নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিস কোলাঘাট থেকে আনিসুরকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানায় এনেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে সিজেএম কোর্টে পাঠিয়েছিল পুলিস। বিচারক সেই মামলায় ৫০০টাকার বন্ডে জামিন দেন। আনিসুর রহমানকে মুক্ত করার চেষ্টা মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে আটকে যায়। বুধবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আনিসুরের তরফে বলা হয়েছে, তাঁর বক্তব্য না শুনে আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা স্বাভাবিক সুবিচারের পরিপন্থী। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম এলাকার আরও অন্তত ৪০ জন অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করে এদিনই শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য গত ২৬ফেব্রুয়ারি একটি অর্ডার করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে তমলুকের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাজ্য সরকারের সেই অর্ডার মঞ্জুর করেন। কিন্তু, ওই দিনই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নিহত তৃণমূল নেতার পরিবার। নিম্ন আদালত রাজ্যের মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশকে মান্যতা দিলেও হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের রায় বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তমলুক জেলা হাসপাতালে পুলিস সেলে ভর্তি আনিসুরকে নিয়ে বেরিয়ে যায় তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু তখনও আদালত থেকে প্রয়োজনীয় নথি তমলুক উপ সংশোধনাগারে পৌঁছয়নি। তাই অফিসিয়ালি রিলিজ দেওয়া হয়নি। এদিকে ওই বিকেলেই হাইকোর্ট রাজ্যের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়ে আনিসুরকে ফের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এরপর আনিসুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাঁকে সিজেএম কোর্টে তোলা হয়। তমলুকের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা কোর্টে কুরবান শা খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। বুধবার ওই কোর্ট থেকে আনিসুরকে জেল হেফাজতে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ আসে জেল সুপারের কাছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে আনিসুর বেরিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তমলুক থানার দ্বারস্থ হয়। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় তাঁকে এদিন সিজেএম কোর্টে তোলা হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর ভিড় ছিল।
সরকারি আইনজীবী সফিউল আলি খান বলেন, আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তমলুক থানার পুলিস এদিন সিজেএম কোর্টে পাঠিয়েছিল। বিচারক সেই মামলায় জামিন দিয়েছেন। কুরবান শা খুনের মামলায় অবশ্য তাঁকে সংশোধনাগারে যেতে হয়েছে।
এর পাশাপাশি ২০০৯ সালের বেআইনি জমায়েত, অপহরণ ও খুনের ঘটনার জেরে নন্দীগ্রাম এলাকার প্রায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে যে ১৩টি মামলা হয়েছিল, সেগুলি সম্প্রতি তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কাঁথি আদালতে ছ’টি ও হলদিয়ায় বাকি সাতটি মামলা চলছিল। মামলাকারীর অভিযোগ, চার্জ ফ্রেম হওয়ার আগে একবার মামলাগুলি তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তা ব্যর্থ হওয়ার পর ১০ ফেব্রুয়ারি সফল হয়েছে। অথচ, এই মামলাগুলি চালাতে পুলিসকে বিপুল পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণের ডিভিশন বেঞ্চে উল্লেখ করা হলে তিনি জানান, যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করাও জঘন্য অপরাধ।