সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
সব পক্ষের মতামত শুনে মন্ত্রীর সাফ নিদান, সময় নষ্ট না করে চলতি সপ্তাহেই ফের মালিক সংগঠন আইজেএমএ’র প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত পথ বের করতেই হবে। কারণ, এই উদ্যোগের পিছনে দু’টি মূল কারণ রয়েছে। প্রথমত, রাজ্যের চটশিল্পকে যে করে হোক বাঁচাতেই হবে। সিন্থেটিক লবির থাবা থেকে বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে রক্ষা করতে হলে চটকলগুলির উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। আর তা করতে হলে কাঁচাপাটের পাশাপাশি এই শূন্যপদে লোক নিয়োগ করতেই হবে। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ রয়েছে এই শিল্পে। দুই বা তিন ধাপে এই এক লক্ষ শূন্যপদে লোক নিয়োগের জন্য উপযুক্ত বেকারদের সন্ধান করে আনাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিন মালিক সংগঠন তথা আইজেএমএ চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া প্রমুখ বলেন, ২০১৮ সালে শ্রমদপ্তরের তরফে চটকলগুলির কয়েকটি বিশেষ বিভাগে লোকাভাবের সমস্যা দূর করতে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৩১২ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন চটকলে পাঠানো হলেও তার এক-তৃতীয়াংশও শেষপর্যন্ত টিকে থাকেনি। এর মধ্যে অবসর ও অন্যান্য কারণে চটকলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে। তাই এই রোগের দাওয়াই পেতে সর্বাগ্রে দরকার উপযুক্ত লোকের সন্ধান। শিক্ষিত, দুর্বল চেহারার লোক এই কাজের জন্য আদৌ দরকারি নয়। একইসঙ্গে তিনমাসের প্রশিক্ষণ পর্বে থিয়োরির পরিবর্তে পুরোটাই প্র্যাক্টিক্যাল বা হাতে-কলমে কাজ শেখানোর জন্য বরাদ্দ করলে কাজের কাজ হবে। কারণ, মাত্র দু’মাসের প্রশিক্ষণে আধুনিক মেশিন চালানো রপ্ত করা সম্ভব হয় না কিছুতেই। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ভাতা বৃদ্ধি, নতুন কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়েও সরকারি স্তরে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।