Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। দিলীপবাবু যেটা বলেননি তা হচ্ছে, অচিরেই গেরুয়া দলের সভায় পাশাপাশি দুটো আলাদা মঞ্চ করতে হবে। একটা সঙ্ঘের শিক্ষায় বেড়ে ওঠা আদি নেতাদের জন্য। আর অপরটা লাফিয়ে মগডালে ওঠা স্বার্থপর দলবদলুদের জন্য। গেরুয়া দলকে ভালোবেসে নয়, এঁরা কিছু পেতে এসেছেন। বিভেদ আর বিভাজনের রাজনীতি করতে করতে বঙ্গ বিজেপি নিজেই আজ আড়াআড়ি দু’ভাগে বিভক্ত। সেখানেও মেরুকরণ স্পষ্ট হচ্ছে! শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিশৃঙ্খলাই তার অকাট্য প্রমাণ। ভোট যত এগিয়ে আসবে এই বিভেদ রেখা ততই স্পষ্ট হবে।
বলতেই হবে দিলীপ ঘোষ গেরুয়া শিবিরের একজন একনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী। আরএসএসের আদর্শ ছাত্র। চারদিকে তৃণমূল থেকে আসা বেইমান নেতাদের লাফালাফি দেখে তাঁর অস্বস্তি হওয়ারই কথা। সাড়ে ন’বছর যাঁরা তৃণমূলের লাভের গুড় চেটে চেটে খেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে বসতে গিয়ে তাঁর সেই লুকনো ব্যথাটা বেরিয়ে পড়াও খুব স্বাভাবিক। কারণ ব্যক্তিগত লাভের কথা ভেবে একদল ‘দাদা অনুগত’কে নিয়ে তিনি রাজনীতি করেন না। ওটা তাঁর রক্তে নেই। অসম্ভব লোভ আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন (পড়ুন দুঃস্বপ্ন!) চরিতার্থ করতে তিনি গেরুয়া পতাকার তলায় আসেননি। আবার কিছু পাইনি বলে ভোটের আগে দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরে অন্য ডালে গিয়ে বসার লোকও তিনি নন। কাল যদি দল তাঁকে আদিবাসী সংগঠন দেখতে বলে তিনি হাসিমুখে সব ছেড়ে সেই কাজই করবেন। প্রশ্ন তুলে বিদ্রোহ করবেন না। জয় শাহের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শত্রু দলে যোগ দেবেন না। ঝড়-তুফান যাই আসুক বুক পেতে বঙ্গ বিজেপির ঘাঁটি আগলানো ছাড়া তাঁর আর কোনও লক্ষ্য নেই।
আর যাঁরা কলাটা মুলোটার লোভে আজ স্রোতের মতো বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা একটু স্বার্থে ঘা পড়লেই ঝাঁকের কইয়ের মতো যেমন এসেছেন তেমনই কেটে পড়বেন। বটগাছ ছেড়ে আমগাছ, তারপর তেঁতুলগাছে আশ্রয় নেবেন। বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়ার কাজ শুরু হলেই তার চমকপ্রদ ট্রেলার দেখতে শুরু করব আমরা। বাকিটা ভোটের ফল বেরনোর পর। নিজের লোকেদের শাঁসালো আসন পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হলেই এঁদের হঠাৎ জেগে ওঠা গেরুয়া প্রেম তখন নিমেষে উবে যাবে!
আসলে দল ভাঙার রাজনীতি করতে গিয়ে এরাজ্যে বিজেপি আজ বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। ভাড়াটে সেনা দিয়ে রাজনীতি করার ফল ইতিমধ্যেই পেতে শুরুও করেছেন গেরুয়া কর্তারা। সম্প্রতি এক প্রাক্তন মেয়রের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য রোড শো কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। ওয়াটগঞ্জ থেকে হেস্টিংস। কেউ বলেন গোঁসা করে আবার কেউ বলেন শরীর ঠিক না থাকায় প্রাক্তন মেয়র সেখানে হাজিরই হননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে অগত্যা ডাকতে হল তৃণমূলেরই প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। এখানে যে দু’জনের কথা বলছি তাঁরা বিস্মৃত হলেও মানুষ জানে, দু’জনেই নেতা হয়েছেন, মেয়র-মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই আশীর্বাদে। তাঁরা যতই গেরুয়া সাজুন বাংলার মানুষ তাঁদের ‘মমতার লোক’ বলেই শেষদিন পর্যন্ত পরিচয় দেবে। ওই পরিচয় তাঁরা এক নদী জল দিয়েও মুছে ফেলতে পারবেন না।
