উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এমনিতেই করোনার সংক্রমণ রুখতে হিমশিম খাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। তার উপর দোসর বৃষ্টি। ফলে প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘বুধবার সকাল পর্যন্ত গড়ে ২৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মুম্বই ও শহরতলিতে। সান্তাক্রুজ এলাকায় ২৮৬ মিলিমিটার, থানেতে ১১৯ মিলিমিটার, কোলবায় প্রায় ১৪৮ মিলিমিটার এবং রত্নগিরিতে ৩২.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।’ আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। রাতভর বৃষ্টিতে বুধবার সকাল থেকে মুম্বই ও শহরতলিতে রেল, সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় একাধিক শাখায় লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখতে হয়। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস-থানে, সেন্ট্রাল-হারবার, চুনাভাট্টি-কুরলা, চার্চগেট-আন্ধেরি শাখা ট্রেন পরিষেবা বাতিল করে দেওয়া হয়। যাত্রীরা বহু স্টেশনে আটকে পড়েন। কোনও স্টেশনে প্রায় প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। লোকালের পাশাপাশি একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল এবং সময়সূচি বদলানো হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রেল পরিষেবার পাশাপাশি বাস ও ট্যাক্সি পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে জল জমে যাওয়ায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহন্মুম্বই পুরসভার কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে জরুরি পরিষেবা ছাড়া শহরের সমস্ত অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাসিন্দাদেরও বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।’ মুম্বইয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাঁচটি টিমকে উদ্ধারে নামানো হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বম্বে হাইকোর্টের বিভিন্ন মামলার যাবতীয় শুনানি বুধবারের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।