নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
২০১১-১২ আর্থিক বর্ষে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ‘কান্দি মাষ্টার প্ল্যান’-এর জন্য প্রায় ৪৩৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর ২০১৫ সালের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্পে কুয়ে, ময়ূরাক্ষী, বেলে, বাবলা ও দ্বারকা নদীর প্রায় ২২৩ কিলোমিটার বাঁধ উঁচু ও চওড়া করা হয়। বাঁধের প্রায় ৩৯ কিলোমিটার বোল্ডার দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা ও সেচের জল সরবরাহের জন্য ৮৭টি পুরনো স্লুইস গেট সংস্কার ও কিছু নতুন স্লুইসগেট বসানো হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রকল্পের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিধানসভা ভোট ঘোষণা হতেই স্থানীয় কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় দলই ‘কান্দি মাস্টার প্ল্যান’ বাস্তবায়িত করার কৃতিত্ব দাবি করেছে। দুটি দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মিটিং মিছিল থেকে পথসভার বক্তব্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প উঠে আসছে। কংগ্রেসের বক্তারা মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অধীর চৌধুরীর লড়াইয়ের কথা তুলে ধরছেন। কংগ্রেসের কান্দি মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান বলেন, ‘কান্দি মাস্টার প্ল্যান’ বাস্তবায়িত করতে অধীরবাবু পদযাত্রা, রাজভবন ঘেরাও থেকে শুরু করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন পর্যন্ত হয়েছেন। তবেই দাবি আদায় হয়েছে। তাই বিধানসভা ভোটের আগে এলাকার মানুষের কাছে এনিয়ে ভোট চাওয়ায় কোনও অন্যায় দেখছি না। বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রধান ইস্যু ‘কান্দি মাস্টার প্ল্যান’।
অন্যদিকে এনিয়ে তৃণমূলও ব্যাপক প্রচারে নেমেছে। বড় মিটিং থেকে শুরু করে পাড়া বৈঠকেও উঠে আসছে কান্দি মাস্টার প্ল্যান। এবিষয়ে তৃণমূলের কান্দি ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, কেন্দ্র সরকার ওই প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা এখনও দেয়নি। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চাইছে। তাই কেন্দ্র সরকার বা পূর্বের কংগ্রেস সরকার এই প্রকল্পের জন্য কোনও কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না। একমাত্র রাজ্য সরকারের দৌলতে কান্দির বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প আজ বাস্তবায়িত হওয়ার মুখে। তাই আমরা ওই প্রকল্পকে সামনে রেখেই ভোট প্রচার করে চলেছি।
কান্দি শহর বিজেপি সভানেত্রী বিনীতা রায় বলেন, ওই প্রকল্প মানুষের কোনও লাগছে না। আসলে ভোটের মুখে কংগ্রেস ও তৃণমূল এটাকে নিয়ে ভোট রাজনীতি শুরু করেছে। ওই দুটি দল মানুষের কথা কোনও দিন ভাবে না।