উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলার বিজ্ঞানের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনা মহামারী সারা পৃথিবীর বিপর্যয়। তার জন্য সচেতনতা বাড়াতেই হবে। কিন্তু, বজ্রপাতের ঘটনা এই মালভূমি এলাকায় অনেক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আমরা বজ্রপাত এড়িয়ে চলতে গেলে কী করতে হবে, সেই বিষয়ে লিফলেট বিলি করে বারবার সচেতন করছি। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিলে কেউ যেন মাঠে না থাকেন তার প্রচার করা হচ্ছে। আকাশে কালো মেঘ, বিদ্যুৎ চমকানো ও জোরে বাতাস বইলে সাবধান হতে বলা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে, মাঠে চাষ করবার সময়, গাছ তলায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ও ফাঁকা মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে বলছি। দামিনী নামে ওই অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করলে, কোথাও বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা আগাম আন্দাজ করা সম্ভব।
পুরুলিয়া জেলার বিজ্ঞান আধিকারিক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, খরাপ্রবণ এই মালভূমি এলাকায় বাতাসে শুকনো ধুলিকণার পরিমাণ বেশি। বৃষ্টি কম হওয়ার জন্য ওই ধুলিকণা নীচে থিতু হতে পারে না। যা মেঘ তৈরিতে সাহায্য করে। মেঘের দল বাতাসের প্রভাবে আকাশে দ্রুতগতিতে ছোটে। মেঘে উপস্থিত জলকণার পরস্পরের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাক্রমে মেঘের উপরের অংশে ইলেক্ট্রন হারিয়ে ধনাত্মক আধানযুক্ত হতে থাকে। নীচের অংশ ইলেক্ট্রন অর্থাৎ তড়িৎ যুক্ত হয়ে ঋণাত্মক আধানযুক্ত হতে থাকে। আবার তাপমাত্রার হের ফের হওয়ার কারণে বায়ুর প্রবাহ বেশি হলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ও বায়ুকণা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ইলেক্ট্রন হারিয়ে ধনাত্মক আধানযুক্ত হয়ে থাকে। মেঘের নীচের অংশের অবস্থান ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি হলে ইলেক্ট্রনের দল তড়িৎ ধনাত্মক আধানের টানে পৃথিবীতে চলে আসে। বাতাসে উপস্থিত ধুলিকণার সঙ্গে সংঘর্ষে তা প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে বজ্রপাত হয়ে নেমে আসে।
এই বিষয়ে পুরুলিয়ার বাসিন্দা এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, গাছের পাতায় ধুলোর কণা জমা হয়। সেগুলি কাটার ফলে বজ্রপাতের সংখ্যা বেশি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত বছর রাস্তার কাজ হওয়ার জন্য ধুলিকণা বেড়েছিল। গত বছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এই জেলায় বজ্রপাতের ঘটনা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। এটা প্রাকৃতিক বিষয়। কিন্তু, আমাদের রাস্তা খুঁজে বের করার জন্য আরও সচেষ্ট, সচেতন হতে হবে।