নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
আর কয়েকদিনের মধ্যে ভোটদান পর্ব শুরু হবে। রাজ্যের সব জেলায় ভোটের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। করোনা আবহে জেলার ভোটারদের সচেতনতা নিশ্চিত করতে তৎপর নদীয়া জেলা প্রশাসনও। আর তাই ফের আসরে নামতে হল গোপাল ভাঁড়কে। গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের সময় গোপাল ভাঁড়কে ম্যাসকট করে জেলাজুড়ে প্রচার চালিয়েছিল প্রশাসন। আর এবার বিধানসভা ভোটেও তাকে ময়দানে নামিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। গোপাল ভাঁড়ের জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসক ও নির্বাচনী আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার কারণেই গোপাল ভাঁড়কে এবারও নির্বাচনী ম্যাসকট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে গোপাল ভাঁড়ের আদলে বদল আনা হয়েছে। গতবারের মতো হাতে ভোটার কার্ডের পরিবর্তে স্যানিটাইজার ও মুখে মাস্ক লাগানো হয়েছে। তবে হাসিমুখেই সকলকে ভোট দিতে যেতে হবে, মাস্কের আড়ালে মুচকি হেসে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত, প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা থাকছে। তাঁরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে না গিয়েও বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পোলিং অফিসাররা পোস্টাল ব্যালট অর্থাৎ ১২ডি ফর্ম নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন। পাশাপাশি নদীয়া জেলায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এবছর ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা রদবদল হয়েছে। আগে এক একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫০০জন ভোটার নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু এবছর সেই চাপ এড়াতে জেলায় প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০৫০ ভোটার নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এর জন্য প্রায় ১৪০০টি অতিরিক্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। জেলার ওসি ইলেকশন গোবিন্দ হালদার বলেন, করোনা আবহে ভোট হচ্ছে, এটা সকলকে মাথায় রাখতে হবে। নতুন ভোটার থেকে প্রবীণ ভোটার সকলকে সচেতন করতেই গোপালের মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বুথে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্যানিটাইজার গ্লাভস নিয়ে হাজির থাকবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে স্যানিটাইজার ও গ্লাভস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন ভোটাররা। সেই গ্লাভস পরে ভোট দিয়ে তা ডাস্টবিনে ফেলে সচেতনভাবে ভোটাররা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন তার জন্যই এত বন্দোবস্ত।
কে গোপাল ভাঁড়? নদীয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কী? এই প্রশ্ন আপাতভাবে অর্থহীন। তবু স্মৃতি রোমন্থন করাই যায়। নদীয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় রাজত্ব করছেন। তাঁর রাজসভার বিদূষক ছিলেন গোপাল ভাঁড়। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় তিনশো বছর।