কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
টানা দশবছর ওই পদে ছিলেন। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ও পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতাকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও সমীহ করেন। কিন্তু ২০০৯-এর পুরভোটে বামেদের কাছে হেরে যান রথীনবাবু। পাঁচবছর সামলেছেন বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব। ২০১১ সালে মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র গঠন হওয়ার পর তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। পাশাপাশি ২০১৫ সালে তিনি পুর চেয়ারম্যান পদও ফিরে পান। এবার তিনি ৪৮ হাজারের বেশি ভোটে তৃতীয় বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নেতৃত্বে থাকায় মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তেমন মাথাচাড়া দিতে পারেনি। এমনকী, পুরসভাতেও বিভিন্ন দলের কাউন্সিলার ও সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। রথীনবাবুকে মন্ত্রী করার দাবি কর্মীদের থেকে বার বার উঠেছে গত একদশকে। সেই দাবি এবারও পূরণ হবে কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। ভর্তি ছিলেন আইডি হাসপাতালে। গত শুক্রবার করোন জয় করে মাইকেলনগরের বাড়িতে ফিরেছেন। রবিবার তাঁর মন্ত্রী হওয়ার খবরে মধ্যমগ্রাম জুড়ে খুশির হাওয়া বইছে। সোমবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে উৎসাহী দলীয় কর্মীরা ভীড় জমান। সবুজ আবির উড়িয়ে তাঁরা আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবুকে এবার বনমন্ত্রী করায় তাঁর অনুগামীরা কিছুটা যেন হতাশ।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, রথীন ঘোষের কর্মদক্ষতা অতুলনীয়। খাদ্যদপ্তরে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা এই দপ্তরের কাজ অনেকটা এগিয়ে রেখেছি। আমার বিশ্বাস, রথীনবাবু দক্ষতার সঙ্গেই খাদ্যদপ্তর পরিচালনা করবেন। অন্যদিকে রথীনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার উপর এমন আস্থা ও বিশ্বাস রাখায় আমি আপ্লুত। এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই আমাদের অগ্রাধিকার। মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব দেবেন দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করব। রথীন ঘোষ বুধবার তাঁর নতুন দপ্তরে যাবেন।