Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

‘দলবদলু’ শব্দটা বাংলায় খুব একটা প্রচলিত ছিল না। বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো ভিন রাজ্যের দল ভাঙানো খেলায় বঙ্গবাসী বরং বিরক্ত বোধ করতেন। মশকরা করতেন। একটা গরিমা ছিল—‘যাই হোক বাপু বাংলায় এইসব হয় না।’ বাংলার সেই গরিমাটাও ভেঙে গেল। রাজনীতির দল ভাঙানো বা দলবদলের খেলা এ বাংলায় এখন এতই প্রবল যে ময়দানের ফুটবলের সেই পুরনো দিনের দলবদলও হার মেনে যায়। রাজনীতির এই সুবিধাবাদীদের রাজনৈতিক অবস্থান সবসময় রহস্যে মোড়া। কে কখন কোথায় তা বোঝা ভার। আজ এ দলে, তো কাল অন্য দলে। আজ এক কথা বলছেন, তো কাল অন্য দলে গিয়ে ঠিক তার উল্টো কথা। রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দুই শাসকদলেরই একই অবস্থা। তাদের পারস্পরিক দ্বৈরথে রাজনীতির যুক্তি, আদর্শ কিংবা নৈতিকতাবোধ আজ বিপন্ন। ব্যক্তি স্বার্থে দলবদল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলবদল। নীতি আদর্শহীন দলবদল। জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কহীন। রাজনীতি মানুষের—এই সাধারণ ধারণাটাই কার্যত বাতিল দুই শাসকদলের পারস্পরিক দ্বৈরথে।
দলবদল—রাজ্য রাজনীতির গত দশ বছরের নতুন সংযোজন ২০১১ সালে বাংলায় রাজ্যপাটের পালাবদল ঘটেছে। বামবিরোধী শক্তি সমূহের সমাহার তখন। সিঙ্গুরসহ নানান আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তখন অতি ডান, অতি বাম অনেকেই। বিজেপি নেতাদের প্রত্যক্ষ সাহচর্য নিয়েই পূর্ববতী—বস্তুত একটা মহাজোট। রামধনু জোট। ভোটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি হল তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের জোট সরকার। তৃণমূল তখন কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের শরিক। এক বছর পার হতে না হতেই কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সরে আসল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকার থেকে সরে গেল জাতীয় কংগ্রেস। দল ভাঙানো শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দফাতেই সতেরো জন কংগ্রেস এবং ছয়জন বাম বিধায়ক। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হল না কারও বিরুদ্ধে। যে কংগ্রেসকে সঙ্গে করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসল, সেই কংগ্রেস দলটাকেই ভাঙাবার প্রবল প্রচেষ্টা চলল। উপনির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেও কংগ্রেসের দু’জন দলত্যাগীকে মন্ত্রী পদে বহাল রাখল। চূড়ান্ত অনৈতিকতা। শুধু বিধায়ক না। পঞ্চায়েত, পুরসভা, জেলা পরিষদ, ক্লাব সব কিছুই দখল। নির্লজ্জ দখলদারি। একজনও তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য নেই এমন পঞ্চায়েত, পুরসভাও দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য জুড়েই একই রকমভাবে দলত্যাগ, দল ভাঙানো। জবরদস্তি, লোক দেখানো, প্রশাসনিক চাপ, মিথ্যা মামলা সবই চলতে থাকল। তৃণমূল কংগ্রেসের দপ্তরে রোজই উৎসব চলছে! মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় দলত্যাগের হিড়িক। ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভেসে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরার মহা সমারোহ। পতাকা না ধরলেই মিথ্যা মামলা। ধরলেই সাত খুন মাফ। গত দশ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এ এক নতুন অপসংস্কৃতির আমদানি যা অতীতে বঙ্গবাসী দেখেনি কখনও।
বিরোধী শূন্য রাজনীতিরই এ এক অপচেষ্টা দলত্যাগ কিংবা দল ভেঙে দল গঠনের পরম্পরা সাধারণভাবে আমাদের দেশে খুব একটা ছিল না। ১৯৬৭-তে একসঙ্গে দেশের অনেকগুলি রাজ্যে অকংগ্রেসি সরকার তৈরি হওয়ার পর এ ধরনের ঘটনা বেশিমাত্রায় চোখে পড়ে। লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ তাঁর প্রকাশিত বইয়ে লিখছেন যে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১-এর মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে দল ভাঙা-গড়ার ১৯৬৯টি ঘটনা ঘটে। সব রাজ্য মিলিয়ে ৩২ বার সরকারের পতন ঘটে। এ রাজ্যেও ১৯৬৭-তে যুক্তফ্রন্টের আমলে প্রফুল্ল ঘোষের নেতৃত্বে আরও ১৭ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে সরকার গঠনের লক্ষ্যে পিডিএফ নামে নতুন মোর্চা গঠন করেন। পরবর্তীতে আবার সেই পিডিএফ থেকে পদত্যাগ করে ৩২ জন বেরিয়ে এসেছিলেন আইএনডিএফ নামে আরও একটি ফ্রন্ট গড়ার জন্য। দল ভেঙে দল গঠন। বাংলাতে ব্যতিক্রম এরকম নজিরও। যদিও উল্লিখিত দলত্যাগ বা দল গঠনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্ত ছিল সরকার ফেলে দেওয়া বা সরকার গঠনের তৎপরতা।
পরিবর্তনের পর এ রাজ্যে যেভাবে দলত্যাগ বা দল ভাঙানোর খেলা চলছে তার সঙ্গে উপরোক্ত ঘটনাগুলির কোনও মিল নেই। প্রথমত, ১৯৮৫ সালে সংবিধানের দশম তফসিলে দলত্যাগ বিরোধী আইন সংযোজিত হয়। উপরোক্ত ঘটনাগুলি তার আগের। দ্বিতীয়ত, গত দশ বছরে এ রাজ্যে যে দলত্যাগ আর দল ভাঙানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে, তার সঙ্গে সরকার ফেলে দেওয়া বা গঠন করার সম্পর্ক নেই। দু’দফায় দল ভাঙিয়ে তৃণমূল ক’জনকে দলে নিয়েছে সে হিসাব রাখাই দায়। কমবেশি ২৩ জন করে ৪৬ জন। সরকার গঠন বা রক্ষার জন্য তো এর দরকার ছিল না। তাহলে কেন? জবরদস্তি। আগ্রাসী মনোভাব। একক বা সীমাহীন ক্ষমতার ঝোঁকে বিরোধীশূন্য রাজনীতিই লক্ষ্য। বিরুদ্ধ মত বা প্রতিবাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করার স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা। পরিবর্তনের দশ বছরে বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া, দশ বছর চুপ করে থাকা কিংবা মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখার নিদান, প্রশাসনিক সভার নামে নির্বাচিত বিরোধী সদস্যদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দলীয় কর্মীদের সভায় প্রশাসনিক কর্তাদের হাজির করানো। দলবাজির চূড়ান্ত এই অনুশীলন স্বৈরতান্ত্রিকতার আস্ফালনেরই ইঙ্গিত দেয়।
কলুষিত হচ্ছে এ রাজ্যের রাজনীতি এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে। তৃণমূলের হয়ে দল ভাঙানোর খেলায় যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরাই এখন একই কাজ করছেন বিজেপি’র হয়ে। তখন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ারে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে জোড়াফুলের পতাকা হাতে যাঁরা ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁরাই এখন উন্নয়নের ভাটার প্রাবল্যে বিজেপি ভবনে গিয়ে পদ্মফুল ফোটাচ্ছেন। দলবদলু তৃণমূলীদের পিছনে রাজ্য পুলিসের প্রহরা। আর দলবদলু বিজেপি’র পিছনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরা। দলবদলের খেলায় মানুষের কষ্টার্জিত করের টাকার এত বড় অপচয় কখনও এ রাজ্যে আগে কল্পনাও করা যেত না। ক্ষমতার তেজ আর দম্ভের পারস্পরিক আস্ফালন।
বিজেপি দল ভাঙানোর খেলায় পারদর্শী। সাম্প্রতিক সময়ে গোয়া, অরুণাচল, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ—একের পর এক রাজ্যে এমএলএ কেনাবেচার মাধ্যমে সরকার তৈরি করেছে। বেআইনি এবং নীতিহীন। এ রাজ্যেও বিজেপি একই কলুষিত রাজনীতি করছে।  সর্বনাশ হয়েছে বাংলার কৃষ্টি, মনন, শ্লাঘা আর আত্মগরিমার। এ দায় কার?
তৃণমূল-বিজেপি। একই ছাঁচ। একই ডিএনএ।
এখন সদ্য বিজেপিতে যুক্ত দলত্যাগী প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী হুংকার ছেড়ে বলছেন—‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ পাল্টা হুংকার দিচ্ছেন ‘ঘুষের টাকায় তোলা নেওয়ার ভিডিওতে কাদের ছবি দেখা যাচ্ছে?’ নেতারা বলছেন—‘দশ বছর দলে থেকে করেকম্মে খেয়ে, এখন বিজেপিতে যাওয়া?’ মানুষ বুঝছে, ভাইপোও ঠিক বলছেন। অধিকারীবাবুও ঠিক বলছেন। আমরা যা বলেছিলাম তৃণমূল সম্পর্কে, দু’পক্ষের পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে, এখন সেই সত্য তথ্যই প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। মোদ্দা কথা প্রতারিত, শোষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। চিটফান্ডে সর্বস্ব খুইয়ে, শিক্ষক অথবা সরকারি চাকরির নিয়োগে কিংবা সরকারি যে কোনও পরিষেবার সুবিধা নিতে ঘুষের রাজত্বে আজ সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিপর্যস্ত অবস্থা তাদের। নীতি, মূল্যবোধ বিবর্জিত ক্ষমতা, অর্থ আর দম্ভের রাজনীতির শিকার বাংলার আপামর জনসাধারণ। কয়লা, গোরু, সোনা কিংবা বালি-পাথর জড়িয়ে পাচার চক্র এখন বিভাজিত। হয় তৃণমূল-তৃণমূলে, নয়তো তৃণমূল-বিজেপিতে। একই ছাঁচ দু’দলের। একই ডিএনএ-তে গড়া এই লুটেরা বাহিনী। সমার্থক। রং আর পতাকা আপাতত আলাদা। কিন্তু মিলে যেতে কতক্ষণ?

বামপন্থার গর্ববোধ
বিলাপ করে কী লাভ? বাংলার সমাজজীবনে স্বচ্ছতা, মূল্যবোধ, নীতি, বিবেচনা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মননটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাম আমলে গড়ে ওঠা নজিরগুলো সারা দেশেরই নজর কেড়েছে। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দলত্যাগ বা দল ভাঙানোর রাজনীতি এ রাজ্যের মানুষ দেখেনি। সারা দেশে যখন ‘আয়ারাম গয়ারাম’-এর চর্চা, তখন পশ্চিমবাংলায় বিরোধীদল পূর্ণ অধিকার নিয়েই একের পর এক পঞ্চায়েত বা পুরসভা চালিয়ে গেছে। সরকারের পূর্ণ মদত এবং সহযোগিতা পেয়েছে। আজকের দিনে এরকম ছবি চেতনারও অতীত। সারা দেশ দেখেছে, বাম আমলে জেলা পরিষদের বিরোধী নেতাকে ‘অধ্যক্ষ’ পদ তৈরি করে প্রশাসনিকভাবেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। মানুষের ভিন্নমত, স্বাধীন রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং বিরোধীদল সমূহের অধিকার এ রাজ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল তো বটেই। সর্ব ভারতীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের পরামর্শক্রমে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন লোকসভার স্পিকার দলত্যাগ বিরোধী আইন এবং তার প্রয়োগের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যের তৎকালীন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে, এ রাজ্যের চাইতে এ বিষয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান কার হতে পারে? সেই মর্যাদা এবং গর্ববোধটাকে রোজই ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে সচেতনভাবে।

তৃণমূলই রাজ্য বিজেপি’র সাপ্লাই লাইন
এতদিন অন্য দল ভেঙে তৃণমূলে যোগদান হচ্ছিল। এখন তৃণমূল ভেঙে বিজেপি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভিন্ন দল ভেঙে তৃণমূল যাকে দলে নিয়েছে, পাঁচ বছর সময় সীমার মধ্যে তারাও দ্বিতীয়বার দল ভেঙে আবার বিজেপিতে যাচ্ছে—এ ঘটনাও বিরল নয়। সম্প্রতি, লোকসভা সদস্য সুনীল মণ্ডল দলত্যাগ করে বিজেপিতে গেছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা। তা বেশ! কিন্তু এ রাজ্যে দল ভেঙে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে গেছেন তাঁদের সদস্যপদ খারিজের প্রশ্নে তৃণমূল নেতৃত্বের অবস্থান কী? চার বছর হয়ে গেল। দরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তথাস্তু। শুধু সময় নষ্ট করা হচ্ছে। বরং তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। কিংবা রাজ্যে যাঁরা তৃণমূল ভেঙে ভিন্ন দলে চলে গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সদস্যপদ খারিজের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস দল থেকে আজও জমা দেওয়া হল না কেন? বস্তুতপক্ষে রাজ্যে বিজেপি’র সাপ্লাই লাইনই তো এখন তৃণমূল।

ফারাক মূল্যবোধেই
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তখন বিরোধী দলের নেতা জ্যোতি বসু। রাজনৈতিক মতপার্থক্য কম ছিল না। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বিধানচন্দ্র রায় গড়ে তুললেন সল্টলেক। তাঁর অবর্তমানে তাঁরই সময়ের বিরোধী নেতা জ্যোতি বসু, সল্টলেককে ‘বিধাননগর’ নামাঙ্কিত করার মধ্য দিয়ে যেমন বিধানচন্দ্র রায়কে যথার্থ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তেমনই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিচয় দিয়েছেন। বামফ্রন্টের সময়কালে কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে গড়ে উঠল নতুন শহর। জ্যোতি বসুর ভাবনায় এবং নেতৃত্বে, কেন্দ্রীয় সরকারসহ সবাইকে যুক্ত করে বিশাল শহর। সল্টলেকের তিনগুণ। আধুনিক এবং সার্বিক পরিকল্পিত একটি নগর। জ্যোতি বসুর প্রয়াণের পর তৎকালীন সরকার নতুন এই শহরকে ‘জ্যোতি বসু নগর’ নামাঙ্কিত করলেন। পরিবর্তনের পর তৃণমূল সরকার তা খারিজ করে দিল। ক্ষমতার জোরে। দম্ভে। এটা লজ্জার এবং দুর্ভাগ্যের। এখান থেকে বাংলার সমাজ জীবনকে বেরতেই হবে। দায়িত্বটা সবার। প্রতিটি সচেতন নাগরিকেরই। আদর্শ, নৈতিকতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলনে বামপন্থার বিকল্প কোথায়? সমসাময়িক ঘটনাবলি সেটাই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে।
লেখক সিপিএমের বিশিষ্ট নেতা। মতামত ব্যক্তিগত।
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। বিশদ

10th  January, 2021
একনজরে
নিজেদের দাবি আদায়ে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। আগামী ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই একপ্রকার নজিরবিহীনভাবে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আয়োজন করা হতে পারে ‘কিষান সংসদ’। ...

৪০টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চারটি লেবার কোডে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিলের আগেই সারা দেশে কার্যকর করা হতে পারে সেই চার লেবার কোড। এমনটাই খবর শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত ডোরার। জেনারেল বেড থেকে তাঁকে আইসিইউ’তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।   ...

সামনেই নেতাজি জয়ন্তী ও সাধারণতন্ত্র দিবস। হাতে সময় কম, বড়বাজারে জমে উঠেছে জাতীয় পতাকার বিক্রি। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, করোনা আবহ এখন অনেকটাই কেটে গিয়েছে, তাই আমাদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

 বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৫০- ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের মৃত্যু
১৯৬৮- চারটি হাইড্রোজেন বোমা সহ গ্রিনল্যান্ডে ভেঙে পড়ল আমেরিকার বি-৫২ যুদ্ধবিমান
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম 
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৯ টাকা ৭৪.০০ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৩ টাকা ১০১.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী ২৩/২০ দিবা ৩/৫১। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৩/৪ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী দিবা ৩/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২৮ মধ্যে।
৭ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এ আজ মোহন বাগান ১ : ০ গোলে হারাল চেন্নাইয়ানকে 

09:30:58 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ চেন্নাইয়ান ০ (৯০ মিনিট) 

09:24:48 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ০ চেন্নাইয়ান ০ (প্রথমার্ধ)

08:24:23 PM

পুনের অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে ...বিশদ

06:12:59 PM

বর্ধমান ও আসানসোলে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে
বর্ধমান শহর ও আসানসোলে একসঙ্গে দু’জায়গায় প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ...বিশদ

05:12:00 PM

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে আগুন
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা  পুনের সিরাম ...বিশদ

03:20:00 PM