বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এই গ্রন্থাগারের সবুজ গালিচার দু’ধারে থাকা দেওয়াল (যার দৈর্ঘ প্রায় ৪০০ মিটার) এখন চিত্রশিল্পীদের দখলে। দিনরাত এক করে সেখানে চলছে নেতাজির জীবনের স্মরণীয় ঘটনাগুলিকে রং-তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার কাজ। দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের দু’শোর বেশি শিল্পীকে এই কাজ করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে এই শিল্পকলার কাজ চলছে। এমন অভিনব চিত্র প্রদর্শনী এর আগে কখনও হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্তারা। নেতাজি স্মরণে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে যেমন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে নেতাজির জীবন, অন্যদিকে দেওয়ালে ছবি এঁকে তাঁর নানা স্মরণীয় মুহূর্তকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেল, দেওয়ালে ছোট সুভাষ থেকে নেতাজি হয়ে ওঠার গল্পকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঘোড়ায় সওয়ার নেতাজি, এমন ছবিও আঁকা হয়েছে সেখানে। আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে তাঁর ছবি, যা ইতিহাসের বইয়ের পাতায় আমরা দেখতে পাই, তাও জায়গা করে নিয়েছে এখানকার ক্যানভাসে। এর পাশাপাশি জেলবন্দি থাকাকালীন নানা ঘটনাকেও তুলে ধরা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহের ব্যস্ততা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। জাতীয় গ্রন্থাগারের এক পদস্থ কর্তা বলেন, নেতাজি সংক্রান্ত নানা ঘটনাকে ছবির মাধ্যমে এখানে তুলে ধরা হচ্ছে। পুরোটাই সংস্কৃতি মন্ত্রকের নির্দেশে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রদর্শনীর সূচনা করবেন, এমনটাই কথা হয়েছে। সাধারণ মানুষ তারপর থেকে এই অভিনব প্রদর্শনী দেখতে পারবে।