বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
ভগবানগোলা-১, ২ ব্লক নিয়ে ভগবানগোলা বিধানসভা গঠিত। বিধানসভার প্রায় ৭০শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ২০১৬ সালে নির্বাচনে জোট প্রার্থী সিপিএমের মহসিন আলি ১৩ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ভোটে জেতার পর পেশায় শিক্ষক সিপিএম বিধায়ককে আর এলাকায় দেখা যায়নি। দু’-একটি ঢালাই রাস্তা ছাড়া কোনও কাজই করেননি। এলাকার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁকে পাশে পাননি। নতুনগ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আজমল শেখ বলেন, পাঁচ বছর আগে মহসিন সাহেব বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবার ভোট চলে এল। পাঁচ বছরে একবারের জন্য বিধায়ক এলাকায় আসেননি। বাহাদুরপুরের বাসিন্দা মিরাজ শেখ বলেন, এলাকায় উন্নয়নের আশায় এলাকার মানুষ জোট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের কোনও আশাই পূরণ হল না।
স্থানীয় বিধায়কের প্রতি সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভ নির্বাচনের লড়াইয়ে শাসকদলকে অ্যাডভান্টেজ দেবে বলে মনে করছেন জেলা রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। ভগবানগোলা-১ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, স্থানীয় বিধায়ক এলাকার কোনও কাজ করেননি। তৃণমূল জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিধানসভা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পলাশবাটি ঘাট থেকে বাহাদুরপুর পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তা প্রায় আড়াই দশক ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল। জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় পাকা রাস্তা হয়েছে। এছাড়াও বেলিয়া শ্যামপুর থেকে রুহিমারি, দয়ানগর দাঁড়ারকান্দি ব্রিজ থেকে স্বপনগড় নিমতলা সহ ব্লকের ৮০শতাংশ রাস্তা ঢালাই বা পিচের হয়েছে। ব্লকের আটটি অঞ্চলে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তার পাশাপাশি গোরস্থানগুলিতেও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুনগ্রাম থেকে শিমূলতলা, দক্ষিণশহর গোরস্থান থেকে ডিহিপাড়া প্রভৃতি একাধিক রাস্তা হয়েছে। চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মলচরে সোলার লাইট বসানো হয়েছে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার, বঙ্গধ্বনি এবং পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তৃণমূলের ভগবানগোলা-২ ব্লক সভাপতি আব্দুল রউফ বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ১৩হাজার ভোটে হেরেছিলাম। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ১৩হাজারের ব্যবধান মুছে দল ২৭হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে। কাজেই ভগবানগোলা বিধানসভা আসনে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিধায়ক সিপিএমের মহসিন আলি বলেন, বিধায়ক তহবিলের সবটা দিয়েই কাজ করেছি। কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ হয়নি বলে শাসকদল মিথ্যা প্রচার করছে।