অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এই মুহূর্তে দু’টি তেজস এক্সপ্রেসেরই দায়িত্ব রয়েছে আইআরসিটিসির হাতে। তার মধ্যে একটি ইতিমধ্যেই দিল্লি-লখনউ রুটে চলছে। অন্যটি আগামী জানুয়ারি মাসে আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করতে পারে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত দুই তেজস এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেই বাড়িতে চুরি হলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে তা অবশ্যই প্রমাণসাপেক্ষে। কীরকম? আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেন, ‘এক লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য অনেকেই মিথ্যাচারিতা করতে পারেন। ট্রেনে সফরের সময় কারও তালাবন্ধ বাড়িতে যদি চুরি হয়, তাহলে ওই যাত্রীকে প্রথমে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করতে হবে। সেই এফআইআরের কপি জমা দিতে হবে আইআরসিটিসির কাছে। এরপর পুলিশি তদন্তে যদি সংশ্লিষ্ট যাত্রীর অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে যাবতীয় কাগজপত্র হাতে দিলে আমরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেব। এরকম উদ্যোগ এর আগে কখনও নেওয়া হয়নি।’ তবে আরও কিছু শর্ত রয়েছে। আইআরসিটিসি স্পষ্ট জানিয়েছে, এক্ষেত্রে যাত্রীকে ট্রেনে সপরিবার সফর করতেই হবে। আবার, কেউ ট্রেনের টিকিট কাটলেন। কিন্তু কোনও কারণে ট্রেনটি ধরতে পারলেন না। তারপর বাড়ি তালাবন্ধ করে অন্যত্র বেড়াতে গেলেন। সেইসময় যদি তাঁর বাড়িতে চুরি বা ডাকাতির মতো কোনও ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে কোনওমতেই তিনি আইআরসিটিসির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন না। যাত্রীকে ওই ট্রেনে সফর করতেই হবে।
প্রশ্ন উঠছে, বিদেশ থেকে কেউ ভারতে বেড়াতে এসে যদি আইআরসিটিসির ট্রেনে সফর করেন, এবং সেইসময় তাঁর বিদেশের বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি হয়, সেক্ষেত্রেও কি প্রমাণসাপেক্ষে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেবে আইআরসিটিসি? এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট করে প্রবাসীর বিষয়টি উল্লেখ করা না হলেও আইআরসিটিসির দাবি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনে সফররত যে কোনও যাত্রীই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। ইতিমধ্যেই আইআরসিটিসি তেজসের যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে ২৫ লক্ষ টাকা করে বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনে সফররত অবস্থায় বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি হলে ক্ষতিপূরণের এক লক্ষ টাকাকে এরই আওতায় রাখা হয়েছে বলে আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং জানিয়েছেন।