ্য এই গায়ে পড়ে ঝগড়া করার চেষ্টাকে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিচ্ছেন। মমতার কথায়, কেন্দ্রীয় দল নবান্নে এসেছিল, তাদের চা-বিস্কুট খাইয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আসলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা না দিয়ে বোধ হয় করুণাই তাদের প্রাপ্য। কেন্দ্র হয়তো ভুলে গেছে, এখন করোনা মোকাবিলাই সর্বাগ্রে বিবেচনার প্রয়োজন ছিল। একটি নবনির্বাচিত রাজ্য সরকারকে সংক্রমণ মোকাবিলার সবরকম সাহায্যের ব্যবস্থা করলে রাজ্যের মানুষ মোদি-শাহদের ধন্য ধন্য করতেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ১৫ দিন সবচেয়ে খারাপ সময় আসছে। অথচ গোটা দেশেই অক্সিজেন-বেড-ওষুধের আকাল তীব্র। এ রাজ্যের পরিস্থিতিও তার খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। এমন জরুরি অবস্থায় রাজ্যগুলির যাবতীয় চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবরকম সাহায্য চেয়েও ব্যর্থ হলেন। দেশের এমন নিদারুণ পরিস্থিতির জন্য সুপ্রিম কোর্ট এবং একাধিক হাইকোর্ট কেন্দ্রকে বারবার ভর্ৎসনা করেছে। মমতাও মনে করেন, এই সঙ্কটের সময় কেন্দ্রীয় সরকার ও তার মন্ত্রীদের করোনা রোগী ও হাসপাতালের পাশে দাঁড়ানোই একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি, গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতার লোভ মৃত্যু মিছিলকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে।