কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক মন্দা চরমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সবার আগে শিল্প-বাণিজ্য সেক্টরকে চাঙ্গা করাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় গুগলের মতো একটি বহুজাতিক সংস্থার বিপুল অর্থলগ্নির সিদ্ধান্ত অবশ্যই দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছেও ইতিবাচক। এর ফলে একটা ‘ইনভেস্ট ফ্রেন্ডলি’ বার্তা পৌঁছবে বলেই মনে করছে ভারতের বণিকসভা ও শিল্পমহল। এর আগে সম্প্রতি ফেসবুক এবং আমাজন সংস্থা জিও এবং এয়ারটেল সংস্থায় লগ্নি করেছে। জিও বস্তুত বিগত একমাসের মধ্যে বিশ্বের চারটি বহুজাতিকের থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লগ্নি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে জিও প্ল্যাটফর্ম। যা ইতিমধ্যেই ফেসবুকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনলাইন বাণিজ্যে প্রবেশ করেছে। পাল্টা প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে আমাজনও। এরই মধ্যে গুগলের ৭৫ হাজার কোটি টাকার লগ্নিতে আশা করা হচ্ছে, এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলির তুলনায় অর্থনীতির মন্দা আরও দ্রুত কাটাতে পারবে ভারত। ধীরে ধীরে ফিরতে পারবে স্বাভাবিকতার পথে। গুগল বিবৃতিতে বলেছে, এই লগ্নির মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, আমরা ভারতের ভবিষ্যৎ এবং ডিজিটাল অর্থনীতির উপর কতটা আশাবাদী। চারটি সেক্টরে এই লগ্নি করা হবে। যোগাযোগ, নতুন পণ্য ও পরিষেবা, ডিজিটাল পরিবর্তন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। কৃষি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম। আজ থেকে কয়েক বছর আগে ভারতের মোট বাণিজ্যশক্তির সামান্য কিছু অংশ ছিল অনলাইন। আর এখন ২ কোটি ৬ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাণিজ্য অনলাইনে যুক্ত। গুগলের সিইও জানিয়েছেন,আমরা শুধুই যে ভারতকে এই ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছি তা নয়। আমাদের লক্ষ্য, ভারতই নেতৃত্ব দিক আগামীদিনের তথ্য-প্রযুক্তি বাণিজ্যে।
সোমবার সকালে টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গুগল কর্তা সুন্দর পিচাই দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। মোদি ওই টেলি-বৈঠকের পর জানান, গুগল কর্তার সঙ্গে শিল্প, অর্থনীতি, সমাজ, কর্মসংস্থান, ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদির এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই গুগল আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। আনলক টু পর্ব শুরু হওয়ার পর এরকমই একটি সুসংবাদ পাওয়ার মরিয়া অপেক্ষায় ছিল মোদি সরকার। তাই গুগলের ৭৫ হাজার কোটি টাকার লগ্নির ঘোষণার পর দিনভর সরকারের সিংহভাগ মন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম আভাস হিসেবে তকমা দিতে শুরু করেছেন। তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া এখন গোটা বিশ্বের কাছে আগ্রহের ভরকেন্দ্র, এটাই প্রমাণ হল। গুগলের এই লগ্নির জেরে আগামী দিনে কর্মসংস্থানের বড় দরজা খুলে যাবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। তবে অর্থনীতির অন্ধকারের মধ্যে এই বিনিয়োগের আশ্বাস যে ভারত সরকারের কাছে রীতিমতো অক্সিজেনের কাজ করবে, সে ব্যাপারে সংশয় নেই।