Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চিন্তা থাকবে না কাল কী খাব। কিন্তু সেই দিন এল না...। পার্টির দাদাগিরি, ফড়েদের উৎপাতে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়ে গেল রক্ত জল করা পরিশ্রম। দাম পেলেন না ভূতনাথ। পরিণতি... ৫০ বছর বয়সের নিথর শরীরটা পাওয়া গেল তাঁর। গলায় দড়ি দিয়েছিলেন ভূতনাথ পাল। সময়... বাম জমানার শেষ দিক।
বাসুদেব রঙ্গা সাবলে। নাসিকের কৃষক। পেঁয়াজ চাষ করেছিল সে। কিন্তু প্রকৃতি পাশে দাঁড়াল না। অনাবৃষ্টির শুখায় খেতেই শেষ হয়ে গেল আশা-ভরসা...। পাশে দাঁড়াল না মহাজনও। টাকা ফেরত দিতে হবে। কী করে? জানত না বাসুদেব। জানত না মহাজনও। যেভাবে হোক টাকা ফেরত দাও... সুদটা তো বটেই। গলায় ফঁাস জড়ানো শরীরে ছিল শুধুই সব হারানোর যন্ত্রণা। নাসিক মহাকুম্ভের ঠিক আগে।
এ দেশের চাষি বোঝে, দাম না পাওয়ার যন্ত্রণা। জানে, সেই আতঙ্ক কোথায় যেতে পারে। পরিবারের মানুষগুলো প্রতি রাতে ঘুমায় বুকভরা আশঙ্কা নিয়ে... পরদিন ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকটাকে দেখতে পাব তো! আশপাশে কোথাও সেঁকো বিষ না থেকে যায়... কিংবা একগাছা দড়ি...। দাম না পেলে দু’বেলা দু’মুঠো জোটে না। সারা মরশুমের খাটনি হারিয়ে যায় কিছু ফড়ের দালালি, মহাজনের চোখ রাঙানিতে। মরশুমের শুরুতে ধার করার আগে তাই সে বারবার ভাবে... মেটাতে পারব তো? ফসলের দাম পাব তো? গ্যারান্টি ছিল না বাম জমানায়। ছিল না সহায়ক মূল্য, ছিল না ফড়েরাজ বন্ধ করার এতটুকু প্রয়াস... তাই চাষির ঘরে মৃত্যু আকছার ঘটনা। নাঃ, মৃত্যু নয়... আত্মহত্যা।
সংস্কার যজ্ঞে নেমেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবার পালা কৃষির। তিনটি অর্ডিন্যান্স এবং সংসদের ‘বহুমতে’ তা আইনে পরিণত করা। সেই সব দেখনদারির কারবার শেষ। নয়া কৃষি আইন বলবৎ হতে এখন শুধু রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বললেন, ‘আমিও কৃষক। এ সরকার কৃষকের স্বার্থ বোঝে। তাই এই বিল পাশ।’ বিরোধীরা মানল না। মানল না এনডিএর সবচেয়ে পুরনো শরিক শিরোমণি আকালি দলও। ‘সরকারকে বোঝাতে পারিনি’... এই হতাশা নিয়ে পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল। আকালি দলের নেত্রী। কেন? সরকারের মধ্যেই যদি সমীকরণে গলদ দেখা যায়, তাহলে কি বলা যায় যে, সব ঠিক আছে? না সব ঠিক নেই। সেটা নরেন্দ্র মোদিও বিলক্ষণ বোঝেন। তাই চলছে সাফাই... লাগাতার।
নতুন বিলে আতঙ্ক কোথায়? মূলত চারটি... বিক্রিবাটা বা লেনদেনের জায়গা (ট্রেড এরিয়া), ব্যবসায়ী (ট্রেডার), বাজার দর (মার্কেট ফি) এবং সমস্যা হলে তার সমাধানের প্রক্রিয়া (ডিসপুট রেজল্যুশন)।
