কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থপ্রাপ্তির যোগ। যে কোনও শুভকর্মের ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, মালিকপক্ষের সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা অবশ্য এই মহামারী পরিস্থিতিতে কর্মীদের স্বার্থে সরকারের যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন। তবে একই সঙ্গে তাঁরা আর্জি জানিয়ে বলেছেন, সরকার যেন এবার কোনওভাবেই পূর্ণ লকডাউনের পথে না হাঁটে। তাঁরা চান, বিধি মেনে কর্মীসংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়েও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে। পূর্ণ লকডাউন হলে উৎপাদন পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে গতবারের মতো চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের। আর এবার সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা তাঁদের থাকবে না। প্রধানসচিব বণিকসভাগুলির এই আর্জির কথা নবান্নে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
একই সঙ্গে তাঁদের তরফে চটশিল্প ও চা বাগানগুলিতে শিফট প্রতি কর্মীসংখ্যা কমানোর বিষয়ে সরকারি আদেশনামা পুনর্বিবেচনারও আবেদন রাখা হয়েছে। মালিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, চটকলগুলিতে প্রতি শিফটে মাত্র ৩০ এবং চা বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তাছাড়া চটকল বা চা বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের কর্মস্থলে যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন সেটা তাঁদের ছোট বাসস্থানে সম্ভব হয় না। ফলে কর্মস্থলে তাঁরা তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুযোগ পান। এই অবস্থায় এই দুই ক্ষেত্রে শিফট প্রতি কর্মীসংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি করা হলে উৎপাদন স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, বণিকসভা তথা মালিকপক্ষের সংগঠনগুলির তরফে এদিন কর্মস্থলে কর্মীদের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করারও আর্জি জানানো হয়।
রাজ্যের যাবতীয় শিল্পক্ষেত্রে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে গত শনিবার প্রধানসচিব একটি কড়া সার্কুলার জারি করেন। ওই সার্কুলারে তিনি কল-কারখানা, চা বাগানসহ সব শিল্পসংস্থায় কর্মীদের মাস্ক পরা, কর্মস্থলকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা, প্রয়োজনীয় দূরত্ববিধি সহ যাবতীয় প্রোটোকল নেমে চলার নির্দেশ দেন। মালিকরা তাঁদের সংস্থায় সেসব মানছেন কি না তার উপর নজরদারি চালানোর জন্য জেলার ডেপুটি লেবার কমিশনারের নেতৃত্বে প্রতি জেলায় চার সদস্যের একটি কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। এই কমিটিকে প্রতি শুক্রবার এবিষয়ে অনলাইনে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানসচিব। কোভিড বিধি অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুসারে কড়া পদক্ষেপ করার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানসচিব।
ক্রেতারা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা-কাটা করে, সেজন্য গড়িয়াহাটে মার্কিং করছে পুলিস। -নিজস্ব চিত্র