নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
বহরমপুর শহরেই তৈরি হতে চলেছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষ্ণনাথ কলেজের তৃণমূল নেতা ইমাম শেখ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই অবদান জেলার বাসিন্দারা ভুলতে পারবেন না। আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি শহরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নপূরণ করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর কল্যাণীতে যেতে হবে না। অনেকে যাতায়াত করতে না পেরে মাঝপথেই পড়া ছেড়ে দিত। কিন্তু নিজের জেলায় পড়ার সুযোগ পেলে আর কারও তেমন সমস্যা হবে না।
তৃণমূল নেতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রচারের দরকার হচ্ছে না। জেলার বাসিন্দারা বিষয়টি জানার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে বাহবা দিচ্ছেন। বহরমপুর শহরে মেডিক্যাল কলেজ, একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দরকার ছিল। সেটাও পূরণ হয়েছে। বহরমপুরের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রয়েছেন। তাই এবার আমাদের ফল ভালো হবে। কংগ্রেস নেতা কার্তিক সাহা বলেন, তৃণমূলের জন্মের আগে থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি জানিয়েছি। সেটা এখন হচ্ছে। কংগ্রেসের জন্যই জেলায় সেনা ছাউনি সহ আরও একাধিক কাজ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্র বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। লোকসভা নির্বাচনে এই শহরের বাসিন্দাদের ভোটেই কংগ্রেস জয়ী হয়। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে। বিজেপি তাদের ঘর গোছাতে সক্ষম হয়েছে। তারা লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে। টক্কর দিয়ে দেওয়াল লিখনও শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলও লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে শক্তি বাড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনে অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মতো এখানেও শাসকদলের ট্রাম্পকার্ড উন্নয়ন। তাদের দাবি, শিক্ষার পাশাপাশি তাদের আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও এগিয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য অনেকেরই বাইরে যাওয়ার দরকার হচ্ছে না। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আলাদা ইউনিট তৈরি হচ্ছে। সেখানেও বিনামূল্যেই চিকিৎসা হওয়ার কথা রয়েছে। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকেও বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এ সবকিছুই তৃণমূলের প্রচারে উঠে আসছে। শহরের বাসিন্দারা বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি আগেই হয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে শিক্ষাক্ষেত্রকেও সরকার এগিয়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও আগে তৈরি হওয়া দরকার ছিল।