বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এই প্রকল্পে আবেদন করার পর তা খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট দিনে উপভোক্তাদের ডেকে ছবি তোলা হচ্ছে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার পর উপভোক্তার হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সেই সংখ্যাটা গড়ে ছ’হাজার। এতে উপভোক্তারাও খুশি। এর আগে একদিনে গড়ে এত কার্ড তৈরির নজির নেই।
১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এই জেলাতেও দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়। জেলার সব পঞ্চায়েত এবং পুরসভা এলাকায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি এই পরিষেবা পেতে পারেন তারজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচারও করা হচ্ছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী সহ একাধিক প্রকল্পের জন্য সরাসরি আবেদন জানাতে পারবেন। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নেওয়ার জন্য আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। প্রথম থেকে জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় আবেদন খতিয়ে দেখে কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় দুয়ারে সরকারে মোট ১০ লক্ষ ২৭ হাজার ২১৯টি আবেদন জমা পড়েছে। একদিনে জেলায় ১৪হাজার ৪৮৪টি পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা পড়ার নজির রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য যে সব আবেদন জমা পড়েছে তারমধ্যে স্বাস্থ্যসাথীই বেশি। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেতে ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৭৭৩টি আবেদন জমা পড়েছে। একদিনে আবেদনের নিরিখে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই এগিয়ে রয়েছে। একদিনে জেলায় এই প্রকল্পের জন্য ৫হাজার ৯১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৩১ জনকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। আগে এই প্রকল্পের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্প করে আবেদন জমা নেওয়া হতো। আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে কার্ড পাওয়া যেত না। কারণ, এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ছিল। সেই নিয়ম মেনে আবেদন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হতো।
এখন মুখ্যমন্ত্রী সকলের জন্যই এই প্রকল্পের সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন। চিকিৎসার জন্য কোনও নার্সিংহোম এই কার্ডে সুবিধা না দিলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষ বুকে বল পেয়েছেন। তাই, এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার আশায় মানুষজন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে লাইন দিয়ে আবেদন জানাচ্ছেন।