যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বিক্রিবাটার কী হাল এদেশে? ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেব বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতে মোট সোনা বিক্রি হয়েছে ১৫৯ টন। আগের বছরের ওই একই সময়ের নিরিখে বিক্রি বৃদ্ধির হার মাত্র পাঁচ শতাংশ। ১৫৯ টন সোনার দাম ৪৭ হাজার ১০ কোটি টাকা। দামের নিরিখে সেই বৃদ্ধির হার মার্কিন ডলারের হিসেবে তিন শতাংশ। ভারতীয় মুদ্রায় বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ। মোট সোনা বিক্রির মধ্যে শুধুমাত্র গয়না বিক্রি হয়েছে ১২৫.৪ টন। তার দাম ৩৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা। গয়না বিক্রির নিরিখে আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশ।
তবে পাঁচ শতাংশ সোনার চাহিদা বৃদ্ধিকে মোটেই হেলাফেলা করছে না গোল্ড কাউন্সিল। এখানকার ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআর বলেন, সার্বিকভাবে সোনার যেটুকু চাহিদা বেড়েছে, তা ডলারের নিরিখে টাকার দাম বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক বাজারগুলিতে সোনার দাম কম থাকার জন্য। তাছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত যে ক’টি বিয়ের তারিখ বা লগনসা ছিল, তা গত বছরের ওই সময়ের নিরেখে অন্তত তিন গুণ। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান বেড়েছে। তাতে সোনার চাহিদা বেড়েছে।
কাল, মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়া। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনার চাহিদা বৃদ্ধিতে তা সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। তাদের বক্তব্য, এই উৎসবে সাধারণ মানুষ সোনা কেনেন। তাই বিক্রি বাড়বে। এবার কৃষকরাও ফসলের দাম ভালো পেয়েছেন। তার প্রভাব পড়বে সোনার বাজারে। পাশাপাশি এবার যদি বর্ষা ভালো হয়, তাহলেও কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। গ্রামীণ বাজার চাঙ্গা হলে সোনার বিক্রি বাড়তে বাধ্য, মনে করছে কাউন্সিল।
গোটা বিশ্বেই যে সোনার চাহিদা ভারতের মতোই, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে কাউন্সিল। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট চাহিদা ছিল ১ হাজার ৫৩ টন। তার আগের বছরের ওই সময়ের নিরিখে সেই হার সাত শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ বিনিয়োগের জন্য যে সোনা কিনেছেন, তার বৃদ্ধির হার মাত্র তিন শতাংশ। গয়নার চাহিদা বৃদ্ধির হার আরও কম, এক শতাংশ। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যে সোনা কিনেছে, সেটাই পুষিয়ে দিয়েছে বৃদ্ধি। তবে চীন এবং জাপান সোনা কেনায় পিছিয়ে আসায় বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে, জানিয়েছে গোল্ড কাউন্সিল।