আর বাংলা দখল হয়ে গিয়েছে বলে ক্রমাগত যাঁরা হাঁক পাড়ছেন তাঁদের অবস্থাটা দেখুন একবার। বাঙালি মুখের দরকার হলেই সেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ তৃণমূলের কাছেই হাত পাততে হচ্ছে। নিজেদের কিছু নেই। ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগেও মন্ত্রিসভা গড়ার প্রস্তুতির বদলে জেলায় জেলায় কারা ভোটে প্রার্থী হবে আর কারা প্রচার করবে তারই ঠিকঠিকানা নেই এখনও। দেশের সর্ববৃহৎ দলের এ কেমন রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা! উন্নয়নের কথা কই। রাজ্যটা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, কেউ বলছেন না। মানুষ চাকরি পাবে কোথা থেকে, তার দিশা নেই। নাম মুখে আনার মুরোদ নেই, শুধু ‘ভাইপো, ভাইপো’ করলেই গরিবের পেট ভরবে তো? সঙ্ঘ পরিবারের প্রচারের এমন দৈন্যদশা নাগপুরের তাত্ত্বিকদের পক্ষে তো সহ্য করা কঠিন কাজ। তবু গিলতে হচ্ছে, কেননা ক্ষমতা দখল অতি বিষম বস্তু। এবং ক্ষমতা দখলের নেশায় মোদি-অমিত শাহরা বুঁদ হয়ে আছেন। তাই আদর্শ, শিষ্টাচার সব এখন ব্রাত্য। বাংলা দখলে একটাই ধ্রুবপদ, যাকে পারো দলে টানো আর অবাঙালি ছাপ মুছতে তৃণমূল ভাঙো।
কেন এতটা মরিয়া অমিত শাহরা। সোনার বাংলা গড়ার তাগিদ না পরের লোকসভা ভোটের অশনিসঙ্কেত। গেরুয়া পার্টির নেতাদের বিলক্ষণ জানা আছে, কংগ্রেস দুর্বল হলেও চব্বিশের লোকসভা ভোটে বহু রাজ্যেই বিজেপির আসন কমবে। কৃষক ক্ষুব্ধ। শ্রমিকের কাজ নেই। সেই কারণে নতুন নতুন রাজ্যে আসন বাড়াতে না পারলে দিল্লির তখতে মোদিজির স্বপ্নের হ্যাটট্রিক শেষপর্যন্ত অধরাই থেকে যাবে। তাই কাকেরও কোকিল সাজার শখ হল। বাঙালি গন্ধ আমদানি করতে স্নো পাউডার মেখে জেলায় জেলায় যোগদান মেলা। বইমেলা, স্বাস্থ্যমেলা সব গিয়ে এই শীতের দুপুরে মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে এই বঙ্গে দ্রষ্টব্য সার্কাস বলতে ওই একটাই। অন্য দল থেকে নেতা ভাঙিয়ে আনার নির্লজ্জ খেলা। নারদের ভিডিওর নায়ক থেকে সারদার টাকা লুটের কাণ্ডারী, চার্জশিটে নাম থাকতে পারে জেনেও কুছ পরোয়া নেই। দল বদলে সবাই আজ সাধু! সেই নীতি আদর্শের কাণ্ডারীরাই ঘুরে ঘুরে বলছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর নাকি একটাই ডিল হয়েছে। প্রতি বছর চাকরি দেব। তাঁকে প্রশ্ন করি, গত ছ’বছরে এরাজ্যের কত যুবক দিল্লির চাকরি পেয়েছেন, হিসেবটা একবার দেবেন!
ব্রিটিশরাও শুধু বিভাজন ঘটিয়ে আর নানা প্রলোভনে বিশ্বাসঘাতকদের ব্যবহার করে টানা দু’শো বছর ভারত শাসন করে গিয়েছেন। সেই বেইমানির রক্ত আজও কিছু কিছু লোকের ধমনীতে প্রবাহিত। স্বাধীনতার সাত দশক পরও মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠরা বহাল তবিয়তেই আছেন। দু’শো বছর আগের সেই কলঙ্কিত ইতিহাস অনুসরণ করেই আজ মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটিয়ে ভারত শাসনের পথ নিষ্কণ্টক করতে মরিয়া গেরুয়া শক্তি। বিশেষ করে আমাদের এই আপাত শান্ত বাংলায়। আর তা করতে গিয়েই যে দলকে তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দাগছেন, সেই দলের নেতাদেরই মঞ্চ সাজিয়ে ফুল মালা দিয়ে আবাহন করছেন। কিন্তু এ কোন নীতিহীন পরিবর্তনের কথা বলছেন তাঁরা। এ তো গায়ের জোরে বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে চূড়ান্ত ধোঁকাবাজি।
মমতা ২০১১ সালে সিপিএমকে হারাতে সুজন, বিমান, সূর্যকান্তকে তো ভাঙিয়ে আনেননি। যদি গেরুয়া শক্তি ক্ষমতা দখলের এতটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েই থাকে তাহলে ভোটের দু’মাস আগেও অন্য দল ভাঙার এমন মরিয়া প্রয়াস কেন? মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে এমন টানাটানি যে হাসপাতালে ভর্তি বাংলার এক নক্ষত্রের জন্যও নেতারা হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন। বারবার দিল্লি থেকে ফোন আসছে। কী লজ্জার ব্যাপার! এ কোন দিকে ছুটছি আমরা! নেতা থেকে তারকা সবই যেন বিক্রয়যোগ্য পণ্য, পুতুল কেনার মতো কিনে নিলেই হল। আর রাজ্যটা জয়নগরের মোয়া, ভূমিপুত্র মাহেন্দ্রক্ষণ দেখে মোদিজির হাতে তুলে দেবেন!
এই বেপরোয়া খেলায় আজ গোটা বাঙালি জাতি টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। একভাগ দলত্যাগী বেইমান, অপর ভাগ সমদূরত্ব বজায় রাখা কালিদাস, আর একটি ভাগ হল, পুরনো অবস্থানে অনড়। উপরন্তু সংখ্যালঘু ভাইরাও আজ বিপন্ন। তাঁদের নিয়েও নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙতে সুকৌশলে আসাউদ্দিন ওয়াইসির মিমকে এরাজ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন অমিত শাহ অ্যান্ড কোম্পানি। আসাউদ্দিন ওয়াইসির কাজটা কী? গত কয়েক বছর ধরে তাঁর রাজনীতি যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁরা বলছেন, একটা অসাধ্য সাধন করার জন্যই অমিত শাহ বিভিন্ন রাজ্যে ঠিক ভোটের আগে তাঁকে পাঠিয়ে থাকেন। ভোটে জিততে অমিত শাহ ও সঙ্ঘ পরিবার সম্প্রতি যে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের সাহায্য নিচ্ছেন তারই প্রধান অস্ত্রই হচ্ছে ওয়াইসির এই মুসলিম ভোট ভাঙার কৌশল। বিহারে তাঁর সক্রিয়তাতেই মুসলিম ভোট ভেঙে তেজস্বী যাদবের যাত্রাভঙ্গের কাহিনি সবাই দেখেছে। উত্তরপ্রদেশেও মুসলিমদের তিনি সুকৌশলে বিভক্ত করেছেন। আর এখন বাংলার আসন্ন নির্বাচনে আসাউদ্দিন সাহেবের একটাই কাজ, যেন তেন প্রকারে মুসলিম ভোটের কিছুটা তৃণমূলের হাত থেকে বের করে আনা। তাতে কার লাভ? মুসলিমদের না ভারতের একমাত্র হিন্দু পার্টি বিজেপির? সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের আগে পর্যন্ত এরাজ্যে মুসলিম ভোট বামেদের হাতে ‘সুরক্ষিত’ ছিল। তার জোরেই দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি জ্যোতিবাবুরা দাপটে বাংলা শাসন করেছেন। তৃণমূলের এক দশকেও সংখ্যালঘু ভোট ‘সুরক্ষিত’ ছিল মমতার হাতে। সেই যুক্তি থেকেই এবার তৃণমূলকে চাপে রাখতে বিজেপির আপাত শত্রুবেশী বন্ধু ওয়াইসির আগমন। লক্ষ্য একটাই, মমতার সুরক্ষিত মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে সিঁদ কাটা।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল সিপিএমের সাড়ে তিন দশকের জগদ্দল পাথরকে উপড়ে ফেলা। দশ বছর পর তিনি আবার এক কঠিন লড়াইয়ের সামনে। এবার আগের চেয়েও শক্ত চ্যালেঞ্জ। গোটা রাষ্ট্রশক্তি কোমর বেঁধেছে। এবং বলাই বাহুল্য, দেশের তাবৎ বিজেপি-বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। কারণ কংগ্রেস ও সিপিএম যতই জোট করে সমদূরত্বের রাজনীতি করুক, আসলে দু’জনেই আবার ভাবের ঘরে চুরির খেলায় নেমেছেন। তাঁরা বিপদটাকে বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। বাংলায় বিজেপিকে রোখা না গেলে আগামী চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনের আগেই  দেশের বিরোধী শক্তির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে, এটাই সহজ সত্য। বাংলার অগ্নিকন্যাকে চিরদিন একা লড়াইয়ের ময়দানেই দেখে এসেছে বাঙালি। সেই সংগ্রামে তিনি আপসহীন অকুতোভয়। এবারও এত বিতর্কের পর তাঁর একক লড়াইয়ের দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলার মানুষ। বাংলার সাধারণ ঘরের আটপৌরে নেত্রী আজও একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
10th  January, 2021
দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি বা পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে রূপায়িত প্রকল্পের ব্যাপারে মানুষকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। প্রকল্পস্থলে উদ্বোধনী ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত ডোরার। জেনারেল বেড থেকে তাঁকে আইসিইউ’তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।   ...

নিজেদের দাবি আদায়ে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। আগামী ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই একপ্রকার নজিরবিহীনভাবে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আয়োজন করা হতে পারে ‘কিষান সংসদ’। ...

৪০টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চারটি লেবার কোডে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিলের আগেই সারা দেশে কার্যকর করা হতে পারে সেই চার লেবার কোড। এমনটাই খবর শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

 বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৫০- ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের মৃত্যু
১৯৬৮- চারটি হাইড্রোজেন বোমা সহ গ্রিনল্যান্ডে ভেঙে পড়ল আমেরিকার বি-৫২ যুদ্ধবিমান
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম 
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৯ টাকা ৭৪.০০ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৩ টাকা ১০১.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী ২৩/২০ দিবা ৩/৫১। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৩/৪ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী দিবা ৩/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২৮ মধ্যে।
৭ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এ আজ মোহন বাগান ১ : ০ গোলে হারাল চেন্নাইয়ানকে 

09:30:58 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ চেন্নাইয়ান ০ (৯০ মিনিট) 

09:24:48 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ০ চেন্নাইয়ান ০ (প্রথমার্ধ)

08:24:23 PM

পুনের অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে ...বিশদ

06:12:59 PM

বর্ধমান ও আসানসোলে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে
বর্ধমান শহর ও আসানসোলে একসঙ্গে দু’জায়গায় প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ...বিশদ

05:12:00 PM

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে আগুন
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা  পুনের সিরাম ...বিশদ

03:20:00 PM