প্রথমে দেখা যাক ‘ট্রেড এরিয়া’ বলতে কী বলা হচ্ছে। নয়া ব্যবস্থাপনায় ট্রেড এরিয়া হল এমন এলাকা বা জায়গা, যেখানে ফসল উৎপাদন বা সংগ্রহ হয়। তার মধ্যে রয়েছে, খামার চত্বর, কারখানা চত্বর, গুদাম, হিমঘর, ফসলের গোলা, বা দেশের এমন যে কোনও জায়গা, যেখানে কৃষিজাত দ্রব্যের ব্যবসায়িক লেনদেন চলতে পারে। এই তালিকায় কিন্তু কিষাণ মান্ডি, বাজার, বা বাজার চত্বরের উল্লেখ নেই। অর্থাৎ রাজ্যের আইন মোতাবেক তৈরি হওয়া মান্ডি বা পাইকারি বাজারের সেই অর্থে কোনও গুরুত্ব থাকছে না। মান্ডি বা পাইকারি বাজারে জায়গা পাওয়ার জন্য লাইসেন্স দরকার। তা না থাকলে সেই ব্যবসায়ী বৈধ নয়। ফড়ে বা সেই জাতীয় লোকজন যাতে কৃষকদের ঠকাতে না পারে, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্যই এই নিয়ম। কিন্তু নতুন বিলে সে সবের বালাই নেই। আইন কার্যকর হলে মান্ডিগুলিকে তাদের একটা লক্ষ্মণরেখার মধ্যে বেঁধে দেওয়া হবে। যা ভেঙে বেরনো তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। বরং বেসরকারি সংস্থা বা খাদ্যপণ্য জগতের কর্পোরেট চাঁইদের পোয়াবারো। এক একটা মান্ডি এখন প্রায় ২০০টি গ্রামকে একসঙ্গে পরিষেবা দিতে পারে। তাদের ‘বন্দি’ করে ফেললে কর্পোরেটদের পরিধি বাড়বে ঠিকই, কিন্তু ধীরে ধীরে ধসে পড়বে কিষাণ মান্ডি। মূল ব্যবসায়ী বা ‘ট্রেডার’ হয়ে উঠবে কর্পোরেট। এই ট্রেডার কারা? যারা সরাসরি কৃষকদের থেকে শস্য কিনবে, তারাই ট্রেডার। দেশের যে কোনও জায়গায় এই ট্রেডিং চলতে পারে। এরপর থেকে ফসলের উপর রাজ্যের কোনও অধিকার বলতে কিছু থাকবে না। গুজরাত থেকে কোনও ‘ট্রেডার’ এসে বাংলার ধান কিনে নিয়ে যেতেই পারে। পাইকারি, মজুতদার, রপ্তানিকারী, বা খুচরো বিক্রেতা—কোথাও বাধা থাকবে না। শুধু প্যান কার্ড থাকলেই হল। কিষাণ মান্ডির জন্য বা রাজ্যের এপিএমসি আইনের আওতাধীন লাইসেন্স? দরকার নেই।
কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, মধ্যসত্ত্বভোগী বা ফড়েদের রাজত্ব এবার শেষ হবে। সরাসরি ক্রেতারা যাবেন কৃষকের কাছে। কিনে নেবেন ফসল। সঠিক দামটা পাবেন চাষি। সত্যিই কি তাই হবে? কৃষক কি জানতে পারবেন, কে ফড়ে, আর কে নন? ভুয়ো প্যানকার্ড গলায় ঝুলিয়ে প্রতারক যদি পাঁচ কুইন্টাল ধান কিনতে যান, দালানে বসে থাকা চাষির পক্ষে তাকে চেনা সম্ভব নয়। তাঁরা কিন্তু চেনেন কিষাণ মান্ডির অমুক মণ্ডল বা তমুক হালদারকে। পাঞ্জাবে না হয় মান্ডিতে ফসল বিক্রি করতে গেলে সাড়ে আট শতাংশ লেভি দিতে হয়। যার মধ্যে মার্কেট ফি তিন শতাংশ, গ্রামীণ উন্নয়ন চার্জ তিন শতাংশ এবং ‘অরহতিয়া কমিশন’ আড়াই শতাংশ। অরহতিয়া কী? সোজা ভাষায় মধ্যসত্ত্বভোগী। পাঞ্জাবের মতো ধনী কৃষিনির্ভর রাজ্যে একটা বড় অংশ এই ‘পেশা’তেই পেট চালায়। সেখানকার কৃষকরাও যা মেনে নিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে এটাই চলে আসছে। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এমন কোনও লেভি নেই। মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে গেলে কোনও বাড়তি টাকা বা কমিশনও গুনতে হয় না। বরং এখানে চাষি জানেন, সরকারি সহায়ক মূল্যটা কত। মান্ডিতে সেই দামের থেকে নীচে নামা মুশকিল। কৃষক তাহলে তাঁর উৎপাদিত শস্য সরকারকেই বিক্রি করে দেবে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, চলতি মরশুমে এক কুইন্টাল ধানের সহায়ক মূল্য ১৮১৫ টাকা। আগামী মরশুমে তা আরও ৫৩ টাকা বাড়বে। এমনটা কেন হয়? বিদ্যুৎ, সার, মজুরি... এই সবই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। সরকার সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে সেই বাড়তি খরচকেই ভারসাম্যে নিয়ে আসে। কিন্তু সহায়ক মূল্য বা সরকারি দামের গ্যারান্টি না থাকলে কর্পোরেট দুনিয়া যেমন খুশি দাম দেবে। প্রথম প্রথম একটু বেশিই। মান্ডি বাজারের কাঠামো ধসে পড়লে আঘাত সরাসরি পড়বে কৃষকদের উপর। তখন ছড়ি ঘোরাবে কর্পোরেট। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাজার যা দাম দেবে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে কৃষকদের। অর্থাৎ, শুরু হবে কর্পোরেট মনোপলি। কৃষিক্ষেত্রেও একচ্ছত্র আধিপত্য বেসরকারি জগতের। কোনও সমস্যা হলে? সমঝোতা করে নিতে হবে ব্যবসায়ীর সঙ্গে। খুব বেশি হলে এসডিওর কাছে দেওয়া যাবে আবেদনপত্র। তিনি সেই আবেদন পৌঁছে দেবেন তাঁরই তৈরি করা বোর্ডের কাছে। যারা বিচার করবে, কৃষকের আবেদন কতটা ঠিক। অর্থাৎ, আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে পারবেন না কৃষক। বন্ধ হচ্ছে সেই পথ। চাষ করে যেতে হবে মুখ বুজে... মিলবে না দাম। কর্পোরেটের হাত ধরে ফিরবে নীল চাষের সিঁদুরে মেঘ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফাই দিতে আসরে নেমেছেন। বলছেন, মান্ডি বন্ধ হবে না। ভয় পাবেন না। এ এক ঐতিহাসিক বিল। কৃষকের স্বার্থে। সত্যিই কি তাই? আমাদের ভারত সরকার বোধহয় দূরেরটা ভাবছে না। আর না হলে বানিয়াদের সুবিধার্থে এক সুদূরপ্রসারী অঙ্ক রয়েছে এই সরকারের। বিরোধীরা কিন্তু এই অভিযোগেই সরব হয়েছে। তুমুল হট্টগোল হয়েছে রাজ্যসভায়। ওয়াক আউট, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, আট এমপি সাসপেন্ড... তারপরও পাশ হয়ে গিয়েছে বিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতায়। আধিপত্য এখানেও। বিজেপির আধিপত্য, নরেন্দ্র মোদির আধিপত্য। বিজেপি সরকার এখন যা চাইবে, সেটাই হবে। অঙ্ক তাই বলছে। যে বিল আনা হবে, সেটাই হেলায় পাশ হয়ে যাবে। বিরোধী মতের গুরুত্ব নেই। কারণ, আমরা... ভারতবাসী ভোটের ঝুলি উজাড় করে বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসিয়েছি। ‘ভোটার দেবতা’র বরলাভ করে এখন নরেন্দ্র মোদির তূণীর সর্ব অস্ত্রে সজ্জিত। তাই সংস্কার হবে। নতুন নতুন আইন আসবে। সংশোধন হবে। মেনে নিতে হবে মানুষকে... কৃষককে।
২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় ভূতনাথ পালের সংখ্যা কমেছে। গত দু’বছরে ফসলের দাম না পাওয়ায় একজন কৃষকও এ রাজ্যে আত্মঘাতী হয়নি। কিন্তু নতুন আইনে যদি রাজ্যের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে কী হবে? আমরা কি নতুন, আধুনিক ভারতের দিকে আরও একধাপ এগব? নাকি ফিরে যাব ফেলে আসা অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীতে... যেখানে মৃত্যুই কৃষকের একমাত্র মুক্তির পথ।  
22nd  September, 2020
করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে।  
বিশদ

20th  September, 2020
কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।  
বিশদ

19th  September, 2020
বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।   বিশদ

18th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
 সত্যিটা দেখলাম না... দেখানো হল না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এতকিছুর পরও আমেরিকার অর্থনীতি ধাক্কা খেল না। ট্রাম্প বুঝেছিলেন, ব্যবসাটা তিনি জানেন। করোনা ভাইরাসকে নয়। কাজেই শক্তিশালী অর্থনীতিকে বসিয়ে দেওয়ার মানে হয় না। করোনা আজ না হয় কাল কমবে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে বছর লেগে যাবে। বিশদ

15th  September, 2020
একনজরে
 আমেরিকার সার্বিক আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও তাঁদের বিরাট অবদান। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রথম অনলাইনে তহবিল গঠন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জো বিডেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য এই ভার্চুয়াল ফান্ডরেইজার অনুষ্ঠানে তাঁর আশ্বাস, ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে চোপড়ার মের্ধাবস্তি এলাকায় জীর্ণ কালভার্ট ভেঙে গেল। চোপড়া থেকে দাসপাড়া যাওয়ার রাস্তায় ছিল সেই কালভার্ট। সেটি ভেঙে যাওয়ার ফলে এখন ২০ কিমি ঘুরপথে চোপড়া ও দাসপাড়ার বাসিন্দারা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।  ...

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে বেআইনি কাজ চলছে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য-সহ নবান্নে চিঠি দিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান স্বয়ং। সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে দু’পাতার ‘নির্দেশ’ পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন এই প্রধান বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান গিরিশচন্দ্র গুপ্ত বলেন, মানবাধিকার কমিশন যে কায়দায় চলছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ...

 এমটেক প্রার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ ঘোষণা করল জেআইএস গোষ্ঠী। তাদের ছাত্রছাত্রীরা যাঁরা ৭ ডিজিপিএ স্কোর বা তার চেয়ে ভালো ফল করবেন, তাঁরা এই স্কলারশিপের আওতায় আসবেন। সেমেস্টার পিছু ১০ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৭৯১: ইংরেজ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫: নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২: নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকি স্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা। মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু  

22nd  September, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৭৭ টাকা ৭৪.৪৮ টাকা
পাউন্ড ৯২.০২ টাকা ৯৫.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৫ টাকা ৮৭.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৪৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৯,৪২০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৯,৫২০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, অষ্টমী ৩৩/৫১ রাত্রি ৭/২। মূলানক্ষত্র ৩১/৪০ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৫/২৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে।
৭ আশ্বিন ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, অষ্টমী রাত্রি ১১/৪১। মূলানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/২৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে।
 ৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিবাহের যোগ আছে। ...বিশদ

04:29:40 PM

 ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: আরসিবি-কে ৯৭ রানে হারাল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 

11:09:55 PM

আইপিএল: আরসিবি ৯৫/৭ (১৫ ওভার) 

10:57:23 PM

আইপিএল: আরসিবি ৬৩/৫ (১০ ওভার) 

10:33:26 PM

আইপিএল: আরসিবি ২৫/৩ (৫ ওভার) 

10:06:28 PM