কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
এদিন হিমন্তের পরনে ছিল অসমের ঐতিহ্যশালী পাট সিল্কের ধুতি, কুর্তা এবং গলায় ঝোলানো মুগা রেশমের গামছা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ১৩ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বিজেপির। বাকি তিন বিধায়কের দু’জন জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদের (অগপ) এবং একজন ইউপিপিএলের। তবে, আশ্চর্যজনকভাবে তালিকায় নাম নেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের। মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা সদস্য অজন্তা নিয়োগ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, সোনেওয়াল, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, রমেশ তেলি এবং অসম কংগ্রেসের প্রধান রিপুন বোরা।
শপথগ্রহণের পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে অসমকে অন্তর্ভুক্ত করাই আমার লক্ষ্য। সেজন্য আগামী কাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করব। মঙ্গলবারই বৈঠকে বসছে নয়া মন্ত্রিসভা। সেখানে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার যাবতীয় দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সর্বানন্দ সোনেওয়ালের গত পাঁচ বছরের শাসনে সব থেকে বেশি বিতর্ক যে পদক্ষেপ নিয়ে হয়েছে, তা হল জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এ প্রসঙ্গে বিশ্বশর্মা বলেন, বর্তমান এনআরসিতে সামান্য কিছু ভুলত্রুটি দেখা গিয়েছে। সীমান্ত জেলাগুলির বাসিন্দাদের নামে ২০ শতাংশ সংশোধন করা দরকার। অন্য জেলাগুলির ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও অসমের একটা বড় সমস্যা হল, উলফার মতো জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত। তাদের নাশকতায় রাজ্যে বিভিন্ন সময় অস্থিরতা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে উলফা সহ অন্যান্য জঙ্গিদের অস্ত্র প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছেন হিমন্ত। তাঁর কথায়, ‘আমি পরেশ বড়ুয়াকে আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি। অপহরণ ও হত্যা সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। আশা করি, আগামী পাঁচ বছরে এই সমস্ত বিদ্রোহীদের মূল স্রোতে আনতে সক্ষম হব।’