কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
নির্দিষ্টভাবে নবাব বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং বিজেপি জোট সরকার শাসিত বিহারের নাম করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এই দুই রাজ্যের অবস্থা এতটাই খারাপ যে শ্মশানে দেহ দাহ করার মতো পরিস্থিতি নেই। নদীর ধারে দেহ দাহ করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার যে ব্যর্থ হয়েছে, এই নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বালাসাহেব থোরাট বলেন, ‘মোদি সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের কোনও নীতি নেই।’ অন্যদিকে ‘সামনা’য় শিবসেনার মন্তব্য, করোনা মোকাবিলার থেকে অসম ও পশ্চিমবঙ্গে ভোটের উপর বেশি জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার!
এদিকে, করোনার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের ভিস্তা সহ অন্যান্য প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই নিয়ে তিনি ট্যুইটে জানিয়েছেন, ২০ হাজার কোটি টাক খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং ভিস্তা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই টাকায় ৬২ কোটি টিকা, ২২ কোটি রেমডিসিভির ভায়াল, তিন কোটি ১০ লিটার অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১২ হাজার শয্যা বিশিষ্ট ১৩টি এইমস গঠন করা যাবে। এরপরেও কেন প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর আবার করোনায় বিদেশি সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের মতে, যেভাবে করোনার সময় বিদেশি সাহায্য নিয়ে গর্ব করা হচ্ছে, তা হতাশজনক। সরকার ঠিক কাজ করলে এমন পরিস্থিতির তৈরি হতো না। শশী থারুর আবার বলেন, ব্যর্থতাকে সামনে এনে অনুকম্পা আদায়ের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘এটাই হয়তো নয়া ভারত’। এদিন অতিরিক্ত রেমডিসিভির চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যগুলিকে রেমডিসিভির বণ্টনের দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত তামিলনাড়ুকে আড়াই লক্ষ ভায়াল দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দিনে মাত্র ৭ হাজার ভায়াল।’ তিনি এই সরবরাহ বাড়িয়ে দৈনিক ২০ হাজার করার দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, ভারতের বি-১.৬১৭ স্ট্রেইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, এই রূপটি খুব সহজেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং ভ্যাকসিনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলেছে। উল্লেখ্য, সামান্য হলেও সোমবার গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ কমেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সারা দেশে মোট ২ কোটি ২৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৭৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৫৪ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ১১৬। ছবি: পিটিআই