বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এব্যাপারে রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরন সিং বলেন, সেচ দপ্তর থেকে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এলাকায় আগামী দিনেও ভাঙন অব্যাহত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলার বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, এই এলাকার নদী ভাঙন একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এর জন্য এলাকার মানুষজন বহু বছর ধরে ভুক্তভোগী। সেই কারণে ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে স্থানীয়দের দাবিটাও স্বাভাবিক। আমরা সেচ দপ্তরকে ওই এলাকায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছি। নদী ক্রমশ ধীরে ধীরে এলাকার বসত বাড়ির কাছাকাছি এগিয়ে আসাতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। রাত বা দিন সব সময়ের জন্য সতর্ক থাকছেন বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে গোটা এলাকাই হয়তো আগামী দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বর্ষার সময় নদীর পাড়ে দাঁড়ালে মাঝে মধ্যেই শোনা যায় ঝুপঝুপ শব্দে মাটি খসে জলে পড়ার শব্দ। বসতবাড়ি, ফসল সহ চাষের জমি, গাছপালাও আগেই তলিয়ে গিয়েছে। প্রতিবছরই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটু একটু করে জমি নদী ভাঙনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিত এইসব এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সরকার থেকে যদি এলাকার নদীর পাড় পাকাপাকিভাবে বাঁধিয়ে দেওয়া হলে ভাঙন কিছুটা হলেও রোধ হবে। একই সঙ্গে তাঁদের প্রতি বছরের দুশ্চিন্তা দূর হবে। কারণ প্রতিবছর বর্ষা এলেই নদীর সেই ভয়াল রূপ তাঁদের এলাকার জমিতে ভাঙন ধরায়। সেই দুশ্চিন্তা নিয়ে সারাবছর দিন কাটাতে হয় এলাকাবাসীকে। কয়েক সপ্তাহ কয়েক আগে ওই ওয়ার্ডের চর সাড়াগড় এলাকায় ভাগীরথী নদী গ্রাস করেছিল এলাকার সাতটি বাড়ি সহ ইটের রাস্তা। ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি গাছ, ফাঁকা জমিও তলিয়ে গিয়েছিল। সেই এলাকা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে ফের ভাঙন হয়েছে মঙ্গলবার। তাই বর্ষার দাপট কমলেও নদী ভাঙনের দুশ্চিন্তা কমেনি এলাকার মানুষের। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, যেভাবে ভাঙন হচ্ছে তাতে যে কোনওদিন আমাদের বাড়ি গ্রাস করবে ভাগীরথী। তখন গৃহহীন হতে হবে। প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়াক।