উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্মাগলারের অঙ্গুলিহেলনেই এরাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে গোরু পাচার হয়। বহুদিন ধরেই সে এই কারবার করে আসছে। পাচারের সঙ্গে যুক্ত থেকে রাতারাতি সে ফুলে-ফেঁপে ওঠে। রাইস মিল, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সহ সে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। কলকাতা, বহরমপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতেই তার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকী বিদেশেও তার ফ্ল্যাট রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এই গোরু পাচারকারীর হাত অনেকটাই লম্বা। সেই কারণে কাউকে তোয়াক্কা করে না। কয়েক মাস আগে কলকাতায় তার অফিস থেকে নোটবৃষ্টির দৃশ্য রাজ্যবাসীকে চমকে দিয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেইদিন একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা তার অফিসে অভিযানে গিয়েছিল। সেইসময় অফিসে কয়েক কোটি টাকা মজুত ছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিতে সেই টাকা উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সাগরদিঘিতে তার ছেলেদের দেওয়া প্যাড ছাড়া কোনও ইট, বালি বা পাথরের গাড়ি বেরতে পারে না। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায় সিবিআই বেশ কিছুদিন ধরেই তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের এনামুল নামে এক পাচারকারী বারবার বিতর্কে ছড়িয়েছে। তার লোকেরা অবশ্য বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন, তিনি সৎ পথে ব্যবসা করেন। যদিও এদিন সকাল থেকে এনামুলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় রয়েছেন সেই খোঁজও তার ঘনিষ্ঠরা দিতে পারেননি। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিস অবশ্য এদিনের সিবিআইয়ের অভিযান নিয়ে কোনওকিছু বলতে চায়নি। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ওরা আমাদের কাছে কোনও তথ্য দেয়নি।