নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
আরামবাগে বিজেপি আদি ও নব্য গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিনের। এর আগে একাধিকবার দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে তুলে সমান্তরালভাবে সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আরামবাগে বিজেপির পার্টি অফিসেই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। খানাকুল, পুরশুড়ায় আদি-নব্য গোষ্ঠীর লড়াই হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছিল। প্রবল এই গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব নির্বাচনে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, তৃণমূল, সিপিএম দল থেকে আসা ভুঁইফোড় নেতা ও কর্মীদের দলে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, দলে তাঁদের সাদরে গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে আরামবাগে বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এনিয়ে তাঁরা জে পি নাড্ডা ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু, এনিয়ে কোনও হেলদোল হয়নি। ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের লড়াই থেকে বাঁচতে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতিদের ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরামবাগের সভাপতিকে কেন বদল করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপির একাংশ।
বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা অরবিন্দ সমাজি বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তপন রায় তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারের কাছে মাত্র ১১৪২ ভোটে হেরে যান। আমাদের চেষ্টায় আরামবাগ শহরের ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে লিড পায় বিজেপি। সেই সময় বিজেপির আদি কর্মীরাই মাটি কামড়ে লড়াই করেছিল। কিন্তু, দলবদলুদের প্রাধান্য দিয়ে আজ তপন রায়ের মতো নেতাদের দলে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নানাভাবে গুন্ডা দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে চুপচাপ থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারপরেও দল দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আরামবাগে বিজেপিতে আমরা, ওরা বলে কিছু নেই। যে সমস্যাগুলি ছিল প্রায় সকলের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছি। আর যে দু’একজন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে, তাদের বিজেপি পরিবারের সদস্য বলে মনে করি না। তাদের আমরা ত্যাজ্য করেছি। বিধানসভা ভোটে আরামবাগ মহকুমার সবকটি আসনেই জিতবে বিজেপি।
আরামবাগ শহরে চায়ের দোকান থেকে আড্ডার ঠেকে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ‘খেলা হবে’র কথা। তবে সে খেলা যতটা না তৃণমূল-বিজেপির, তার চেয়ে অনেক বেশি বিজেপির আদি-নব্যর। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটে সেই খেলাতেই ঠিক হবে বিজেপির ভাগ্য।