নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
বিজেপির তমলুক জেলা মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী কবিতা বেরা বলেন, তাপসী মণ্ডলকে আমরা দলে স্বাগত জানিয়েছি। তবে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ কর্মী হিসেবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া উচিত ছিল। এখন দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিশে তাঁকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৯১সাল থেকে হলদিয়ায় বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করছি। আমার মতো অনেকেই সিপিএম তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছে, পরিবারের লোক বিজেপি করার জন্য জেলে গিয়েছেন। এখন দল বদলে কিংবা নতুন কেউ প্রার্থী হতে চাইলে পুরনো নেতা-কর্মীরা মানবে কেন? পুরনোদের মধ্যে জনসংযোগ রয়েছে, সৎ ও পরিশ্রমী কাউকে প্রার্থী করার জন্য আমরা নেতৃত্বকে বলেছি।
দলবদলু ও নব্যদের দাপটে শিল্পশহরে আদি বিজেপি কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। আদি কর্মীরা বলেন, গত সাড়ে ৪বছরে সিপিএম থেকে আসা ওই বিধায়ককে এলাকার মানুষ দেখতে পাননি। দলবদলু বিধায়ক নিজের ওজন বাড়াতে বাড়িতে বোমাবাজির ‘নাটক’ ফেঁদে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আদায় করেছেন। অথচ সাধারণ কর্মীরা রাজ্যের শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে, রোজ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও নিরাপত্তা পাচ্ছে না। ভোটের আগে তৃণমূলের এক দলবদলুর অনুগামীদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ওই অনুগামীদের একাংশ শহরে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।
২০১৬ সালে হলদিয়ায় বিজেপির প্রার্থী প্রদীপ বিজলি বলেন, লকডাউন থেকে উম-পুন, সবসময়েই আমরা বিধানসভা এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। লাগাতার জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আদিদের মধ্যে থেকেই প্রার্থী হোক, সেটা আমরা চাই।
তাপসীদেবী বলেন, আমরা বিজেপির উন্নয়নের কাজে যুক্ত হতেই নতুন দলে এসেছি। হলদিয়ায় বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করবে দলীয় নেতৃত্ব। এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।