নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাঁকুড়ার একাধিক বিধানসভা এলাকা হাতি প্রবণ বলে চিহ্নিত। বিভিন্ন গ্রাম রয়েছে জঙ্গল লাগোয়া। তাছাড়া হাতি অনেক সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তারফলে বেশিরভাগ সময় জমির ফসল নষ্ট হয়। এছাড়া ঘর-বাড়ি ভাঙার নজিরও রয়েছে। তবে নির্বাচনের সময় জেলায় হাতির হানায় সেভাবে কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বন দপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে রাখে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে হাতির হানায় কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এবারও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এব্যাপারে কোনও বৈঠক হয়নি।
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, যেসব এলাকায় হাতি থাকবে। সেখানে হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা টিম তৈরি করছি। তাছাড়া দিনের বেলায় হাতি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে কোনও সমস্য্যা হয়না। রাতের দিকে হাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ও বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার পাঞ্চেত ডিভিশন ও উত্তর বন বিভাগ এলাকার বিস্তির্ণ অংশের জঙ্গলে সাধারণত হাতিগুলি থাকে। বিভিন্ন সময় একাধিক হাতির দল বিষ্ণুপুর হয়ে ঢুকে জেলার অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। বন দপ্তর সূত্রে খবর, বর্তমানে বড়জোড়া রেঞ্জের সাহারজোড়া মৌজায় একটি হাতি রয়েছে। বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের বারমেসিয়ায় একটি, সামন্তমারাতে একটি করে হাতি রয়েছে। এছাড়া সোনামুখী রেঞ্জের রাজদহ মৌজায় ৬২-৬৫টি হাতির দল রয়েছে। বন দপ্তর সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য প্রচার করছে।
বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন সময় হাতির অবস্থান পরিবর্তন হতে থাকে। জেলায় বর্তমানে বেশ কিছু রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। কিছু দলছুট হাতি বিভিন্ন সময়ে জঙ্গলে ঢোকে। সেগুলি কখনও লোকালয়েও ঢুকে পড়ে। বন দপ্তর ও হুলা পার্টির তাড়া খেয়ে পরে তাকে জঙ্গলে ফেরানো হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় হাতিগুলিকে বিভিন্ন এলাকার জঙ্গলে পাঠাতে বিশেষ ড্রাইভও দেওয়া হয়।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গল লাগোয়া অংশে প্রায় ৮০ কিমি ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া রয়েছে। তারসঙ্গে খালও কাটা হয়েছে। হাতিগুলিতে সেইসব জঙ্গলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ভোটের সময় বন সুরক্ষা কমিটিকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে। তারসঙ্গে তাদের কাছে অতিরিক্ত তেল, মশাল দেওয়া হবে। কর্মীদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। এছাড়া টহলদারি ভ্যান রাখা হয়। ভোটের আগে, পরে বিভিন্ন সময় তারা এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। সারা বছরই এরকমভাবে হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি করা হয়।