সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
ম্যান ইউ- ০ : অ্যাস্টন ভিলা- ১
লন্ডন: গত মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। শনিবার স্টামফোর্ড ব্রিজে প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে ১-০ গোলে হারাল পেপ গুয়ার্দিওলার ছেলেরা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে একমাত্র গোলটি গ্যাব্রিয়েল হেসাসের। টানা তিন ম্যাচে হারের পর অবশেষে জার্মান কোচ টমাস টুচেলের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখলেন পেপ। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ম্যান সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে সমসংখ্যক পয়েন্টে লিগ শীর্ষে লিভারপুল। আর ঘরের মাঠে হারের ফলে তৃতীয় স্থানে চেলসি।
লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে শনিবার মাঠে নেমেছিল চেলসি। তবে চোটের জেরে এই ম্যাচে বেশ কয়েকজনকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছিল কোচ টমাস টুচেলকে। ম্যাচের শুরু থেকেই পাসিং ফুটবলে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন ডি ব্রুইন-হেসাসরা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছেও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে এদিয়ে দেন হেসাস। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় তাঁর শট জটলার মধ্যে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায় (১-০)। এরপর চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতায় ফিরতে পারেনি চেলসি। এদিন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোচের পদে নজির গড়লেন পেপ। তাঁর অধীনে ২২১টি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল নীল ম্যাঞ্চেস্টার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সিটির ইতিহাসে কোচ হিসেবে সর্বাধিক ম্যাচ জেতাটা অবশ্যই গর্বের। তবে থেকে মজার বিষয় হল, এতে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সবই ফুটবলারদের প্রাপ্য। আর স্টামফোর্ড ব্রিজে জয় পাওয়াটা সবসময় স্পেশাল।’ উল্লেখ্য, চেলসি কোচ হিসেবে ঘরের মাঠে এটা ছিল টুচেলের চতুর্থ হার।
দিনের অপর এক ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ০-১ গোলে হার মানল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে কোর্টনে হাউসের গোলে এগিয়ে যায় ডিন স্মিথের দল। তবে সংযোজিত সময়ে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডোরা। যদিও স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। লিগ কাপ থেকে বিদায়ের পর এবার প্রিমিয়ার লিগে হারের মুখ দেখল সোলকজার-ব্রিগেড। শনিবার পুরো ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন রোনাল্ডো। এদিকে, ব্রেন্টফোর্ডের কাছে আটকে গেল লিভারপুল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-৩ ড্র করেছে ক্লপের দল। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন জোতা, সালাহ ও জোনেস।