কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিরাটকে বলেছি এবারও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফিরতে হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি বিসিসিআই সভাপতি থাকব কি না জানি না। তবে এটা হলপ করে বলতে পারি, আরও বেশ কয়েক বছর ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবে কোহলিই। এটা এক মাইলস্টোন সিরিজ হতে যাচ্ছে। ‘চিফ’-এর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ওকে আমি ‘চিফ’ বলেই ডাকি। বিরাটকে বলেছি, তোমাকে ফিট থাকতে হবে। ছ’মাস ক্রিকেটের মধ্যে নেই তুমি। তোমার বোলিং ইউনিটকেও ম্যাচ ফিট করে তুলতে হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রাখার আগেই।’
২০১৮ সালে কোহলির নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এবারের লড়াই নানা দিক থেকে বেশ কঠিন। নির্বাসনের কারণে গত সিরিজে খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার। এবার পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে ক্যাঙ্গারু বাহিনী। তবুও কোহলি বাহিনীকে নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর কথায়, ‘লড়াই এবার কঠিন হবে সেটা সবাই জানে। তবে ভারতীয় দল তার মোকাবিলা করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমি আমাদের ক্যাপ্টেনকে বলেছি, তুমি হলে বিরাট কোহলি। তোমাকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা। দল নিয়ে যখন তুমি মাঠে নাম তখন সবার মতো আমিও টিভি’তে চোখ রাখি। এটা বিশ্বাস করি, তুমি শুধু ভালো খেলার জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছ না, জিততে যাচ্ছ। তোমার নেতৃত্বে বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় দলের যথেষ্ট গুরুত্ব ও সম্মান বেড়েছে। সেখান থেকে আর নীচে নামলে চলবে না। আশা করব, এবারও তুমি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে চারটি টেস্ট খেলবে ভারত। ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে পা রাখার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কোহলিদের। যা নিয়ে কিছুটা আপত্তি রয়েছে বিসিসিআই সভাপতির। সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ডিসেম্বরে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের ব্যাপারে বিসিসিআই সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে। তবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই পর্বটা কমানোর জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করব। আমরা চাই না, ভারতীয় ক্রিকেটাররা এতদিন টিম হোটেলে ‘বন্দি’ থাকুক। সেটা খুবই অস্বস্তিকর হবে। অবাস্তবও বটে। আমি যতটুকু জানি, করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের তুলনায় নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে। একমাত্র মেলবোর্নে নতুন করে কিছু সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই কোয়ারেন্টাইনের সময় কমিয়ে দ্রুত ক্রিকেট চালু করার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।’
আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে অনেকেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে দেখতে চাইছেন। তবে বিসিসিআই সভাপতি এখনও মনস্থির করে উঠতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। আইসিসি’র পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। চেয়ারম্যান হলে আমি আর কোনও পদে থাকতে পারব না। তবে এই মুহূর্তে বিসিসিআই ছেড়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না আমার জানা নেই। বিসিসিআইয়ের বাকি সদস্যদের উপর সব কিছু নির্ভর করছে। আমার বয়স কম। কোনও তাড়াহুড়ো নেই। কী হয় দেখা যাক।’