কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
এই চরম অব্যবস্থা আর স্বজন হারানোর বেদনা তীব্র ক্ষোভে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নিয়েই নিয়েই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিজেপির মধ্যে। আগামী বছর যে রাজ্যগুলিতে ভোট তার মধ্যে গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশে কোভিডের সংক্রমণ তীব্র। পাঞ্জাব নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও আশা করছে না। কারণ, কৃষক আন্দোলনের জেরে পাঞ্জাবে যে সমর্থন বিপুল ধাক্কা খেয়েছে সেটা প্রমাণিত সাম্প্রতিক পুরসভা নির্বাচনে। একই ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটেও দলের ভরাডুবি হয়েছে। এখনও কোভিডের সঙ্কটে রাশ টানা সম্ভব হয়নি। উল্টে ভ্যাকসিন অমিল। এই ভ্যাকসিনই প্রধান ইস্যু হয়ে উঠবে আগামী ভোটে, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব এই নিয়ে লাগাতার বার্তা পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিজেপির আশঙ্কার প্রধান কারণ আগামী বছর উত্তর ভারতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায়। যদি এই তিন রাজ্যে ধাক্কা খেতে হয়, তাহলে উত্তর ভারতে বিজেপি সাফ হয়ে যাবে। বিজেপির এই আগাম আশঙ্কার অন্যতম কারণ পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয়। বাংলার ফলাফল নিয়ে আরএসএস রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পাঁচ রাজ্যের ফলাফল নিয়ে বৈঠক করবে আরএসএস। একইভাবে আগামী বছরে যে ৬ রাজ্যে ভোট, তার স্ট্র্যাটেজি নিয়েও এখন থেকে বিজেপিকে গুরুত্ব দিয়ে কৌশল স্থির করতে বলেছে আরএসএস।
কোভিড সঙ্কট গতবছর প্রধানত শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার গ্রামীণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক খবর আসছে। গ্রামে গ্রামে জ্বর কাশিতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এরকম একটি প্রচার শুরু হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড চিকিৎসা তো নয়ই, পরীক্ষাও হচ্ছে না সর্বত্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক গ্রামীণ এলাকায় পরীক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে যেতে রাজ্যগুলিতে বিশেষ আবেদন করেছে।