সংবাদদাতা, রামপুরহাট: তৃণমূল নেতার ২০বিঘা জমির খড় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটে। এর জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন ওই নেতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তৃণমূলের রামপুরহাট শহরের কার্যকরী সভাপতি সৌমেন ভকত পুরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী ভকত পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য। তাঁদের বাড়ি লাগোয়া খামার বাড়িতে ২০বিঘে জমির খড় মজুত রাখা ছিল। শনিবার রাত দু’টো নাগাদ কে বা কারা সেই মজুত খড়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সৌমেনবাবু বলেন, এক প্রতিবেশীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে বেরিয়ে এসে দেখি পুরো খড়ের পালুই দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বাড়ির সবাইকে ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলি। প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। পাশাপাশি লাগোয়া পুকুরের জলের সঙ্গে পাম্প যুক্ত করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান প্রতিবেশীরা। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে সব খড় পুড়ে যায়। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস।
সৌমেনবাবু বলেন, কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা দেখিনি। তবে আগুন যে লাগানো হয়েছে সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ, খোলা আকাশের নীচে যেখানে খড় মজুত ছিল সেখানে কোনও ইলেকট্রিক তার নেই যে শর্ট সার্কিট হবে। কিংবা অত রাতে কাজের লোকও থাকে না যে তাঁদের বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকে এই কাণ্ড ঘটবে। পুলিসকে বলেছি কে বা কারা ঘটনার পিছনে আছে তা খুঁজে বের করা হোক। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই শহরের শ্রীফলায় এক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া দিন সাতেক আগে ১৬নম্বর ওয়ার্ডের এক কলেজ পডুয়া ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। স্বভাবতই শহরে বেড়ে চলা দুষ্কৃতী তাণ্ডবে রাশ টানতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।