উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাঁকুড়ায় আক্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কী কারণে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তা পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার জেলাশাসক স্বাস্থ্যদপ্তরকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেন। বৈঠকে জেলাশাসক পরিষ্কার জনিয়ে দেন, যেভাবেই হোক মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, একবারে শেষ মুহূর্তে পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর থেকে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে। তাই চিকিৎসা শুরুর পরই ওন্দা কোভিড হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ১০ পুলিস কর্মীর মধ্যে সাতজন রাইপুর ও তিনজন ইন্দাস থানায় কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি নজরে আসার পরেই দুই থানা ও সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৮৬৭ হয়েছে। নতুন করে ৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে ৪০৩৭ হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুরুলিয়ায় নতুন করে ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০০৬জন। তাঁদের মধ্যে ১৯৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৬ জন। কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে ৫২৩টি। এখনও পর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরই মধ্যে শেষ তিনদিনে আরামবাগে নতুন করে ৭৮জন সংক্রামিত হয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে আরামবাগ ব্লকেরই ২৯ জন রয়েছেন। এছাড়া পুরশুড়া ব্লকের ২০ জন, গোঘাট-১ ব্লকের আটজন, গোঘাট-২ ব্লকের তিনজন ও খানাকুল-১ ব্লকের পাঁচজন, খানাকুল-২ ব্লকের ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মহাকুমা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবুও কোনওভাবেই সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না।