নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, এডিবি-র আর্থিক সহযোগিতায় নন্দীগ্রাম-১ ও ২, চণ্ডীপুর এবং নন্দকুমার ব্লকে প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে একটি মেগা স্কিম গ্রহণ করা হয়। শুরুতে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লক নিয়েই ওই স্কিমের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেজন্য বরাদ্দ হয় ৮১১ কোটি টাকা। তারপর অবশ্য প্রকল্পের মধ্যে চণ্ডীপুর এবং নন্দকুমার ব্লককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৮১১ কোটি টাকার স্কিম এই মুহূর্তে বেড়ে ১০৫০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি চণ্ডীপুর এবং নন্দকুমার ব্লকের জন্য আলাদা করে ডিপিআর তৈরি করে চারটি ব্লকে পানীয় জলের জন্য ১৯৮৯ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়। ১৯৮৯ কোটির মধ্যে আগেই ৮১১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অতিরিক্ত আরও ১১৭৮কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সরকারিভাবে কাজ শুরু হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। অর্থাৎ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলার চারটি ব্লকের ৭ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষের কাছে(২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী) পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। দু’দফায় ওই কাজের টেন্ডার হয়েছে। তারমধ্যে প্রথমে নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকে পাইপ লাইন পাতা, ওভারহেড রিজার্ভার প্রভৃতি রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে নন্দকুমার থানার মীরপুরে রূপনারায়ণ থেকে জল তোলা, ওই থানার জলপাই মৌজায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো এবং নন্দকুমার থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত পানীয় জল নিয়ে যাওয়ার মেন পাইপ লাইন বসানোর কাজের টেন্ডার হয়েছে। ওই প্রকল্পের জন্য গঠিত ইউনিট সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি ব্লকে বেশ কয়েকটি নতুন ওভারহেড রিজার্ভার নির্মাণ করা হবে। যেমন, নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকে ২৯টি ওভারহেড রিজার্ভার হবে। নন্দকুমার ব্লকে ১৮টি এবং চণ্ডীপুর ব্লকে ২০টি ওভারহেড রিজার্ভার নির্মাণ করা হবে। মাথাপিছু ৭০লিটার করে পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন ওই চারটি ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ। পিআইইউ ইউনিটের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস রায় বলেন, এখন নন্দীগ্রামে দ্রুত কাজ এগচ্ছে। নন্দকুমার ও চণ্ডীপুরে ওই প্রজেক্টের প্রশাসনিক অনুমোদন আসেনি। সেটা পাওয়ার পরই কাজ শুরু হবে।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভার ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি পরিবারে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। এটা নন্দীগ্রামবাসীর বড় পাওনা। এটা ভোটে নিশ্চয়ই ইস্যু হবে। তাছাড়া স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করবেন। এটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা।