বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এ ব্যাপারে বীরভূমের সবুজসাথী প্রকল্পের নোডাল অফিসার মৃণালকান্তি গুইন বলেন, জেলায় নবম শ্রেণীর পড়ুয়ারা ৫৫ হাজার সাইকেল পাবে। তার আগে প্রথম ধাপে আট হাজার সাইকেল জেলায় এসেছে। সেগুলি স্কুলগুলিতে বিলির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের পর টানা সময় ধরে স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়েছে। যদিও গ্রামাঞ্চলে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকের অ্যান্ড্রয়েড ফোন নেই। ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্বাদশ শ্রেণীর সব পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকী, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরও বই, খাতা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই সময় ফের ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ দফায় বীরভূমের ৫৫ হাজারের বেশি নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী সাইকেল পেতে চলেছে।
জেলা প্রশাসন ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জন্য ওই শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই জেলায় সেই কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তারসঙ্গে আগামী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সদ্য ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদেরও সাইকেল দেওয়া হবে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই শিক্ষাবর্ষেও জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার পড়ুয়াই সাইকেল পাবে। এখন প্রায় আট হাজার সাইকেল জেলায় এসেছে। সেগুলি বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ফিটিংস করা হচ্ছে। তারপর স্কুলে-স্কুলে তা বিলি করা হবে।
সিউড়ির বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সিংহ বলেন, গত শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াদের নাম আগেই পোর্টালে এন্ট্রি করা ছিল। সেইমতো পড়ুয়ারা সাইকেল পাবে বলে শুনেছি। নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামও এন্ট্রি করার জন্য একটি নির্দেশ এসেছে। তার কাজ শুরু হয়েছে।
জয়পুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ নন্দন বলেন, ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নাম পোর্টালে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের দাবি, লকডাউনের সময়ই সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার অসুবিধার জন্য ওই সময় সাইকেল বিলির কাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রশাসনের দাবি, নতুন শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের ভোটের আগেই সাইকেল দিয়ে দেওয়া হতে পারে। তার ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসতে পারবে।
শিক্ষক মহলের দাবি, গ্রামাঞ্চলে বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব অনেক ক্ষেত্রে বেশি হয়। তারসঙ্গে পরিবারের অর্থনৈতিক কষ্টের ফলে অনেকেই সাইকেল কিনতে পারেন না। কিন্তু রাজ্য সরকার এই সময় ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের কথা ভেবে সাইকেল দেওয়ায় সেইসব পরিবারগুলি যথেষ্টই উপকৃত হয়েছে।
তবে, অভিভাবকদের একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতির পর রাজ্যের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু স্কুল খোলা না থাকায় অনলাইনে পড়তে গিয়ে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে।